উত্তর : গীবত করা হয়েছে এমন ব্যক্তির জন্য অধিকহারে ইস্তিগফার পাঠ করাই তার কাফফারা। আর তার জন্য দান-ছাদাকা, ইস্তিগফার ও দো‘আ করবে (নববী, আল আযকার ৫৫০ পৃ.)। আর দো‘আয় বলবে, ‘আল্লাহুম্মাগফির লানা ওয়া লাহু’ অর্থাৎ আল্লাহ তুমি আমাদের ও তাকে ক্ষমা করে দাও’। সম্ভব হ’লে তার নিকট সরাসরি ক্ষমা চেয়ে নেওয়াই সর্বোত্তম। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রতি তার সম্মান বা অন্য কিছুতে কোন যুলুম ও অন্যায় করে থাকে, তাহ’লে সেদিন আসার পূর্বেই সে যেন আজই তার নিকট হ’তে (ক্ষমা চাওয়া অথবা প্রতিশোধ দেওয়ার মাধ্যমে) নিজেকে মুক্ত করে নেয়; যেদিন (ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য) না দীনার হবে না দিরহাম। (সেদিন) যালেমের নেক আমল থাকলে তার যুলুম অনুপাতে নেকী তার নিকট থেকে কেটে নিয়ে (মযলূমকে দেওয়া) হবে। পক্ষান্তরে যদি তার নেকী না থাকে (অথবা নিঃশেষ হয়ে যায়) তাহ’লে তার (মযলূম) প্রতিবাদীর গোনাহ নিয়ে তার ঘাড়ে চাপানো হবে (বুখারী হা/২৪৪৯; মিশকাত হা/৫১২৬)।’ কারণ এটি আর্থিক কোন ব্যাপার নয় (ইবনু তায়মিয়া, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১৮/১৮৭-১৮৮)।
প্রশ্নকারী :উম্মে হাবীবা, বগুড়া।