উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে’ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)। এর ব্যাখ্যায় ত্বীবী বলেন, এর দ্বারা চেহারায়, চরিত্রে ও পোষাকে সাদৃশ্য বুঝানো হয়েছে। তবে পোষাকে সাদৃশ্যই প্রধান’। মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী বলেন, পোশাক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কাফিরদের সাথে কিংবা ফাসিক, পাপাচারী কিংবা ছূফী ও নেককার ব্যক্তিদের সাথে সাদৃশ্য রাখা, অর্থাৎ ভালো কিংবা খারাপ যে সকল মানুষের সাথে সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদেরই দলভুক্ত হবে (মিরক্বাত হা/৪৩৪৭-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য, ৭/২৭৮২)। মানাভী বলেন, তাদের মতে পোষাক পরিধান করা, তাদের পথে পরিচালিত হওয়া, পোষাকে ও কাজে তাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করা (ফায়যুল ক্বাদীর ৬/১০৪, হা/৮৫৯৩-এর ব্যাখ্যা)। যেমন আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) আমার পরিধানে হলুদ রংয়ের দু’টি পোষাক দেখে বললেন, ‘এগুলো কাফিরদের পোষাক। অতএব তুমি এসব পরবে না’ (মুসলিম হা/২০৭৭; মিশকাত হা/৪৩২৭)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘তোমাদের কারো নিকট দু’টি কাপড় থাকলে সে যেন ঐগুলি পরেই ছালাত আদায় করে। আর একটিমাত্র কাপড় থাকলে সে যেন তা কোমরে বেঁধে নেয় এবং ইহূদীদের ন্যায় দু’কাঁধে ঝুলিয়ে না রাখে’ (আবুদাঊদ হা/৬৩৫; ইবনু খুযায়মা হা/৭৬৬)

এক্ষণে কাফিরদের সাথে সাদৃশ্য অবলম্বন করাকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়- ১. অবৈধ সাদৃশ্য। অর্থাৎ জেনেশুনে কাফিরদের এমন বিষয়ের সাথে সাদৃশ্য রাখা, যা তাদের ধর্ম-কর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং ইসলামী শরী‘আতে যার সমর্থন নেই। এরূপ সাদৃশ্য হারাম এবং ক্ষেত্রবিশেষে কবীরা গুনাহ। ২. বৈধ সাদৃশ্য। অর্থাৎ যা মৌলিকভাবে কাফেরদের গৃহীত রীতি-নীতি থেকে গৃহীত হয়নি। বরং মুসলমানরা পরিধান করে এবং তারাও করে’ (দ্র. সুহায়েল হাসান, কিতাবুস সুনান ওয়াল আছার ফিন নাহিয়ে আনিত তাশাববুহে বিল কুফফার ৫৮-৫৯ পৃ.)






প্রশ্ন (৩/৩) : বর্তমানে নারীদের বোরক্বা ও হিজাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রং বেরঙের কাপড় ব্যবহার করে আকর্ষণীয় করা হয়। এরূপ আকর্ষণীয় ও সৌন্দর্যমন্ডিত বোরক্বা ও হিজাব পরা জায়েয হবে কি? - -মাহফূযা বেগম, গোবরচাকা, খুলনা।
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : রাসূল (ছাঃ) মি‘রাজে যাওয়ার সময় জিব্রীলের আদেশে তূরে সীনা ও বায়তুল লাহমে ছালাত আদায় করেছেন। এতে কি প্রমাণ হয় যে, সালাফে ছালেহীনদের স্মৃতিবিজড়িত স্থানে বরকত হাছিলের জন্য বিশেষ ছালাত আদায় করা যায়? বিস্তারিত জানতে চাই। - -আলী আছগর, ডাকবাংলা, ঝিনাইদহ।
প্রশ্ন (৩৬/৩১৬) : ইস্তেখারাহ কি? এর ফযীলত ও কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চাই। কোন কোন ক্ষেত্রে ইস্তেখারাহ করা যায়?
প্রশ্ন (২/৩২২) : আমি মানুষকে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করছি। কিন্তু তার অধিকাংশই নিজে পালন করতে পারি না। অথচ আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা কর না তা বল কেন?’। এক্ষণে আমি কি দাওয়াত থেকে বিরত থাকব?
প্রশ্ন (২২/৩০২) : বস্ত্রহীন অবস্থায় ওযূ করা জায়েয হবে কি? - -এখতারুল ইসলামগাংনী, মেহেরপুর।
প্রশ্ন (৩১/৩৫১) : ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) এত বড় মুহাদ্দিছ হওয়া সত্ত্বেও তার গ্রন্থে যঈফ হাদীছ কেন? - -কাবীর হোসাইন, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৬/২১৬) : বিভিন্ন প্রচার পত্র ও ইসলামী সম্মেলনের চাঁদা আদায়ের রশিদের শীর্ষে ‘৭৮৬’ লেখা দেখা যায়। এর অর্থ কি? এটা লেখা কি ছহীহ হাদীছ সম্মত?
প্রশ্ন (১৮/২৯৮) : প্রশ্ন : জনৈকা বিবাহিতা নারীর ইচ্ছার প্রেক্ষিতে তার পরিবার তার স্বামীর নিকট থেকে তালাক গ্রহণ করে এবং একই দিনে তাকে আমার সাথে বিবাহ দেয়। এরপর গত ৫ মাসে একত্রে বসবাস করলেও একাধিকবার সে পিতার বাড়িতে চলে যায়। বর্তমানে সে ভালোভাবে আমার সাথে সংসার করতে চায়। এক্ষণে ইদ্দত পালন না করায় উক্ত বিবাহ সঠিক হয়েছিল কি? সংসার করতে হ’লে আমাদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (২০/২০) : ছালাতে দ্বিতীয় রাক‘আতে শামিল মুক্তাদীর জন্য তা প্রথম রাক‘আত হিসাবে গণ্য হয়। এক্ষণে এ রাক‘আতে যে তাশাহহুদ পাওয়া যাবে সেখানে দো‘আ-দরূদ পড়া যরূরী কি?
প্রশ্ন (২২/৩৮২) : সূরা রহমানের ৭২ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীর ইবনে কাছীরে জান্নাতে ৬০ মাইল ও ৩০ মাইল প্রশস্ততা বিশিষ্ট তাঁবু থাকবে বলা হয়েছে। দু’টির মধ্যে সমন্বয় কি?
প্রশ্ন (১৩/১৩) : জনৈক ব্যক্তি জীবিতাবস্থায় সম্পদের কিছু অংশ কিছু ওয়ারিছের নামে রেজিস্ট্রি করে যান। বাকী অংশ তার মৃত্যুর নির্দিষ্ট কয়েক বছর পর বণ্টন করার অছিয়ত করে যান। এরূপ করা সঠিক হয়েছে কি?
প্রশ্ন (২১/৬১) : পিতা-মাতার মাঝে গন্ডগোল লাগলে সন্তানের করণীয় কি? - -উম্মে হাসীবারেহাইয়ের চর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
আরও
আরও
.