
উত্তর : তওবা করলে ক্ষমার আশা করা যায়। যখনই মনের মধ্যে আল্লাহ সম্পর্কে কোন খটকা তৈরি হবে তখনই কয়েকটি করণীয় রয়েছে। যেমন-(১) আমানতু বিল্লাহ (আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম) বলবে (২) আঊযুবিল্লাহ পাঠ ও বাম দিকে তিন বার থুক মারবে। করবে (৩) সূরা ইখলাছ পাঠ করবে তাহ’লে মন থেকে এই সব খটকা দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষের মনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এমন প্রশ্নেরও সৃষ্টি হয় যে, এ সৃষ্টিজগত তো আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তাহ’লে আল্লাহকে সৃষ্টি করল কে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেন, ‘যার অন্তরে এমন প্রশ্নের উদয় হয় সে যেন বলে, আমানতু বিল্লাহ’ বা আমরা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি (মুসলিম হা/১৩৪)। তিনি আরো বলেন, তোমাদের কারো কাছে শয়তান এসে বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে, ওটা কে সৃষ্টি করেছে? পরিশেষে সে তাকে বলে, তোমার প্রতিপালককে কে সৃষ্টি করেছে? সুতরাং এ পর্যন্ত পৌঁছলে সে যেন আ‘ঊযুবিল্লাহ পাঠ করে (আল্লাহর কাছে (শয়তান থেকে) আশ্রয় প্রার্থনা করে) এবং (এমন কুচিন্তা থেকে) বিরত হয়’ (মুসলিম হা/১৩৪)।
তিনি আরো বলেন, ‘মানুষেরা তো (প্রথম সৃষ্টি জগত ইত্যাদি সম্পর্কে) পরস্পরের প্রতি প্রশ্ন করতে থাকবে, এমনকি সর্বশেষে এ প্রশ্নও করবে, সমস্ত মাখলূক্বাতকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তবে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? যখন তারা এ প্রশ্ন উত্থাপন করে তখন তোমরা বলবে, আল্লাহ এক, তিনি অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি আর কেউ তাকে জন্ম দেননি। তাঁর সমকক্ষও কেউ নেই। অতঃপর আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রজীম বলে বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং (শয়তানের উদ্দেশে) নিজের বাম দিকে তিন বার থুক মারবে (আবুদাউদ হা/৪৭২২; মিশকাত হা/৭৫, সনদ, হাসান)।
প্রশ্নকারী : মা‘রূফ, ময়মনসিংহ।