উত্তর : এ ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা আক্বীদা বা তাওয়াক্কুল বিরোধী নয়। কেননা রোগ হওয়ার পূর্বে তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা অবলম্বন করাও এক ধরনের চিকিৎসা। আর চিকিৎসা গ্রহণ করা শরী‘আতেরই নির্দেশ। তবে ঔষধ বা ডাক্তারকে আরোগ্যদানকারী মনে করলে শিরক হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ এমন কোন রোগ নাযিল করেননি, যার জন্য তিনি ঔষধ নাযিল করেননি (বুখারী হা/৫৬৭৮; মিশকাত হা/৪৫১৪)। তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক রোগের ঔষধ রয়েছে। যখন সেটা পৌঁছে যায়, তখন সে রোগমুক্ত হয় আল্লাহর হুকুমে (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫১৫)। অতএব যাবতীয় কল্যাণ ও অকল্যাণ সংঘটিত হয় আল্লাহর হুকুমে, এই আক্বীদা পোষণ করে যেকোন বৈধ প্রতিষেধক গ্রহণে শরী‘আতে কোন বাধা নেই।
প্রশ্নকারী : নাফীস আব্দুল্লাহ, খুলনা।