উত্তর : বিশুদ্ধ নিয়ম হ’ল, আযানের জওয়াব দান শেষে প্রথমে দরূদ পড়বে (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭)। অতঃপর আযানের দো‘আ পড়বে ‘আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ দা‘ওয়াতিত তা-ম্মাহ, ওয়াছ ছলা-তিল ক্বা-য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাযীলাহ, ওয়াব‘আছ্হু মাক্বা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আদ্তাহ’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন ‘যে ব্যক্তি আযান শুনে এই দো‘আ পাঠ করবে, তার জন্য ক্বিয়ামতের দিন আমার শাফা‘আত ওয়াজিব হবে’ (বুখারী, মিশকাত হা/৬৫৯)। এছাড়া আযানের অন্য দো‘আও রয়েছে (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৬১)।
প্রকাশ থাকে যে, আযান একটি ইবাদত। এতে কোনরূপ কমবেশী করা জায়েয নয়। তবুও আযানের দো‘আয় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শব্দ ও বাক্য যোগ হয়েছে, যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। এর কিছু নিম্নরূপ :
(১) বায়হাক্বীতে (১ম খন্ড ৪১০ পৃঃ) বর্ণিত আযানের দো‘আর শুরুতে ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস-আলুকা বি হাকক্বে হা-যিহিদ দাওয়াতে’ (শায) (২) একই হাদীছের শেষে বর্ণিত ‘ইন্নাকা লা তুখ্লিফুল মী‘আ-দ (শায) (৩) ইমাম ত্বাহাভীর ‘শারহু মা‘আনিল আছার’-য়ে বর্ণিত ‘আ-তি সাইয়িদানা মুহাম্মাদান’ (মুদরাজ ও শায) (৪) ইবনুস সুন্নীর ‘ফী ‘আমালিল ইয়াওমি ওয়াল লায়লাহ’তে ‘ওয়াদ্দারাজাতার রাফী‘আতা’ (বানোয়াট ও সংযোজন) (৫) রাফেঈ প্রণীত ‘আল-মুহার্রির’-য়ে আযানের দো‘আর শেষে বর্ণিত ‘ইয়া আরহামার রা-হিমীন’ (ভিত্তিহীন) (৬) আযানের দো‘আয় যোগ করা ‘ওয়ারঝুক্বনা শাফা‘আতাহূ ইয়াওমাল ক্বিয়া-মাহ’ (বানোয়াট) (৭) শেষে লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লা-হ, ছাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলা (বানোয়াট) (আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/২৪৩ পৃঃ ১/২৬০-৬১; ইবনু হাজার, তালখীছুল হাবীর ১/৫১৮ পৃঃ; মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী, মিরক্বাত ২/১৬৩; ফিক্বহুস সুন্নাহ পৃঃ ১/৯২)। অতএব এসব পরিত্যাজ্য (দ্র: ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ৭৮-৭৯ পৃঃ)।