উত্তর : যারা কুরআন মুখস্থ করে ও অর্থ অনুধাবন করে এবং তদনুযায়ী আমল করে তারাই মূলতঃ আহলে কুরআন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কতক লোক আহলে কুরআন। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তারা কারা? তিনি বলেন, কুরআন তেলাওয়াতকারীগণ আহলে কুরআন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা’ (ইবনু মাজাহ হা/২১৫; ছহীহুল জামে‘ হা/২১৬৫; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৪৩২)। অত্র হাদীছের ব্যাখ্যায় মানাভী বলেন, ‘অর্থাৎ কুরআনের হাফেযগণ এবং তদনুযায়ী আমলকারী আল্লাহর ওলীগণ’ (ফায়যুল কাদীর হা/২৭৬৮, ৩/৬৭)

কিন্তু বর্তমান যুগে হাদীছ অস্বীকারকারী ভ্রান্ত ফেরকার লোকেরা নিজেদেরকে ‘আহলে কুরআন’ বলে দাবী করে। অথচ কুরআনের অসংখ্য আয়াতে হাদীছ তথা রাসূল (ছাঃ)-এর আদেশ-নিষেধ মেনে চলার নির্দেশ রয়েছে। যা তারা মানেনা। বস্ত্ততঃ রাসূল (ছাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণীর একটি বাস্তব চিত্র হ’ল ভ্রান্ত ফেরকা আহলে কুরআন।

রাসূল (ছাঃ) উক্ত দল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, ‘জেনে রাখো আমাকে কিতাব (কুরআন) এবং তার সাথে অনুরূপ একটি বস্ত্ত দেয়া হয়েছে। অচিরেই এমন এক সময় আসবে যখন কোন পেটপুরে খাদ্য গ্রহণকারী (প্রাচুর্যবান) ব্যক্তি তার আসনে বসে বলবে, তোমরা শুধু এ কুরআনকেই গ্রহণ কর, তাতে যা হালাল পাবে তা হালাল আর তাতে যা হারাম পাবে তা হারাম মনে কর’ (আবুদাঊদ হা/৪৬০৫ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৬২)। অন্য হাদীছে এসেছে, ‘আমি যেন তোমাদের মধ্যে কাউকে এমন অবস্থায় না পাই যে, সে তার সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে বসে থাকবে এবং তার নিকট যখন আমার আদিষ্ট কোন বিষয় অথবা আমার নিষেধ সম্বলিত কোন কিছু (হাদীছ) উত্থাপিত হবে তখন সে বলবে, আমি তা জানি না, আল্লাহ তা‘আলার কিতাবে আমরা যা পেয়েছি, তারই অনুসরণ করব’ (আবুদাঊদ হা/৪৬০৪ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৬৩)

রাসূল (ছাঃ)-এর উক্ত ভবিষ্যদ্বাণী হিজরী দ্বিতীয় শতকের শেষের দিকে বাস্তবে দেখা দেয়। এ সময় এমন কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটে, যারা সুন্নাতকে অস্বীকার করে। ইমাম শাফেঈ এমন একজন হাদীছ অস্বীকারকারী ব্যক্তির সাথে তার মুনাযারার কথা উল্লেখ করেছেন (কিতাবুল উম্ম ৭/২৮৭-২৯২)। সেখানে তিনি তার দাবীর অসারতা প্রমাণ করেছেন। অতঃপর দীর্ঘ এগারো শত বছর হাদীছ অস্বীকারকারীদের অস্তিত্বের কোন প্রমাণ মিলেনি। বিগত শতাব্দী তথা ত্রয়োদশ হিজরীতে এই ফিৎনার পুনরাবির্ভাব ঘটে মিসর, ইরাক এবং ভারতে (বিস্তারিত দ্রঃ ‘হাদীছের প্রামাণিকতা’ বই)। বর্তমানে বাংলাদেশেও এই ভ্রষ্ট আক্বীদার কিছু ব্যক্তির আবির্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

 ইমাম সুয়ূত্বী (রহঃ) বলেন, ‘তারা কাফের এবং ইসলাম হ’তে খারিজ। তাদের হাশর হবে ইহূদী ও নাছারা বা অন্যান্য ভ্রান্ত মতাবলম্বীদের সাথে’ (মিফতাহুল জান্নাহ পৃঃ ৫)






প্রশ্ন (২২/৪২২) : আমার প্রতিবেশীর মেয়ের বিবাহ ঠিক হয়েছে এমন এক ছেলের সাথে যার মন্দ চরিত্র সম্পর্কে আমি জানি। এক্ষণে তার চরিত্রের ব্যাপারে প্রতিবেশীকে জানালে তা গীবত হবে কি?
প্রশ্ন (২০/৩৮০) : জনৈক আলেম বলছেন, স্ত্রীর দুধপান করলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে সঠিক মত কি?
প্রশ্ন (২০/২০): আমার পিতা ও চাচারা তিন ভাই। আমার পিতা ২ ছেলে ৫ মেয়ে, ছোট চাচা ১ মেয়ে এবং সর্বশেষ আমার বড় চাচা ১ মেয়ে রেখে মারা গেছেন। এক্ষণে বড় চাচার সম্পত্তিতে আমরা কোন অংশ পাব কি? পেলে তা ভাতিজা ও ভাতিজীদের মাঝে কিভাবে বণ্টিত হবে?
প্রশ্ন (৩/৪৪৩) : জুম‘আর দিন ছিয়াম পালন করা মাকরূহ। কিন্তু আরাফার দিনটি যদি জুম‘আর দিন হয়, তাহ’লে সেদিন ছিয়াম পালন করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৫/২৯৫) : আমার উপর অন্যায়ভাবে কেউ আক্রমণ করলে আমি কি তাদেরকে প্রতিহত করব না ছবর করব? আমার হাতে তাদের কেউ নিহত হলে ইসলামের দৃষ্টিতে কি আমি খুনী সাব্যস্ত হব?
প্রশ্ন (৮/৪৮) : আমি কম্পিউটার কম্পোজের কাজ করি। অনেক কাজ আছে যেগুলি হারাম না হালাল কাজে ব্যবহার হবে তা বুঝা যায় না। বিদেশী অনেক কাজ আসে যেখানে মদের মেনুর নামও থাকে। এছাড়া ফটোকপিও করি যেখানে যাচাই-বাছাই প্রায় অসম্ভব এবং অন্যের জিনিস পড়ে দেখাও ঠিক নয়। এসব কাজ হারাম হবে কি?
প্রশ্ন (২৬/১৪৬) : মসজিদের ইমাম ছাহেব স্পষ্ট শিরকী কর্মে লিপ্ত থাকায় আমরা ৭-৮ জন ভাই একটি দোকানের ভিতর জুম‘আ আদায় করি। এভাবে জুম‘আ আদায় করা যাবে কি? জুম‘আর জন্য মসজিদ শর্ত কি? - -ছালাহুদ্দীন, রূপসা, খুলনা।
প্রশ্ন (৩৬/৩৬) : যেকোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে পরে মনে পড়লে ‘বিসমিল্লাহি আওয়ালুহু ওয়া আখিরুহু’ সর্বক্ষেত্রে বলা যাবে কি? - -ওয়াহীদুয্যামানশিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩৩/৭৩) : গ্রামের মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে বাইরে কবর ছিল। মসজিদ সম্প্রসারণ করার সময় কবরটি মসজিদের মধ্যে এসে যায়। পরে কিছু মানুষের বিরোধিতার মুখে কমিটি কবরস্থান বরাবর ছাদ পর্যন্ত পৃথক প্রাচীর দেয় এবং মসজিদের বাইরের দেওয়াল কবর বরাবর ভেঙ্গে দেয়। এক্ষণে সেখানে ছালাত শুদ্ধ হবে কি?
প্রশ্ন (৩০/১৫০) : স্বামী থাকার পরও পরকিয়ায় লিপ্ত স্ত্রী গোপনে দ্বিতীয় বিবাহ করে। সে প্রথম স্বামীর বাসাতেই থাকে। যদি সে প্রথম স্বামীর কাছেই থাকতে চায় তাহলে কি করতে হবে? - -আব্দুল মালেক আকন্দ, বাসাইল, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (৩৯/৩১৯) : দুই সিজদার মাঝে রাফঊল ইয়াদায়েন করার ব্যাপারে শারঈ কোন নির্দেশনা আছে কি? শায়খ আলবানী কি এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন?
প্রশ্ন (৭/৪০৭) : পরিবারে বর্তমানে খুব অভাব। তাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্কুল শিক্ষকের অনুমতিক্রমে সরকারী উপবৃত্তির টাকা নেওয়া যাবে কি?
আরও
আরও
.