উত্তর : ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সহ দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বারো ইমামে বিশ্বাসী ইছনা ‘আশারিয়া ইমামিয়া শী‘আ। নিম্নে তাদের মৌলিক কিছু আক্বীদা তাদের কিতাবসমূহ থেকে বর্ণিত হ’ল।- (১) তাদের ইমামগণ অতীত এবং ভবিষ্যতের যাবতীয় গায়েবের জ্ঞান রাখে (কুলাইনী, আল-কাফী, হুজ্জাহ অধ্যায় ১/২০৩)। (২) ইমামদেরকে চেনা ও মানা ফরয। ইমামদেরকে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফের। তাদের প্রতি রাসূলের আনুগত্যের ন্যায় আনুগত্য পোষণ করতে হবে (আল-কাফী ১/১১০)। এছাড়া ইমামগণ নবীগণের ন্যায় নিষ্পাপ ও তারা যে কোন বস্ত্তকে হালাল বা হারাম ঘোষণা করার ক্ষমতা রাখেন (ঐ, ২২১, ২৭৮ পৃঃ)। তাদের নিকটে ফেরেশতা যাওয়া-আসা করেন (ঐ, ১৩৫)। (৩) আলী (রাঃ) সহ মাত্র কয়েকজন ছাহাবী ব্যতীত প্রথম তিন খলীফা সহ সকল ছাহাবী রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পর কাফের হয়ে গেছেন (ঐ, ৮/২৪৫)। (৪) জিবরীল যে কুরআন নিয়ে এসেছিলেন তাতে ১৭ হাযার আয়াত ছিল (ঐ, ২/৬৩৪)। (৫) তাদের নিকটে ‘মুছহাফে ফাতেমী’ রয়েছে, যা কুরআনের চাইতে তিনগুণ বড় এবং তাতে কুরআনের একটি হরফও নেই (ঐ, ১/২৩৯)। (৬) সুন্নীরা জাহান্নামী, তারা কাফের, নাপাক, তাদের জানাযার ছালাত আদায় করা নাজায়েয, তাদের যবেহ করা পশু খাওয়া অবৈধ, তারা ব্যভিচারের সন্তান, তারা বানর এবং শূকর, তাদেরকে হত্যা করা ওয়াজিব (বিহারুল আনওয়ার ৮/৩৬৮-৩৭০,আল-কাফী ১/২৩৯, ৮/১৩৫) (৭) ইমাম ও অলীদের মাযার যিয়ারত করা ফরয। যিয়ারত পরিত্যাগকারী কাফের (কিতাবু কামালিয যিয়ারাহ ১৮৩ পৃঃ)। (৮) হুসায়েন (রাঃ)-এর কবর যিয়ারত করা বিশ বার হজ্জ এবং ওমরাহ করার চেয়েও অধিক উত্তম (ফুরূঊল কাফী ১/৩২৪)। (৯) ইমাম মাহদী দাঊদ (আঃ)-এর পরিবারের বিধান অনুযায়ী পৃথিবী শাসন করবেন (আল-কাফী ১/৩৯৭) (১০) বর্তমান ইছনা ‘আশারিয়া শী‘আদের ইমাম ও ইরানী বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনী বলেন, আমাদের ইমামদের মর্যাদা এত উচ্চস্তরের যে, আল্লাহর কোন নিকটবর্তী ফেরেশতা বা প্রেরিত নবী উক্ত মর্যাদায় পৌঁছতে পারেনি’ (আল-হুকূমাতুল ইসলামিয়াহ ৭৫ পৃঃ)। এছাড়া তাঁর অদ্বৈতবাদী কুফরী দর্শনের পক্ষে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সাথে আল্লাহর বিশেষ অবস্থাসমূহ রয়েছে। তিনি আমরা এবং আমরা তিনি’ (শারহু দু‘আইস সাহার ১০৩ পৃঃ) ইত্যাদি। আহলে সুন্নাত বিদ্বানগণ উপরোক্ত আক্বীদা পোষণকারীদের কাফের হওয়ার ব্যাপারে একমত। যেমন- (১) ইমাম মালেক (৯৩-১৭৯ হিঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ছাহাবায়ে কেরামকে গালি দেয়, ইসলামে তার কোন অংশ নেই (আবুবকর খাল্লাল, আস-সুন্নাহ ৩/৪৯৩) (২) ইমাম শাফেঈ (১৫০-২০৪ হিঃ) বলেন, আমি প্রবৃত্তিপূজারীদের মধ্যে এদের চাইতে মিথ্যা সাক্ষ্যদানকারী কাউকে দেখিনি’ (আবু হাতেম রাযী, আদাবুশ শাফেঈ ১৪৪ পৃঃ) (৩) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (১৬৪-২৪১ হিঃ) বলেন, যারা আবুবকর, ওমর, আয়েশা (রাঃ) ও অন্যান্য ছাহাবীগণকে গালি দেয়, তারা ইসলামের উপর আছে বলে আমি মনে করি না (আবুবকর খাল্লাল, আস-সুন্নাহ ৩/৪৯৩) (৪) ইমাম বুখারী (১৯৪-২৫৬ হিঃ) বলেন, আমি জাহমী ও রাফেযী অথবা ইহূদী ও নাছারাদের পিছনে ছালাত আদায় করাকে পরোয়া করি না। তাদেরকে সালাম দেওয়া যাবে না, তাদের রোগীদের সেবা করা যাবে না, তাদের সাথে বিবাহ করা যাবে না, তাদের জানাযায় অংশগ্রহণ করা যাবে এবং তাদের যবেহকৃত পশু খাওয়া যাবে না (খালকু আফ‘আলিল ইবাদ ১২৫ পৃঃ)। (৫) ৫ম শতকের স্পেনীয় মুজাদ্দিদ ইমাম ইবনু হাযম আন্দালুসী (৩৮৪-৪৫৬ হিঃ) বলেন, কুরআন পরিবর্তনের দাবীদার রাফেযীরা মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত নয়। মিথ্যা ও কুফরীর দিক দিয়ে এরা ইহূদী-নাছারাদের স্থলাভিষিক্ত (কিতাবুল ফিছাল ২/২১৩)। (৬) ইবনু তায়মিয়াহ (৬৬১-৭২৮ হিঃ) বলেন, যারা ধারণা করে কুরআনের মধ্যে কিছু আয়াতের কমতি রয়েছে বা গোপন করা হয়েছে... তাদের কুফরীর ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। যারা ধারণা করে রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পর কয়েকজন ব্যতীত সকল ছাহাবী মুরতাদ হয়ে গেছেন... তাদের কুফরীতেও কোন সন্দেহ নেই। বরং তাদের কুফরীর ব্যাপারে যারা সন্দেহ করে তারাও কাফের (আছ-ছারেমুল মাসলূল ৫৮৬ পৃঃ)। (৭) যাহাবী (৬৭৩-৭৪৮ হিঃ) বলেন, যারা ছাহাবীগণকে নিন্দা করে এবং গালি দেয়, তারা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যায় এবং মুসলিম মিল্লাত থেকে খারিজ হয় (কিতাবুল কাবায়ের ২৩৭ পৃঃ)। (৮) মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব (১১১৫-১২০৬ হিঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ছাহাবীগণের সবাইকে ‘ফাসেক’ ও অধিকাংশকে ‘মুরতাদ’ হওয়ার আক্বীদা পোষণ করে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফরী করে (আর-রিসালাহ ফির রাদ্দি ‘আলার রাফেযাহ ১৮ পৃঃ)। (৯) আব্দুল আযীয দেহলভী (১১৫৯-১২৩৯ হিঃ) বলেন, আমি ইছনা ‘আশারিয়াদের গ্রন্থসমূহ পাঠ করে নিশ্চিত হ’লাম যে, ইসলামে তাদের কোন অংশ নেই এবং তাদের কুফরী নিশ্চিত (মুখতাছারুত তুহফাহ ইছনা ‘আশারিয়া ৩০০ পৃঃ)। (১০) আলবানী (১৩৩৩-১৪২০ হিঃ) বলেন, কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমায়ে উম্মতের বিরোধী হওয়ার কারণে খোমেনীর বক্তব্যসমূহ প্রকাশ্য কুফরী ও প্রকাশ্য শিরক। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সাথে সেগুলি বা তার কিছু অংশ বর্ণনা করবে, সে ব্যক্তি মুশরিক ও কাফের। যদিও সে ছিয়াম পালন করে, ছালাত আদায় করে এবং ধারণা করে যে সে একজন মুসলিম’ (বিস্তারিত আলোচনা দ্রঃ ড. নাছের বিন আব্দুল্লাহ, উছূলু মাযহাবিশ শী‘আতিল ইছনা ‘আশারিয়াহ)।




প্রশ্ন (৩৩/৭৩) : রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মুহাজির বলা যাবে কি? - -ফরহাদ, টিকাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৩/৩৭৩) : জনৈক ব্যক্তি হজ্জের টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু হজ্জ পালনের পূর্বেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। ওয়ারিছগণের কেউ কেউ গরীব হওয়ায় বদলী হজ্জ কাউকে দিয়ে না করিয়ে উক্ত টাকা তুলে ভাগ করে নিতে চায়। এটা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১০/২৯০) : আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে কুরআনের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাকি লিখিতভাবে নাযিল হয়েছিল। একথার কোন সত্যতা আছে কি? - এমদাদুল ইসলাম পশ্চিম বঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (১২/৩৩২) : পবিত্র কুরআন ৩০ পারা না ৯০ পারা?
প্রশ্ন (৯/২৪৯) : বর্তমানে অনেক পরিবারে বিবাহ বার্ষিকী, জন্ম ও মৃত্যু দিবস, বাবা দিবস, মা দিবস ইত্যাদি অনুষ্ঠান পালিত হয়। নিছক সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার্থে ঘৃণা রেখে এসব অনুষ্ঠানে যোগদান করা যাবে কি? এসব অনুষ্ঠান থেকে কোন খাদ্য পাঠালে তা খাওয়া যাবে কি? - -কবীর মেহেদী, লালমাটিয়া, ঢাকা।
প্রশ্ন (৫/৩২৫) : আত্মহত্যাকারী জানাযা পড়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১৫/২৯৫) : ছালাতের মধ্যে সূরা বাক্বারাহ শেষে আমরা ‘আমীন’ বলে থাকি। এর দলীল জানতে চাই।
প্রশ্ন (২৩/১০৩) : বনু ইস্রাঈলের এক আবেদ ব্যক্তিকে বলা হ’ল তুমি আল্লাহর রহমতে জান্নাতে যাবে। তখন সে বলল, আমি আমার আমলের বিনিময়ে জান্নাতে যেতে চাই। তাকে পুনরায় একই কথা বলা হ’লে সে আবারও বলল, আমার আমলের বিনিময়েই জান্নাতে যেতে চাই। তখন আল্লাহ ফেরেশতাগণকে বললেন, তোমরা আমার দেওয়া নে‘মত এক পাল্লায় এবং তার আমলসমূহ এক পাল্লায় রেখে পরিমাপ কর। তখন কেবল চক্ষুর নে‘মত এত ভারী হয়ে গেল যে, তা তার ৫০০ বছরের ইবাদতকে ছেয়ে ফেলল। তখন সে বুঝতে পারল এবং আল্লাহর রহমতেই জান্নাতে প্রবেশ করতে চাইল। হাদীছটি কি ছহীহ?
প্রশ্ন (২৯/৪২৯) : জনৈক ব্যক্তির প্রথমা স্ত্রীর দু’সন্তান ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সাত সন্তান। প্রথমা স্ত্রীর বড় ছেলের পাঁচ সন্তান ও ছোট ছেলে নিঃসন্তান। প্রথমা স্ত্রীর বড় ছেলে মারা গেছে এবং তার দুই ছেলে আছে। এক্ষণে প্রথমা স্ত্রীর ছোট ছেলে মারা গেলে বৈমাত্রেয় ভাইয়েরা সম্পত্তির ওয়ারিছ হবে, নাকি আপন ভাতিজারা ওয়ারিছ হবে?
প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) : যোহরের ফরয ছালাতের আগের ৪ বা ২ রাক‘আত সুন্নাত পড়তে না পারলে তা কি যোহরের ফরয ছালাতের পর আদায় করা যাবে? এই অবস্থায় কোন সুন্নাতটি আগে পড়ব? - -মুহাম্মাদ বিলাল, ওয়ারী, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩৫/৪৩৫) : জুম‘আর দিনে খুৎবা দীর্ঘ হ’লে মুছল্লীরা বিভিন্ন কথা বলে। আবার কেউ কেউ ঘড়ি দেখায়। এক্ষেত্রে খতীবের করণীয় কী? - -নাজীবুল ইসলাম, বৃ-কুষ্টিয়া, বগুড়া।
প্রশ্ন (৮/১২৮) : নিষিদ্ধ সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে দুখূলুল মসজিদ দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা যাবে কি?
আরও
আরও
.