
উত্তর : যাবে। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)। ইহূদী-নাছারারা সূদী লেন-দেনে জড়িত ছিল জেনেও রাসূল (ছাঃ) তাদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন এবং তাদের তৈরী খাবার খেয়েছেন (মুমতাহিনা ৬০/৮; বুখারী হা/১৪৮১, ৩১৬৯; মিশকাত হা/৫৯৩৫)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-কে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হ’লে তিনি বলেন, ‘তোমার জন্য এটি বিনা কষ্টের অর্জন এবং এর গোনাহ তার উপরে’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১৪৬৭৫, ইমাম আহমাদ আছারটিকে ‘ছহীহ’ বলেছেন; ইবনু রজব হাম্বলী, জামেঊল উলূম ওয়াল হিকাম, ২০১ পৃঃ)। সাঈদ ইবনু জুবায়ের, মাকহূল ও যুহরী (রহঃ) বলেন, যে সম্পদে হালাল ও হারামের মিশ্রণ রয়েছে তা খাওয়াতে কোন বাধা নেই। এ মর্মে হাসান বছরীকে প্রশ্ন করা হ’লে তিনি বলেন, হ্যাঁ গ্রহণ করবে। এটি বিনা কষ্টের উপার্জন। আর গুনাহ হবে তার’ (শারহুস সুন্নাহ ৮/১৫)। তবে যদি উক্ত খাদ্য বা হাদিয়া মদ, শুকরের গোশত ইত্যাদির ন্যায় সত্তাগতভাবে হারাম হয়, তাহ’লে তা গ্রহণ করা হালাল নয়’ (শারহুস সুন্নাহ ৮/১৫)।