
উত্তর : উক্ত আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়) তালাক দেয়, তাহ’লে সে যতক্ষণ তাকে ব্যতীত অন্য স্বামী গ্রহণ না করে, ততক্ষণ উক্ত স্ত্রী তার জন্য সিদ্ধ হবে না। অতঃপর যদি উক্ত স্বামী তাকে তালাক দেয়, তখন তাদের উভয়ের পুনরায় ফিরে আসায় কোন দোষ নেই, যদি তারা মনে করে যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা বজায় রাখতে পারবে। এগুলি আল্লাহর সীমারেখা। যা তিনি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য বর্ণনা করে থাকেন’ (বাক্বারাহ ২/২৩০)।
হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, ‘দ্বিতীয় স্বামী কর্তৃক স্বেচ্ছায় তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে তার প্রথম স্বামীর নিকট পুনরায় ফিরে আসার অনুমতি প্রদান আল্লাহর পক্ষ হ’তে একটি বিশেষ অনুগ্রহ। কেননা তাওরাতের বিধান মতে তারা আর বিবাহ করতে পারে না। ইনজীলের বিধান মতে তাদের মধ্যে স্থায়ীভাবে বিবাহ নিষিদ্ধ। কিন্তু ইসলামী শরী‘আত বান্দার কল্যাণার্থে তিন তালাকের পরও পুনরায় ঐ স্বামীর সাথে বিবাহের সুযোগ রেখেছে’ (ই‘লামুল মু‘আক্কিঈন ২/৫৬-৫৭)। অর্থাৎ সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে বিদায় করার পর যদি উক্ত নারী দ্বিতীয় স্বামীও গ্রহণ করে, তবে সেই স্বামী কর্তৃক স্বেচ্ছায় তালাকপ্রাপ্তা হ’লে কিংবা মারা গেলে নির্দিষ্ট ইদ্দত পালনের পর পুনরায় প্রথম স্বামী বিবাহের মাধ্যমে তাকে গ্রহণ করতে পারে’ (বাক্বারাহ ২/২৩০)।
তবে এক্ষেত্রে কোন অপকৌশলের আশ্রয় নিলে দ্বিতীয় স্বামী ‘ভাড়াটে ষাঁড়’ হবে, যা হারাম। এটা হানাফী মাযহাবে এখনও চালু আছে (ইবনু মাজাহ হা/১৯৩৬; হাকেম হা/২৮০৪; ছহীহুল জামে‘ হা/২৫৯৬)। হালালাকারীর ঐ বিয়ে বাতিল হবে এবং পূর্ব স্বামীর জন্যও তা হালাল হবে না (ছালেহ বিন ফাওযান, আল-মুলাখখাছুল ফিক্বহী ৩১৭-১৮ পৃ.; বিস্তারিত দ্র. ‘তালাক ও তাহলীল’ বই ‘হিন্দু ধর্মে তালাক’ অনুচ্ছেদ)। উক্ত আয়াতে মূলত হিল্লা বিবাহ হারাম করা হয়েছে, যদিও হানাফী মাযহাবে তা এখনও প্রচলিত।
প্রশ্নকারী : ক্বামারুয্যামান, তানোর, রাজশাহী।