উত্তর :
ওয়াইস বিন আমের আল-ক্বারনী (৫৯৪-৬৫৮ খ্রিঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর যুগের লোক। তবে
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে তার সাক্ষাৎ হয়নি। যে কারণে তিনি ছাহাবী নন,
বরং তাবেঈ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তাবেঈদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি হ’ল ওয়াইস’ (মুসলিম হা/২৫৪২, মিশকাত হা/৬২৫৭)।
ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি,
তোমাদের নিকট ইয়ামন থেকে এক ব্যক্তি আসবে, যাকে ডাকা হবে ‘ওয়াইস’ নামে। সে
শুধুমাত্র তার মাকে ইয়ামনে রেখে আসবে। তার শরীরে কুষ্ঠ রোগ ছিল। সে আল্লাহর
নিকট প্রার্থনা করলে এক দীনার অথবা এক দিরহাম সমপরিমাণ স্থান ছাড়া আল্লাহ
তা দূর করে দেন। তোমাদের যার সাথে তার সাক্ষাৎ ঘটবে, সে যেন তার নিকট ক্ষমা
প্রার্থনার আবেদন করে (মুসলিম ঐ)। পরবর্তীতে ওমর (রাঃ)-এর সাথে
তাঁর সাক্ষাৎ হ’লে, তিনি তার নিকটে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জানান। উত্তরে
তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর ছাহাবী হিসাবে আপনি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা
করার অধিক যোগ্য। এসময় তিনি উপরোক্ত হাদীছটি শুনালে তিনি তাঁর জন্য ক্ষমা
প্রার্থনা করেন (মুসলিম হা/২৫৪২, আহমাদ হা/২৬৬)। ওয়াইস ক্বারনী ৩৭ হিজরীতে আলী (রাঃ)-এর পক্ষে ছিফফীনের যুদ্ধে নিহত হন (হাকেম হা/৫৭১৬)।
উল্লেখ্য যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ‘ওয়াইস ক্বারনী’কে জামা দান করেছিলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মহববতে বত্রিশটি দাঁত ভেঙ্গেছিলেন মর্মে প্রচলিত বক্তব্যটি ভিত্তিহীন। এছাড়া এই উম্মতের মধ্যে শুধুমাত্র ওয়ায়েস কুরনীকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খলীল বা দোস্ত বলেছেন মর্মে যে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে, সেটিও ‘জাল’ (সিলসিলা যঈফা হা/১৭০৭)।