উত্তর : ইবাদতের ফযীলত সম্পর্কে না জানলেও একনিষ্ঠভাবে আমল করলে নির্ধারিত ছওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হ্যাঁ, যে ব্যক্তি তার চেহারাকে আল্লাহর জন্য সমর্পণ করেছে এবং সৎকর্মশীল হয়েছে, তার জন্য তার পালনকর্তার নিকটে প্রতিদান রয়েছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তান্বিতও হবে না’ (বাক্বারাহ ২/১১২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আযানে ও প্রথম কাতারে কী (ফযীলত) রয়েছে, তা যদি লোকেরা জানত, তাহ’লে লটারীর মাধ্যমে হ’লেও এ সুযোগ লাভের সিদ্ধান্ত নিত। যোহরের ছালাত আউয়াল ওয়াক্তে আদায় করার মধ্যে কী (ফযীলত) রয়েছে, যদি তারা জানত, তাহ’লে এর জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর এশা ও ফজরের ছালাত (জামা‘আতে) আদায়ের কি ফযীলত রয়েছে তা যদি জানত, তাহ’লে নিঃসন্দেহে হামাগুড়ি দিয়ে হ’লেও তারা উপস্থিত হ’ত’ (বুখারী হা/৬১৫; মুসলিম হা/৪৩৭; মিশকাত হা/৬২৮)। অত্র হাদীছ থেকে বুঝা যায় যে, ফযীলত লাভের জন্য ফযীলত জানা শর্ত নয়। যেকোন আমল ছওয়াবের আশায় একনিষ্ঠ ভাবে সুন্নাতী পদ্ধতিতে আদায় করলেও ছওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে ফযীলত জানা উত্তম। কেননা তাতে আমলের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং নিয়তের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্নকারী : আব্দুল খালেক, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।