উত্তর : সংগঠন বলতে জামা‘আতকে বুঝায়। একদল ঈমানদার মানুষ যখন আল্লাহর বিধান সমূহকে নিজ নিজ জীবনে ও সমাজে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একজন আমীরের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন ঐ দলটিকে ‘ইসলামী জামা‘আত’ বা সংগঠন বলা হয়। পক্ষান্তরে ইসলাম বিরোধী আদর্শের কিংবা কোন শিরক ও বিদ‘আতের প্রচার-প্রসার যদি লক্ষ্য হয় এবং তা যদি মুসলমানদের দ্বারাও গঠিত হয়, তবু তাকে বাতিল বা জাহেলিয়াতের সংগঠন বলা হয়। যা থেকে দূরে থাকার জন্য হাদীছে কঠোর নির্দেশ এসেছে (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৩৬৯৪)। জামা‘আত বা সংগঠনের অপরিহার্যতা বিষয়ে বিভিন্ন হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আমি তোমাদেরকে পাঁচটি বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছিঃ (১) জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপন করা (২) আমীরের আদেশ শ্রবণ করা (৩) তাঁকে মান্য করা... (আহমাদ, তিরমিযী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৩৬৯৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেন, কেউ জামা‘আত বা সংগঠন হ’তে বের হয়ে গেল, এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হ’লে, সে জাহেলিয়াতের মৃত্যুবরণ করল (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৬৮)। তিনি আরও বলেন, তোমাদের জন্য জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপন করা অপরিহার্য এবং বিচ্ছিন্ন থাকা নিষিদ্ধ। কেননা শয়তান একজনের সঙ্গে থাকে এবং দুইজন থেকে সে দূরে থাকে। অতএব যে ব্যক্তি জান্নাতের মধ্যস্থলে থাকতে চয়, সে যেন জামা‘আতকে অপরিহার্য করে নেয়’ (তিরমিযী হা/২১৬৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, জামা‘আতের উপর আল্লাহর হাত থাকে’ (তিরমিযী হা/২১৬৬)

উপরোক্ত হাদীছ সমূহ দ্বারা বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে জামা‘আত ছিল। তবে সে জামা‘আতের নাম পৃথকভাবে দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। কারণ সে সময় মুসলিম ও কাফের মাত্র দু’টি দল ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যখন মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ফিৎনা দেখা দিল, তখন বিভিন্ন দলের উদ্ভব হ’ল। সকলেই নিজেদেরকে ইসলামপন্থী বলে দাবী করতে লাগল। তখন ভ্রান্ত ফের্কাগুলি হ’তে পার্থক্য বুঝানোর জন্য ছাহাবীদের যুগ হতে হকপন্থীদের বৈশিষ্ট্যগত নাম হয় আহলুস সুন্নাহ বা আহলুল হাদীছ (মুসলিম ১/১১ পৃঃ)। প্রখ্যাত ছাহাবী আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর অছিয়ত অনুযায়ী যুবকদের উৎসাহ দিতেন বলতেন, فَإِنَّكُمْ خُلُوْفُنَا وَأَهْلُ الْحَدِيْثِ بَعْدَناَ ‘কেননা তোমরাই আমাদের পরবর্তী বংশধর ও পরবর্তী আহলুল হাদীছ (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/১৭৪১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৮০)। উক্ত জামা‘আত বা সংগঠন বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে আছে, যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত থাকবে (মুসলিম হা/১৯২০) ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশেও সে সংগঠন আছে ও তার ‘আমীর’ আছেন। অতএব আপনি নিঃসন্দেহে তাতে যোগ দিতে পারেন।






প্রশ্ন (১৯/১৩৯) : ওযূ করার সময় কি সালাম আদান-প্রদান করা যাবে?
প্রশ্ন (১৯/১৭৯) : পিতা-মাতার কবরের পার্শ্বে গিয়ে দুই হাত তুলে দো‘আ করা যাবে কি? এ সময় কিবলামুখী হ’তে হবে কি? - -আনোয়ার, চন্ডিপুর বাযার, ঝিনাইদহ।
প্রশ্ন (২৫/৬৫) : অধ্যয়নে মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য কোন দো‘আ বা আমল আছে কি? - রাতুল*, ঢাকা।*[আরবীতে ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]
প্রশ্ন (৫/২৪৫) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, একজন আহলেহাদীছ ফাসেক একজন শিরক-বিদ‘আতে লিপ্ত আবেদের চেয়ে বহুগুণ উত্তম। এ বক্তব্যের সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (১২/৩৭২) : কাউকে দাফন করার পর সেখানে লোকেরা কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে? - -আমীর হামযা, মদনচক জামে মসজিদ, নওগাঁ।
প্রশ্ন (২৪/৩০৪) : বিদ‘আতী ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করলে কবুল হবে কি? বিদ‘আতীকে সালাম দেয়া ও সম্মান করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : গরুর প্লীহা, কলিজা, ভূড়ি ইত্যাদি খাওয়ায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি? - -রফীক বিন নায়েব, উত্তরা, ঢাকা।
প্রশ্ন (২১/২২১) : সমাজে কিছু যুবক রয়েছে, যারা শিক্ষিত হ’লেও বেকার হওয়ায় বিবাহ করতে পারে না। অভিভাবকরাও এ ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। চরম ফেতনার যুগে এই শ্রেণীর পাপে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। এদের জন্য করণীয় কি? - মুহাম্মাদ হাবীব গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা।
প্রশ্ন (২৩/২৬৩) : আমার ছেলে হয়েছে। কিন্তু ৭ দিনে আক্বীক্বা করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষণে আমি পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে আক্বীক্বা দিতে পারব কি?
প্রশ্ন (১৭/৪৫৭) : জনৈক মহিলার স্বামী ৯ বছর যাবৎ নিখোঁজ। এক্ষণে তাদের বিবাহ থাকবে কি? উক্ত মহিলার জন্য করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৯/২২৯) : আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হেদায়াত করেন না (বাক্বারাহ ২৫৮)। তাহ’লে ওমর, খালিদ, আবু সুফিয়ান (রাঃ)-কে আল্লাহ হেদায়াত করলেন কেন?
প্রশ্ন (৯/৪৪৯) : সূর্য ওঠার সামান্য পূর্বে ঘুম ভেঙ্গেছে। এমতাবস্থায় ফরয ছালাত আদায় করে তারপর কি সুন্নাত পড়তে হবে? আর সেটি হ’লে সেটা কি সূর্যোদয়ের পর পড়তে হবে? - -আয়েশা আখতার, সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
আরও
আরও
.