উত্তর : খুৎবা
চলাকালে খতীবের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে উপরোক্ত দো‘আ সমূহ পাঠ করায় কোন
বাধা নেই। যেমন খুৎবার সময় ইমাম দো‘আ করলে, রাসূল (ছাঃ)-এর নাম নিলে,
আল্লাহ প্রদত্ত বড় কোন নে‘মত অথবা কোন আমলে প্রভূত ফযীলত ইত্যাদি বর্ণনা
করলে প্রত্যুত্তরে এমন স্বরে আমীন বলা বা তাসবীহ পাঠ করা। যা অন্য
মুছল্লীদের শ্রবণে বিঘ্ন ঘটাবে না (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩০/২৪৩)।
ছাহাবায়ে কেরামের বৈশিষ্ট্য ছিল যে, তারা এমন কিছু শুনলে তাকবীর বা তাসবীহ পাঠ করতেন। একদিন রাসূল (ছাঃ) বলেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম। আমি আশা করি, তোমরা সমস্ত জান্নাতবাসীর এক-তৃতীয়াংশ হবে। আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, আমরা এ কথা শুনে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে উঠলাম। তিনি আবার বললেন, আমি আশা করি তোমরা সমস্ত জান্নাতীদের অর্ধেক হবে। এ কথা শুনে আমরা আবারও ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবীর দিলাম (বুখারী হা/৩৩৪৮; মিশকাত হা/৫৫৪১)। এমনকি ছালাতরত অবস্থাতে রাসূল (ছাঃ) যখন আল্লাহর বড়ত্ব বিষয়ক আয়াত অতিক্রম করতেন, তখন ‘সুবহানাল্লাহ’ বলতেন। যখন প্রার্থনামূলক আয়াত আসত, তখন প্রার্থনা করতেন। জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনার আয়াত আসলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতেন (মুসলিম হা/৭৭২)। মুছল্লীদের জন্যও অনুরূপ পাঠ করা মুস্তাহাব (শরহ নববী)। অতএব খুৎবার সময় মুছল্লীদের জন্য এরূপ বলায় কোন বাধা নেই। তবে এ সময় মুছল্লীদের মধ্যে পারস্পরিক বাক্যালাপ নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘জুম‘আর দিন ইমাম খুৎবা দেওয়ার সময় তুমি যদি তোমার সাথীকে বল ‘চুপ থাক’, তাহ’লে তুমি অনর্থক কথা বললে (বুখারী হা/৯৩৪; মুসলিম হা/৮৫১; মিশকাত হা/১৩৮৫)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান
কৃষ্ণপুর, মোহনপুর, রাজশাহী।