উত্তর : উক্ত দলের বক্তব্য ভিত্তিহীন। ইমামতি বা কুরআন শিক্ষাদান সহ যেকোন বৈধ কাজের জন্য কাউকে নিয়োগ করা হ’লে, তার কাজের বিনিময়ে সম্মানজনক রূযীর ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যাকে আমরা কোন দায়িত্বে নিয়োগ করি আমরা তার রুযীর ব্যবস্থা করে থাকি’ (আবূদাঊদ হা/৩৫৮৮; মিশকত হা/৩৭৪৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৬০২৩)। তবে পারিশ্রমিক নিয়ে বাক-বিতন্ডা করা, মনকষাকষি করা ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা এরূপ দায়িত্বশীলদের জন্য আবশ্যক। আর সরকারী হৌক বা বেসরকারী হৌক বৈধ কর্মের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণে কোন বাধা নেই। যেন সরকারী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা, অফিস ম্যানেজমেন্ট সহ বৈধ সকল কাজ। সরকার যদি অন্যায় কোন উৎস থেকে পারিশ্রমিক দেয়, সেজন্য সরকার দায়ী হবে। পক্ষান্তরে ব্যাংক, বীমা এনজিও সহ শরী‘আতবিরোধী কারবারই যেসব প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, সেখানে চাকুরী করা জায়েয হবে না। চাই তা সরকারী হৌক বা বেসরকারী হৌক।