উত্তর : না
পড়াই উত্তম। কারণ এর পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। অধিক তাসবীহ পাঠের কারণে
এই ছালাতকে ‘ছালাতুত তাসবীহ’ বলা হয়। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণিত এ
সম্পর্কিত হাদীছকে কেউ ‘মুরসাল’ কেউ ‘মওকূফ’ কেউ ‘যঈফ’ কেউ ‘মওযূ’ বা জাল
বলেছেন। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) এরূপ হাদীছ দ্বারা ছালাতুত তাসবীহ
সাব্যস্ত করা জায়েয হবে না বলে মন্তব্য করেছেন (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/৫৭৯)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফৎওয়া কমিটি ‘লাজনা দায়েমা’ এই ছালাতকে বিদ‘আত বলে ফৎওয়া দিয়েছে (ফৎওয়া নং ২১৪১)। উছায়মীন (রহঃ) এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদীছ সমূহকে যঈফ বলেছেন (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/৩২৭)।
যদিও শায়খ আলবানী (রহঃ) উক্ত হাদীছের যঈফ সূত্র সমূহ পরস্পরকে শক্তিশালী
করে মনে করে তাকে ‘ছহীহ’ বলেছেন এবং ইবনু হাজার আসক্বালানী ও ছাহেবে মির‘আত
একে ‘হাসান’ স্তরে উন্নীত বলেছেন। তবুও এরূপ বিতর্কিত, সন্দেহযুক্ত ও
দুর্বল ভিত্তির উপরে কোন ইবাদত বিশেষ করে ছালাত প্রতিষ্ঠা করা যায় না। অতএব
এথেকে দূরে থাকাই উচিত (আবুদাঊদ হা/১২৯৭-৯৯, ইবনু মাজাহ হা/১৩৮৬-৮৭;
ঐ, মিশকাত হা/১৩২৮, ‘ছালাতুত তাসবীহ’ অনুচ্ছেদ-৪০: বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর
রাসূল ২৬৬ পৃঃ)।