উত্তরঃ আল্লাহ ব্যবসা-বাণিজ্যকে হালাল এবং সূদকে হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২৭৫)। ব্যবসা-বাণিজ্যের কয়েকটি মূলনীতি হচ্ছে- (১) সূদ না থাকা। কেননা তা হারাম (বাক্বারাহ ২৭৮-৭৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূদ গ্রহীতা, সূদ দাতা, সূদের লেখক ও তার সাক্ষীদ্বয়কে অভিসম্পাত করেছেন। তিনি বলেন, তারা সবাই সমান অপরাধী (মুসলিম ৩/১২১৯ পৃঃ)। (২) মাপে কম না দেয়া ও ওযনে বেশী না নেওয়া। আল্লাহ বলেন, ‘দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা মাপে কম করে। যারা লোকের কাছ থেকে যখন মেপে নেয়, তখন পূর্ণ মাত্রায় নেয়। আর যখন লোকদেরকে মেপে দেয় কিংবা ওযন করে দেয়, তখন কম দেয়’ (আত-তাতফীফ ১-৩)। (৩) ধোঁকা না দেওয়া। একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বাজারের মধ্যে এক খাদ্য স্তূপের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্তূপের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিলে তার মধ্যে আর্দ্রতা পেলেন। তিনি বিক্রেতাকে বললেন, হে খাদ্য বিক্রেতা! কি ব্যাপার? সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! এতে বৃষ্টির পানি লেগেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তুমি তা স্তূপের উপরিভাগে রাখলে না কেন? তাহ’লে লোকে দেখতে পেত। জেনে রেখ, যে প্রতারণা করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়’ (মুসলিম ১/৯৯পৃঃ)। (৪) পণ্যের দোষ গোপন না করা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। কোন মুসলমানের জন্য তার ভাইয়ের নিকট ত্রুটিপূর্ণ পণ্য বিক্রয় করা বৈধ নয়। তবে যদি সে তা বলে বিক্রয় করে, তবে তা বৈধ হবে (ইবনু মাজাহ ২/৭৫৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭০৫)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যদি তারা দু’জন (ক্রেতা-বিক্রেতা) মিথ্যা বলে ও পণ্য বা মুদ্রার দোষ গোপন করে, তবে তাদের কেনা-বেচার বরকত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে’ (বুখারী, ফাতহুল বারী ৪/৩২৮পৃঃ)। (৫) দালালী না করা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্রেতার ভান করে তোমরা পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিও না’ (বুখারী, ফাতহুল বারী ১০/৪৮৪)






বিষয়সমূহ: হালাল-হারাম
প্রশ্ন (৫/৪৫) : আইয়ামে বীযের ছিয়াম মাসের যেকোন দিন রাখতে পারবে কি? - -আহমাদুল্লাহ, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৪/১৫৪) : জনৈক ছাহাবীর মাত্র দু’টি দাড়ি ছিল, যা দেখে রাসূল (ছাঃ) মুচকি হাসতেন। পরে তিনি তা কেটে ফেললে রাসূল (ছাঃ) তাকে বলেন, লোকটির প্রতিটি দাড়িতে রক্ষী ফেরেশতা থাকত, যা দেখে তিনি হাসতেন। এ ঘটনাটির সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (২১/৬১) : আমি ২য় পক্ষ গ্রহীতা। আমার জমি ক্রয়ের প্রয়োজনে নগদ টাকার দরকার হওয়ায় ১ম পক্ষ দাতার কাছ থেকে নগদ ১ লক্ষ টাকা গ্রহণ করি। এর বিপরীতে ১ম পক্ষকে উক্ত টাকার উপর লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে মাসিক আনুমানিক ১৫০০/= হারে প্রদান করতে বাধ্য থাকি। বছর শেষে তখনকার সময় জমির হারাহারি মূল্যের উপর লভ্যাংশ বিবেচনা করে চূড়ান্ত লাভ-লোকসান হিসাব করা হবে। উক্ত লভ্যাংশ গ্রহণ করা সূদ হবে কি-না। যদি সূদ হয়, তবে কোন পদ্ধতিতে সূদ হবে না জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২০/২৬০) : ‘দেশকে ভালবাসা ঈমানের অঙ্গ’ কথাটি কি হাদীছ? জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৫/২৫৫) : আমি কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি না। এক্ষণে অনুবাদ পাঠ করলে তেলাওয়াতের নেকী পাওয়া যাবে কি? - -ইকবাল বারী, আড়ানী, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২/২৮২) : রাসূল (ছাঃ) বলেন, প্রোথিতকারী (পিতা) এবং যাকে প্রোথিত করা হয়েছে (সন্তান) উভয়েই জাহান্নামী (আবুদাঊদ হা/৪৭১৭)। হাদীছটির সঠিক ব্যাখ্যা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৭/১১৭) : বর্তমানে জাতীয় নেতাদের কবরে গিয়ে সাড়ম্বরে রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী বা পরিবারের সদস্যদের হাত তুলে ফাতেহা পাঠের যে প্রচলন দেখা যায়, তা শরী‘আতসম্মত কি? - -নাজমুল হাসান, খুলশী, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (১০/৩৩০) : আমার স্ত্রী খুব রাগী। তার রাগ উঠলে কোন কিছুই শুনতে চায় না। একদিন সে রাগের মাথায় তার নিজের গলায় ছুরি ধরে আমাকে তালাক দিতে বলে। নাহলে সে আত্মহত্যা করবে বলে। এমতাবস্থায় আমি তাকে তালাক বলেছিলাম। সেসময় আমার জানা ছিল না তালাক বললে তালাক হয় কি-না। এরপর আমাদের ২ সন্তান হয়। এক্ষণে উক্ত তালাকের জন্য আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৫/১৩৫) : হানাফী মসজিদে ফজরের ছালাত কিছুটা বিলম্বে আদায় করা হয়। এক্ষণে আমি উক্ত ছালাত বাড়িতে আদায় করব কি?
প্রশ্ন (৩৬/৩৬) : আমি পূর্ণ পর্দার সাথে মেডিকেলে পড়াশুনা করি। দ্বীনদার হওয়া সত্ত্বেও আমার পিতা আমাকে নেকাব ব্যবহারে নিষেধ করেন। শুনেছি নেকাব ব্যবহার করা নারীর জন্য আবশ্যক নয়। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -শায়লা, রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর।
প্রশ্ন (১৬/৯৬) : স্ত্রী বিদেশে অবস্থানরত তার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চায়, কিন্তু স্বামী তাতে ইচ্ছুক নয়। এক্ষেত্রে উক্ত স্ত্রীর করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৯/১১৯) : রুকূতে তিনবারের কম বা বেশী তাসবীহ পাঠ করা যাবে কি? - -জান্নাতুল ফেরদাউস লিমা, মালিবাগ, ঢাকা।
আরও
আরও
.