
উত্তর : প্রথমত হিকমত ও সুন্দর আচরণের মাধ্যমে মাসহ অন্যান্য সদস্যদের ইসলামী বিধানের দিকে দাওয়াত অব্যাহত রাখবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহবান কর প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে এবং তাদের সাথে বিতর্ক কর সুন্দর পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক ভালভাবেই জানেন কে তার পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনি ভালভাবেই জানেন কে সুপথপ্রাপ্ত হয়েছে (নাহল ১৬/১২৫)। দ্বিতীয়ত মাকে সহনশীলতার সাথে নিয়মিত নছীহত করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদের জন্য মঙ্গলকামী হও। কারণ নারীকে পাঁজরের (বাঁকা) হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের সবচেয়ে বেশী বাঁকা হ’ল তার উপরের অংশ। যদি তুমি এটাকে সোজা করতে চাও, তাহ’লে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহ’লে তো বাঁকাই থাকবে। তাই তোমরা নারীদের জন্য মঙ্গলকামী হও (বুখারী হা/৩৩৩১; মিশকাত হা/৩২৩৯)। তৃতীয়ত তাদের জন্য দো‘আ করবে এবং তাদের হেদায়াতের জন্য পরহেযগার ব্যক্তিদের নিকট দো‘আর আবেদন করবে। আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মায়ের হেদায়াতের জন্য রাসূল (ছাঃ) দো‘আ করলে তার মা হেদায়াত প্রাপ্ত হন (মুসলিম হা/২৪৯১; মিশকাত হা/৫৮৯৫)।
প্রশ্নকারী : তানজিয়া, রামপুরা, ঢাকা।