উত্তর : উক্ত ঘটনাটি অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। কিন্তু সনদগতভাবে বিশুদ্ধ নয়। ঘটনা এই যে, জনৈক ইরাশী (الْإِرَاشِيُّ) ব্যক্তি মক্কায় উট নিয়ে আসেন। আবু জাহল তার নিকট থেকে একটি উট খরীদ করেন। কিন্তু তার মূল্য পরিশোধে টাল-বাহানা করেন। তখন উক্ত ব্যক্তি কুরায়েশদের ভরা মজলিসে দাঁড়িয়ে অভিযোগ পেশ করে বলেন, আমি একজন গরীব পথিক। অথচ আমার হক নষ্ট করা হয়েছে। লোকেরা তাকে রাসূল (ছাঃ)-কে দেখিয়ে বলল, তুমি কি ঐ ব্যক্তিকে চেন? তাঁর কাছে যাও। তখন লোকটি অনতিদূরে বসা রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে এল এবং উক্ত অভিযোগ পেশ করে বলল, আপনি আমার হক আদায় করে দিন। আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন! তখন রাসূল (ছাঃ) তাকে নিয়ে আবু জাহল-এর বাড়ি অভিমুখে চললেন। মুশরিকদের পক্ষ হ’তে একজন তাদের পিছু নিল, ঘটনা দেখার জন্য। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) এসে আবু জাহলের দরজায় করাঘাত করলেন। তখন আবু জাহল বেরিয়ে এলেন। রাসূল (ছাঃ) তাকে বললেন, আপনি এই ব্যক্তিকে তার হক বুঝে দিন। আবু জাহল বললেন, হ্যাঁ। আমি এখনই দিয়ে দিচ্ছি। অতঃপর তিনি ঘরে প্রবেশ করলেন ও টাকা এনে ইরাশীকে দিয়ে দিলেন।... একথা জানতে পেরে লোকেরা আবু জাহলের কাছে এসে ধিক্কার দিয়ে বলল, আপনার কি হয়েছে? কখনই তো আপনার কাছ থেকে এরূপ আচরণ আমরা দেখিনি। আবু জাহল বললেন, তোমাদের ধ্বংস হৌক! আল্লাহর কসম! মুহাম্মাদ আমার দরজায় করাঘাত করার পর তাঁর কণ্ঠ শুনে আমি ভয়ে কম্পিত হয়ে পড়ি। অতঃপর বেরিয়ে এসে দেখি তাঁর মাথার উপরে ভয়ংকর একটি উট। যার চোয়াল ও দাঁতসমূহের মতো আমি কখনো দেখিনি। আল্লাহর কসম! যদি আমি অস্বীকার করতাম, তাহ’লে সে আমাকে খেয়ে ফেলত’ (ইবনু হিশাম ১/৩৮৯-৯০; বিস্তারিত দ্র. ‘সীরাতুর রাসূল (ছাঃ)’ ৩য় মুদ্রণ)

প্রশ্নকারী : নূরুল ইসলাম, মোহনপুর, রাজশাহী।








প্রশ্ন (২৬/৩৮৬) : আমার ১০ লক্ষ টাকা ঋণ আছে। কিন্তু এখন তা শোধ করতে চাই না। এক্ষণে যাকাত বের করার সময় মূলধন থেকে উক্ত ঋণের টাকা হিসাবের বাইরে রাখতে হবে কি?
প্রশ্ন (২৯/১৮৯) : সম্প্রতি ‘মিলাদ ও কিয়ামের অকাট্য প্রমাণ’ নামে জনৈক মুফতী একটি বই বের করেছেন। সেখানে আপনাদের প্রকাশিত ‘মীলাদ প্রসঙ্গ’ বইয়ের ও তার বিজ্ঞ লেখকের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ করা হয়েছে। উক্ত বইয়ে কুরআন-হাদীছের মাধ্যমে মীলাদ-কিয়াম প্রমাণ করা হয়েছে। তাতে মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কি?
প্রশ্ন (২/২) : বিভিন্ন সময় আরব থেকে শায়েখ-মাশায়েখ বাংলাদেশে আগমন করেন এবং বিভিন্ন মসজিদে খুৎবা দেন। আরবী ভাষায় খুৎবা প্রদান করায় মুছল্লীরা বুঝতে পারে না। এমতাবস্থায় কোন বাঙ্গালী খুৎবার তরজমা করে দিলে কোন দোষ হবে কি?
প্রশ্ন (১৬/১৭৬) : এক কবরে একাধিক লাশ রাখা যায় কি?
প্রশ্ন (৮/১২৮) : জুম‘আর খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে সালাম দেওয়া ও দুই রাক‘আত সুন্নাত পড়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২৫/৬৫) : অধ্যয়নে মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য কোন দো‘আ বা আমল আছে কি? - রাতুল*, ঢাকা।*[আরবীতে ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]
প্রশ্ন (২১/৩৮১) : পুরাতন মদের বোতল পরিষ্কার করে তা পানি পানের জন্য ব্যবহার করা যাবে কি? - -আব্দুল হাসীব, চুয়াডাঙ্গা।
প্রশ্ন (৩৪/১৯৪) : মরণোত্তর চক্ষুদান বা দেহ দান করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৩/২৯৩) : স্ত্রী বেনামাযী, বেপর্দা এবং শারঈ বিধান পালনে অনাগ্রহী। এক্ষণে ধৈর্য ধরে দাওয়াত দিয়ে যেতে হবে, না তালাক দেওয়া উত্তম হবে?
প্রশ্ন (৩৬/২৭৬) : ময়দানের জিহাদ ছোট ও প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ বড়। উক্ত বক্তব্যের কোন সত্যতা আছে কি? - .
প্রশ্ন (৩৭/২৭৭) : যে ব্যক্তি রোযাদারকে পানি পান করাবে তাকে আল্লাহ হাউয কাওছারের পানি পান করাবেন’ এবং ‘যে ব্যক্তি রোযাদারকে ইফতার করাবে আল্লাহ তার গুনাহ সমূহ মাফ করে দিবেন আর জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন’। উক্ত হাদীছদ্বয়ের সনদ সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৩/২৫৩) : ব্যাংকে ৫/১০ বছরের মেয়াদে যে টাকা রাখা হয় তার যাকাত দিতে হবে কি?
আরও
আরও
.