উত্তর : কোন বাধা নেই। যাদের পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ ও ওমরাহ করা শরী‘আত সম্মত তারা হ’লেন, মৃত ব্যক্তি, অতি বৃদ্ধ, চির রোগী, এমন মহিলা যার সাথে মাহরাম নেই প্রমুখ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৫১১-১৩ ‘হজ্জ’ অধ্যায়)। আবু রাযীন আল-উকায়লী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা খুবই বৃদ্ধ। তিনি হজ্জ, ওমরাহ, এমনকি সফর করতেও সক্ষম নন। তিনি বললেন, ‘তোমার পিতার পক্ষে তুমি হজ্জ ও ওমরা আদায় কর’ (আবুদাউদ হা/১৮১০; তিরমিযী হা/৯৩০; মিশকাত হা/২৫২৯, সনদ ছহীহ)। তবে যাকে পাঠানো হবে তাকে অবশ্যই ইতিপূর্বে নিজের হজ্জ সম্পাদন করতে হবে (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৫২৮, হাদীছ ছহীহ)। সুস্থ ও সবল ব্যক্তির পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ জায়েয নয়। বরং তাকে নিজেই হজ্জ করতে হবে (আল-মুগনী ৩/২২৩; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২১/১৪০)। আর তাওয়াফ ও সাঈ চলাকালীন সময়ে তালবিয়া পাঠ করা উচিৎ নয়। কেননা এসময়ে পাঠ করার জন্য বিভিন্ন দো‘আ রয়েছে (নববী, শরহ মুসলিম ৮/৯১)। ইবনু আববাস (রাঃ) ওমরার সময় হাজারে আসওয়াদ স্পর্শ করার পর তালবিয়া পাঠ বন্ধ করতেন (তিরমিযী হা/৯১৯; ইরওয়া হা/১০৯৯)। ‘স্পর্শ করা’ অর্থ হাজারে আসওয়াদের দিকে ইশারা করে তাওয়াফ শুরুকালীন সময়ে।