উত্তর : দাড়ি কাটা-ছাটা জায়েয নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা গোঁফ ছোট কর, দাড়িকে ছেড়ে দাও এবং মুশরিকদের বিরোধিতা কর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)।
তিরমিযীর বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাড়ির বর্ধিত অংশ ছাটতেন মর্মে আবু
হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হাদীছটি মুহাদ্দিছীনের নিকট বাতিল বলে গণ্য (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮৮)।
উল্লেখ্য, ইবনু ওমর (রাঃ) যখন হজ্জ বা ওমরা করতেন তখন তিনি তাঁর দাড়ি
মুষ্টি করে ধরতেন এবং মুষ্টির বাহিরে যতটুকু বেশী থাকত, তা কেটে ফেলতেন
বলেন বর্ণিত হয়েছে (বুখারী হা/৫৮৯২, ‘পোষাক’ অধ্যায়, ৬২ অনুচ্ছেদ)।
প্রথমতঃ এটি ছিল তার ব্যক্তিগত আমল। অন্য কোন ছাহাবী এমনটি করেছেন মর্মে দলীল পাওয়া যায় না। আর তিনি কাউকে করার জন্য নির্দেশও দেননি। দ্বিতীয়ত: তিনি শুধু হজ্জ ও ওমরার সময় করেছেন, অন্য সময় নয়। তৃতীয়ত: এটি ব্যাখ্যাগত বিষয়, যা স্পষ্ট দলীলের কাছে টিকে না। তিনি হয়ত উক্ত মৌসুমে মাথা কামিয়ে ও দাড়ি ছেঁটে উভয়টির নেকী পেতে চেয়েছিলেন (ফাতহ ২৭)। তবে জানা উচিত, উক্ত আয়াত রাসূলের উপরই নাযিল হয়েছে। কিন্তু তিনি দাড়ি ছাটার কথা বলেননি। ওমর (রাঃ)-এর একটি আমলের সাথে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর আমলের দ্বন্দ্ব হ’লে করণীয় সম্পর্কে ইবনু ওমরকে প্রশ্ন করা হ’লে তিনি উত্তরে স্পষ্টভাবে বলেন, أَفَرَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَحَقُّ أَنْ تَتَّبِعُوْا سُنَّتَهُ أَمْ سُنَّةَ عُمَرَ- ‘তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সুন্নাত অধিক অনুসরণযোগ্য, না ওমরের সুন্নাত’ (মুসনাদে আহমাদ হা/৫৭০০; তিরমিযী হা/৮২৪, ‘হজ্জ’ অধ্যায়, ‘তামাত্তু’ অনুচ্ছেদ, সনদ ছহীহ)। অতএব সর্বাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সুন্নাতের অনুসরণ করাই উত্তম।
لحية বলা হয় ঐ সমস্ত লোমকে, যা পুরুষের দুই গাল ও থুতনীর নীচে হয়ে থাকে। অতএব গালের উপর ও থুতনীর নীচে যে সমস্ত লোম উদিত হয় তা কাটা ও ছাটা যাবে না।