উত্তর : উক্ত সংখ্যাটি বলা হয়েছে শহীদদের মর্যাদায়। যেমন রাসূল (ছাঃ) শহীদদের ৬টি মর্যাদার অন্যতম হিসাবে বলেন,  ... তাদের প্রত্যেকের পক্ষ থেকে ৭০ জন নিকটাত্মীয়ের জন্য সুফারিশ কবুল করা হবে (তিরমিযী হা/১৬৬৩; ইবনু মাজাহ হা/২৭৯৯; মিশকাত হা/৩৮৩৪)। আর শহীদ সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় এবং আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যু বরণ করে (মুসলিম হা/১৯১৫; মিশকাত হা/৩৮১১)। উল্লেখ্য যে, হাশরের ময়দানে প্রত্যেক জান্নাতী ব্যক্তি তার সাথে অসংখ্য জাহান্নামীকে সুফারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার হাতে আমার প্রাণ তার কসম করে বলছি, ঐ দিন মুমিনগণ তাদের জাহান্নামী ভাইদের স্বার্থে আল্লাহর সাথে লিপ্ত হয়ে বলবে, হে আমাদের রব! এরা তো আমাদের সাথেই ছালাত-ছিয়াম ও হজ্জ আদায় করত। তখন তাদেরকে বলা হবে, যাও, তোমাদের পরিচিতদের উদ্ধার করে আনো। উল্লেখ্য, এরা জাহান্নামে পতিত হ’লেও ওযূর কারণে মুখমন্ডল আযাব থেকে মুক্ত থাকবে (তাই তাদেরকে চিনতে কোন অসুবিধা হবে না)। মুমিনগণ জাহান্নাম হ’তে এক বিরাট দলকে উদ্ধার করে আনবে। এদের অবস্থা এমন হবে যে, কারোর তো পায়ের নলা পর্যন্ত, আবার কারো হাঁটু পর্যন্ত দেহ আগুন ছাই করে দিবে। উদ্ধার শেষ করে মুমিনগণ বলবে, হে রব! যাদের সম্পর্কে আপনি নির্দেশ প্রদান করেছিলেন, তাদের মাঝে আর কেউ অবশিষ্ট নেই। আল্লাহ বলবেন, পুনরায় যাও, যার অন্তরে এক দীনার পরিমাণও ঈমান অবশিষ্ট পাবে তাকেও উদ্ধার করে আনো। তখন তারা আরো একদলকে উদ্ধার করে এনে বলবে, হে রব! অনুমতিপ্রাপ্তদের কাউকেও রেখে আসিনি। আল্লাহ বলবেন, আবার যাও, যার অন্তরে অর্ধ দীনার পরিমাণও ঈমান অবশিষ্ট পাবে তাকেও বের করে আনো। তখন আবার এক বিরাট দলকে উদ্ধার করে এনে তারা বলবে, হে রব! যাদের আপনি উদ্ধার করতে বলেছিলেন তাদের কাউকে ছেড়ে আসিনি। আল্লাহ বলবেন, আবার যাও, যার অন্তরে অণু পরিমাণও ঈমান বিদ্যমান, তাকেও উদ্ধার করে আন। তখন আবারও এক বিরাট দলকে উদ্ধার করে এনে তারা বলবে, হে রব! যাদের কথা বলেছিলেন তাদের কাউকেও রেখে আসিনি। অবশেষে আল্লাহ বলবেন, শাফা‘আত করেছে ফেরেশতাগণ, নবীগণ ও মুমিনগণ। এখন বাকী রয়েছেন দয়ালুদের সেরা দয়ালু।  অতঃপর  তিনি  জাহান্নামের  আগুন থেকে এক মুষ্ঠি গ্রহণ করবেন এবং অবশিষ্ট দলকে বের করে ‘নাহরুল হায়াত’ বা জীবন নদীতে নিক্ষেপ করবেন। সেখানে তারা নতুন জীবন প্রাপ্ত হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (মুসলিম হা/১৮৩)। সেখানে তারা ‘আল-জাহান্নামিইয়ূন’ বলে অভিহিত হবে (বুখারী হা/৭৪৫০; মিশকাত হা/৫৫৮৪)। উক্ত সৌভাগ্য লাভ করবে কেবল তারাই, যারা খালেছ অন্তরে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করেছে (বুখারী হা/৯৯; মিশকাত হা/৫৫৭৪)

প্রশ্নকারী : হৃদয় খান শান্ত*, সিরাজগঞ্জ।

[* আরবীতে ইসলামী নাম রাখুন (স. স.)]






বিষয়সমূহ: পরকাল
প্রশ্ন (৩৪/১৫৪) : জনৈক ছাহাবীর মাত্র দু’টি দাড়ি ছিল, যা দেখে রাসূল (ছাঃ) মুচকি হাসতেন। পরে তিনি তা কেটে ফেললে রাসূল (ছাঃ) তাকে বলেন, লোকটির প্রতিটি দাড়িতে রক্ষী ফেরেশতা থাকত, যা দেখে তিনি হাসতেন। এ ঘটনাটির সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (২২/১৪২) : সহো সিজদার সঠিক পদ্ধতি কি?
প্রশ্ন (২৮/২৬৮) : কেউ যদি কোন নির্দিষ্ট স্থানে কোন পশু যবেহ করার মানত করে তাহ’লে কি তাকে সেখানেই যবেহ করতে হবে? না অন্যত্র করলে হবে? - -নূরুল ইসলাম, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৮/১৮৮) : ইমাম রুকূ বা সিজদায় থাকা অবস্থায় মাসবূক সরাসরি রুকূ বা সিজদায় চলে যাবে, না প্রথমে তাকবীরে তাহরীমা বলে তারপর রুকূ বা সিজদায় যাবে?
প্রশ্ন (৪০/৩৬০) : ঈসা (আঃ) কি বর্তমানে জীবিত? ক্বিয়ামতের কতদিন পূর্বে তিনি আসবেন এবং কি কি কাজ করবেন?
প্রশ্ন (৩২/৩১২) : ছিয়াম অবস্থায় মযী নির্গত হ’লে ছিয়াম বিনষ্ট হবে কি? - -ফয়ছাল আলম, রাজবাড়ী।
প্রশ্ন (১৪/৪৫৪) : তাজবীদ শিক্ষা ব্যতীত কুরআন পাঠ করা জায়েয কি?
প্রশ্ন (৪০/৪৪০) : কোন ব্যক্তির আমলনামা সমান সমান হয়ে গেলে ঐ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না জাহান্নামে প্রবেশ করবে?
প্রশ্ন (২০/৪৬০) : আমার ৫০ দিনের ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর ১৫ দিন যাবত রক্তপাত হচ্ছে। এক্ষণে উক্ত রক্ত নিফাসের রক্ত হিসাবে গণ্য হবে কি? - -হেলেনা আখতার,পদ্মা আবাসিক এলাকা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৩/৩১৩) : পরনিন্দা বা গীবত করলে ওযূ ও ছিয়াম নষ্ট হবে কি? - -মোহাইমিন, সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
প্রশ্নঃ (৩/১৬৩) : সদ্যপ্রসূত শিশু মারা যাওয়ার পর জানাযা না পড়েই দাফন করা হয়। অতঃপর পরবর্তী জুম‘আর ছালাতের পর মসজিদে উপস্থিত সকল মুছল্ল­ী মিলে জানাযা ছালাত আদায় করা হয়। এমনটি করা কি ঠিক হয়েছে?
প্রশ্ন (৪০/২০০) : ছালাতরত অবস্থায় পেশাব বা বায়ুর চাপ আসলে তা চেপে রাখায় কোন দোষ আছে কি?
আরও
আরও
.