উত্তর :
খারেজীদের বৈশিষ্ট্য হ’ল, (১) তারা কবীরা গোনাহগার শাসকদের বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ করা ওয়াজিব মনে করে এবং কবীরা গোনাহগার মুমিনকে ঈমানশূন্য কাফের,
হত্যাযোগ্য অপরাধী এবং তওবা না করে মারা গেলে তাদেরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামী
হিসাবে গণ্য করে (শাহরস্তানী, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল, ১/১১৪ পৃঃ, ইবনু হাযম, আল-ফিছাল ফিল মিলাল ২/১১৩)।
(২) তারা কুরআন-হাদীছের মনগড়া ব্যাখ্যা করে। রাসূল (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম
সহ সালাফে ছালেহীনের ব্যাখ্যার প্রতি মোটেই ভ্রূক্ষেপ করে না। ইবনু আববাস
(রাঃ), ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) প্রমুখ বিদ্বানগণ উক্ত মত
ব্যক্ত করেছেন (ফিরাক্ব মু‘আছিরাহ ১/২৭৮-২৭৯)। (৩) তারা হবে কম
বয়সী, নির্বোধ ও বিচার-বুদ্ধিহীন। তারা সবচেয়ে সুন্দর সুন্দর কথা বলবে।
কিন্তু তাদের ঈমান তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না (মুসলিম হা/১০৬৬, মিশকাত হা/৩৫৩৫) (৪) অন্যদের ছালাত, ছিয়াম ও আমলসমূহকে তাদের ছালাত, ছিয়াম ও আমলের তুলনায় তুচ্ছ মনে হবে (বুখারী হা/৫০৫৮)। (৫) তারা মুসলমানদেরকে হত্যা করবে ও মূর্তিপূজারীদের আপন অবস্থায় ছেড়ে দিবে (অর্থাৎ তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে না) (বুখারী হা/৩৩৪৪, মুসলিম হা/১০৬৪, মিশকাত হা/৫৮৯৪)। (৬) তারা সাধারণতঃ সম্পূর্ণ মাথার চুল ন্যাড়া করে রাখবে (আবুদাউদ হা/৪৭৬৬; ইবনু মাজাহ হা/১৭৫)।
এদের লোকেরাই হযরত আলী ও মু‘আবিয়া (রাঃ)-কে ‘কাফের’ অভিহিত করে আলী (রাঃ)-কে হত্যা করেছিল এবং মু‘আবিয়া (রাঃ) ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন।