উত্তর : জায়েয হবে না। বরং এটাও সূদ হিসাবে গণ্য হবে। আর জাহেলী যুগে সূদের এই প্রথা ব্যাপক হারে প্রচলিত ছিল। যায়েদ ইবনু আসলাম (রহঃ) বলেন, জাহেলী যুগে সূদ ছিল এইরূপ যে, এক ব্যক্তির অপর ব্যক্তির উপর মেয়াদী পাওনা রয়েছে। যখন পাওনা আদায় করার সময় উপস্থিত হ’ত, তখন (ঋণগ্রহীতাকে বলা হ’ত) আমার পাওনা আদায় করবে, না ঋণ বৃদ্ধি করে সময় বৃদ্ধি করে নিবে (এখন) ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ শোধ করে (তবে ভাল কথা), অন্যথায় সময়ানুপাতে সূদের হার বৃদ্ধি করে দেওয়া হ’ত (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/২৬৭০; বায়হাক্বী হা/১০৪৬৭)। এজন্য বিদ্বানগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, সময়ের বৃদ্ধিতে অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের শর্তে যাবতীয় লেনদেন হারাম (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ৪/৩১৩; ড. আব্দুল ওয়াহ্হাব, ফিক্বহুল মু‘আমিলাতিল হাদীছিইয়াহ, ৫৭১ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : রবীউল ইসলাম, দিনাজপুর।