উত্তর : আল্লাহর বান্দাগণের মধ্যে কেবল আলেমগণই আল্লাহকে ভয় করেন (ফাতির ২৮)।
এর ব্যাখ্যায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, আলেম যিনি আল্লাহর
সাথে কাউকে শরীক করেন না। আল্লাহ্কৃত হালালকে হালাল মনে করেন এবং হারামকে
হারাম মনে করেন। তার আদেশ যথাযথভাবে পালন করেন। আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের
ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখেন এবং বিশ্বাস রাখেন যে তার আমলের হিসাব হবে’ (ইবনু কাছীর)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, বেশী হাদীছ জানার নাম ইলম নয়। বরং বেশী আল্লাহভীরুতাই হ’ল ইলম (ইবনু কাছীর)।
কা‘ব বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইলম শিখে এজন্য
যে, তার দ্বারা সে আলেমদের সাথে বিতর্ক করবে ও মূর্খদের সঙ্গে ঝগড়া করবে
কিংবা মানুষকে তার দিকে আকৃষ্ট করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন
(তিরমিযী হা/৩১৩৮, মিশকাত হা/২২৫)। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে
বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইলম শিক্ষা করেছে, যার দ্বারা
আল্লাহর সন্তোষ লাভ করা যায়, অথচ সে কেবল দুনিয়া হাছিলের উদ্দেশ্যে শিক্ষা
করে, সে ক্বিয়ামতের দিন জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না’ (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২২৭)।
অতএব উপরোক্ত নষ্ট স্বভাবের ও কপট উদ্দেশ্য থেকে মুক্ত প্রকৃত আল্লাহভীরু
আলেমগণই কেবল উক্ত আয়াতে বর্ণিত আলেমগণের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য যে, আলেম ও
জাহিল প্রত্যেক মুমিনই আল্লাহভীরু হ’তে পারেন। কিন্তু আলেমদের আল্লাহভীতি
হয় জেনেশুনে। তারা আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলী এবং তার সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে
অধিক জ্ঞান রাখেন। ফলে যিনি যত বেশী জ্ঞানী তাঁর তাক্বওয়ার গভীরতা তত বেশী
হয়। এদিক দিয়ে আলেমগণের মর্যাদার স্তরে কম বেশী হয়। আল্লাহ সর্বাধিক অবগত।