উত্তর: যমযমের পানি পানের সময় ১. বিসমিল্লাহ বলবে, ২. ডান হাতে পান করবে, ৩. তিন নিঃশ্বাসে পান করবে. ৪. দো‘আ পাঠ করবে।

উল্লেখ্য যে, যমযম পানি কেবলামুখী হয়ে পান করার ছহীহ দলীল নেই। বরং যমযমের পানিসহ যেকোন পানাহার বসে করাই সুন্নাত (মুসলিম হা/২০২৪; আহমাদ হা/৭৭৯৫-৯৬; মিশকাত হা/৪২৬৬, ৬৭; ছহীহাহ হা/১৭৬)। তবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিদায় হজ্জের সময় (ভিড়ের মধ্যে) যমযমের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪২৬৮) এবং আলী (রাঃ) কূফার মসজিদের আঙিনায় ওযূ করার পর অতিরিক্ত পানি দাঁড়িয়ে পান করেন ও বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে দাঁড়িয়ে পানি পান করতে দেখেছি (বুখারী হা/৫৬১৬; মিশকাত হা/৪২৬৯) মর্মে বর্ণিত হাদীছগুলি সম্পর্কে ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে পান করা যে জায়েয, সেটা বুঝানোর জন্যই রাসূল (ছাঃ) এরূপ করেছেন (ফাৎহুল বারী হা/২৬১৫-১৬-এর আলোচনা)। ইমাম নববীও একই মন্তব্য করেছেন (শরহ নববী হা/২০২৭-এর আলোচনা)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, হজ্জের সময় ভিড়ের কারণে বসার সুযোগ না থাকায় তিনি দাঁড়িয়ে পান করেছিলেন এবং এটাই ছিল তাঁর শেষ আমল (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩২/২১০)

উল্লেখ্য যে, যমযমের পানি পানের অনেক উপকারিতা রয়েছে (ইবনু মাজাহ হা/৩০৬২; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৫০২)। এজন্য যেকোন রোগ থেকে সুস্থতা কামনা করে দো‘আ পাঠ করা যায় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ২৬/১৪৪)। ছাহাবায়ে কেরাম যমযমের পানি পাত্রে রাখতেন। কেউ অসুস্থ হ’লে তার শরীরে পানি ছিটিয়ে দেওয়া হ’ত এবং তাদেরকে পান করানো হ’ত (ছহীহাহ হা/৮৮৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয় তা (যমযমের পানি) বরকতপূর্ণ, পরিতৃপ্তিকর খাদ্য এবং রোগের প্রতিষেধক (ছহীহুল জামে‘ হা/২৪৩৫)। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হ’ল যমযমের পানি। তাতে রয়েছে তৃপ্তিময় খাদ্য এবং ব্যাধির আরোগ্য (ছহীহুল জামে‘ হা/৩৩২২)। তিনি অন্যত্র বলেন, যমযমের পানি যে যেই উদ্দেশ্যে পান করবে তার সেই উদ্দেশ্য পূরণ হবে, তুমি যদি সুস্থতার জন্য পান কর তাহ’লে আল্লাহ তোমাকে সুস্থ করবেন। তুমি ক্ষুধা নিবারণের জন্য পান করলে আল্লাহ তোমার ক্ষুধা নিবারণ করবেন, তুমি পিপাসা দূর করার জন্য পান করলে আল্লাহ তোমার পিপাসা দূর করবেন (ছহীহুত তারগীব হা/১১৬৪)। তবে যমযমের পানি পান করার সময় পঠিতব্য দো‘আর ব্যাপারে ইবনু আববাস থেকে যে আছারবর্ণিত হয়েছে তা যঈফ (যঈফুত তারগীব হা/৭৫০)

প্রশ্নকারী : ছাদেক, মোহনপুর, রাজশাহী।







বিষয়সমূহ: বিবিধ
প্রশ্ন (২৭/৩৮৭) : জনৈক আলেম বলেন পুরুষরা হলুদ কাপড় পরিধান করতে পারবে না। কিন্তু লাল কাপড় পরিধান করতে পারবে। এর সত্যতা জানতে চাই। - -আব্দুর রহমান উসামা, দক্ষিণপাড়া, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ।
প্রশ্নঃ (১০/৪৫০) : আমি বিধবা মহিলা। আগামী বছর হজ্জে যাওয়ার নিয়ত করছি। কিন্তু কোন মাহরাম ব্যক্তি সাথে যাচ্ছে না এবং তার সংগতিও আমার নেই। আমার ননদ ও ননদের স্বামী হজ্জে যাচ্ছে। তাদের সাথে আমি যেতে পারব কি?
প্রশ্ন (১৬/৩৫৬) : ফরয ছালাতের কোন রাক‘আতে মুছল্লী সূরা ফাতিহা পাঠ করতে ভুলে গেলে তার জন্য করণীয় কি? উক্ত রাক‘আত পুনরায় আদায় বা সাহু সিজদা দিলে হবে কি? - -ইমরোজ হাসান, খলিশাগাড়ি, চুয়াডাঙ্গা।
প্রশ্নঃ (১০/২৫০) : হাদীছে এসেছে, আয়েশা (রাঃ) আযান ও ইক্বামত দিতেন। প্রশ্ন হ’ল, তিনি কি উচ্চৈঃস্বরে আযান দিতেন?
প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : ঔষধের দোকানে তরল জাতীয় কিছু ঔষধ পাওয়া যায়, যা রোগের উপশমের কাজ করে। আবার মানুষ বিভিন্ন উপায়ে তা নেশা করার জন্য ব্যবহার করে। এরূপ ঔষধ সেবন করা জায়েয হবে কি? - -রাশেদুয্যামান, ফুলতলা, পঞ্চগড়।
প্রশ্ন (৬/৪৪৬) : বিদেশে কর্মরত অবস্থায় সবসময় ছালাত ক্বছর করা যাবে কি? - -মাসঊদ শেখ, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
প্রশ্ন (৩০/১৯০) : গীবত শ্রবণকারী গীবতকারীর সমপরিমাণ গোনাহগার হয়। সভা-সমিতিতে এরূপ গীবত হ’লে সেক্ষেত্রে শ্রবণকারীর করণীয় কি?
প্রশ্ন (১/৮১) : জনৈক ব্যক্তির বাড়ির আঙ্গিনায় ছাদ নেই। পাশের ভবন থেকে বাড়ির ভিতর দেখা যায়। এক্ষণে অসৎ উদ্দেশ্য ছাড়াই জানালা দিয়ে তাকানোতে তাদের নারীদের দিকে চোখ পড়লে গুনাহ হবে কি?
প্রশ্ন (১৪/২১৪) : ছেলেদের রাগ কমানোর জন্য অনেকে কানফুল দিয়ে থাকে। এটা শরী‘আতসম্মত হবে কি?
প্রশ্ন (২৮/৪২৮) : আমার স্ত্রী অধিকাংশ সময় বসে ছালাত আদায় করে এবং সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার ওযর পেশ করে। এরূপ ওযরে অধিকাংশ ওয়াক্তে বসে ছালাত আদায় করলে তা কবুলযোগ্য হবে কি? - কামরুল ইসলামকুলিয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩৭/১৫৭) : জিনিসপত্র নির্ধারিত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয আছে কি? - -মোবারক হোসাইন, মোহনপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২১/২২১) : জনৈক আলেম বলেন, যে ব্যক্তি লায়লাতুল ক্বদরে রাত্রি জাগরণ করে ইবাদত করল, তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করা হবে। বক্তব্যটির সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
আরও
আরও
.