উত্তর : প্রচলিত গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণের কোন সুযোগ নেই। প্রথমতঃ গণতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। অথচ ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ একটি নিরেট কুফরী মতবাদ। ইসলামের সাথে এর আপোষের কোন সুযোগ নেই। দ্বিতীয়তঃ গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি হ’ল- ‘জনগণই সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস’, আইন রচনার ক্ষেত্রে ‘দলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ই চূড়ান্ত’। অর্থাৎ গণতন্ত্রে মানুষকে মানুষের মনগড়া বিধান মানতে বাধ্য করে। পক্ষান্তরে ইসলামী শরী‘আতের মৌল নীতি হ’ল ‘আল্লাহ্ই সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস’ এবং ‘অহি’-র বিধানই চূড়ান্ত’। এখানে মানুষ স্রেফ আল্লাহর বিধান মানে। যার অধীনে সকল মানুষের অধিকার সমান। বস্ত্ততঃ ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ প্রথমে মুসলমানকে ঈমানের গন্ডীমুক্ত করে। অতঃপর গণতন্ত্র তাকে মানুষের গোলাম বানায়। অতঃপর সে আল্লাহর সন্তুষ্টি বাদ দিয়ে ভোটারের মনস্ত্তষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়। যা তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়।

তৃতীয়তঃ প্রচলিত রাজনীতির সাথে আপোষ করাকে ‘হোদায়বিয়ার সন্ধি’-র সময় ‘রাসূলুল্লাহ’ শব্দ বাদ দেওয়ার সাথে তুলনা করা নিতান্তই হাস্যকর ব্যাপার। কেননা তাঁকে আল্লাহর রাসূল হিসাবে না মানার কারণেই কুরায়েশদের সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছিল। তারা এটা মানলে তো আপোষ হয়ে যেত। সন্ধির কোন প্রয়োজন হ’ত না। সেকারণ তিনি ‘রাসূলুল্লাহ’ কেটে ‘মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ’ লিখেছিলেন। এটা লেখাতে তিনি কোন তাগূতী বিধানের সাথে আপোষ করেননি বা নবুঅতের দাবী থেকে সরে আসেননি। অতএব বর্তমানের কুফরী রাজনীতির সাথে আপোষ করার জন্য উক্ত ঘটনাকে প্রমাণ হিসাবে পেশ করা স্রেফ খোঁড়া অজুহাত মাত্র।

বলা বাহুল্য, প্রচলিত রাজনীতির সঙ্গে আপোষ নয়; বরং জনমত পরিবর্তনের মাধ্যমে একে পরিবর্তন করাই হ’ল প্রকৃত অর্থে ইসলামী রাজনীতি (বিঃদ্রঃ ‘ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন’, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন?’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ বই)






প্রশ্ন (৩৭/১৯৭) : সরকারী উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য বয়স কম দেখানো হচ্ছে। এভাবে টাকা উঠানো জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১৬/৪১৬) : নারীদের জন্য হাতে ও পায়ে মোযা পরিধান করা কি ওয়াজিব?
প্রশ্ন (৪/৪) : জনৈক ব্যক্তিকে বলতে শুনলাম, সূরা বাক্বারাহ ১৮৭ আয়াতে ছিয়াম রাত্রি পর্যন্ত পূর্ণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া সূরা ইনশিক্বাক্বের ১৬-১৭ আয়াতে আল্লাহ সন্ধ্যা ও রাতকে পৃথকভাবে উল্লেখ করেছেন। সেকারণ সূর্যাস্তের পর নয়; বরং তার ১ ঘণ্টারও অধিক সময় পর রাত শুরু হ’লেই ইফতার করতে হবে। একথার কোন সত্যতা আছে কি? - -মুস্তাফীযুর রহমান, গুলশান, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৭/৬৭) : শায়েখ আলবানী (রহঃ) তামামুল মিন্নাহ গ্রন্থে ফজরের ২য় আযানে ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান নাওম’ বলাকে বিদ‘আত বা সুন্নাত বিরোধী বলেছেন। এটা কি সঠিক?
প্রশ্ন (২/২) : মেয়ের পিতা বিবাহে রাযী ছিলেন। কিন্তু ছেলের বাড়ি-ঘর দেখার পর তিনি অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। অতঃপর মেয়ের সিদ্ধান্তের উপর বিবাহের বিষয়টি ছেড়ে দেন। তারপর আমরা কাযী অফিসে দুই বন্ধুর সাক্ষীর মাধ্যমে বিবাহ করে একত্রে বসবাস করছি। আমাদের বিবাহ কি শুদ্ধ হয়েছে?
প্রশ্ন (১৮/১৮) : ‘আদম সন্তানের পেট মাটি ব্যতীত পূর্ণ হবে না’ মর্মে হাদীছটির ব্যাখ্যা কি?
প্রশ্ন (৩৮/৩১৮) : সৃষ্টির সেরা হল মানুষ। কিন্তু কুরআনে প্রথম সূরা বাক্বারাহ বা গাভী এবং শেষ সূরা নাস বা মানুষ উল্লেখ করলেন কেন?
প্রশ্ন (৩/৪৪৩) : একজন মায়ের জন্য ৬ মাসের দুগ্ধবতী সন্তানকে বাড়িতে রেখে হজ্জে যাওয়ার বিধান কি?
প্রশ্ন (২১/৩৮১) : জনৈক মুফতী লিখেছেন, পৃথিবীতে কোটি কোটি মুসলমানের মধ্যে সামান্য কিছু লোক ছাড়া সবাই কোন না কোন মাযহাবের অনুসারী। আর মুসলমানদের সম্মিলিত দলের উপর আল্লাহর হাত রয়েছে। এর বাইরের সকলেই জাহান্নামী। একথার সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১৪/৯৪) : এম.বি.বি.এস. পাস জনৈকা শিক্ষার্থী সম্প্রতি দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে এবং সে একজন দ্বীনদার ছেলেকে বিবাহ করতে আগ্রহী। কিন্তু তার পরিবার দ্বীনদার না হওয়ায় কোনক্রমেই তাতে রাযী নয়। এমতাবস্থায় মেয়েটির করণীয় কি? সে কি পিতার পরিবর্তে অন্যকে অলী হিসাবে গ্রহণ করে বিবাহ সম্পন্ন করতে পারবে? - -শায়লা রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রশ্ন (১১/৪৫১) : রাসূল (ছাঃ)-এর কবর যিয়ারত করাকে হজ্জের অংশ মনে করা বিদ‘আত হবে কি?
প্রশ্ন (২৮/১০৮) : দেশে প্রচলিত শেয়ার বাজারের ব্যবসা শরী‘আতসম্মত কি?
আরও
আরও
.