উত্তর : তাঁর নাম আবু মুহাম্মাদ আব্দুল কাদের বিন মূসা বিন আব্দুল্লাহ। তিনি ৪৭০ হিঃ মোতাবেক ১০৭৭ খৃষ্টাব্দে বর্তমান ইরানের অন্তুর্ভুক্ত তাবারিস্তানের জীলান নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি ৪৮৮ হিজরীতে বাগদাদ গমন করেন। সেখানে বিভিন্ন বিদ্বানগণের নিকট কুরআন-হাদীছ ,ফিক্বহ, আদব, নাহু সহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন।

ইবনুল আছীর, ইমাম যাহাবী, সাম‘আনী প্রমুখ বিদ্বানগণ তাঁকে সৎ, পরহেযগার, ফক্বীহ, যাহেদ ও হাম্বলী মাযহাবের ইমাম হিসাবে অভিহিত করেছেন (আল-কামেল ৯/৩২৬; যাহাবী, তারীখুল ইসলাম ৩৯/৮৯; সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ২০/৪৩৯-৪১)। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, তাঁর সুন্দর সুনাম ছিল... তাঁর মাঝে দুনিয়াবিমুখতা অধিক ছিল। তাঁর ব্যাপারে তাঁর অনুসারী ও সাথীদের অনেক বক্তব্য রয়েছে। তারা তার অনেক কথা, কর্ম ও কাশফ-কারামাতের কথা উল্লেখ করেন, যার অধিকাংশই বাড়াবাড়ি বৈ কিছুই নয়। বরং তিনি সৎ ও পরহেযগার ছিলেন। তিনি আল-গুনিয়াহ ও ফুতূহুল গায়েব গ্রন্থদ্বয় রচনা করেছেন। তাতে অনেক সুন্দর বিষয় রয়েছে। তবে তাতে তিনি বহু যঈফ ও জাল হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (আল-বিদায়াহ ১২/৭৬৮)। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ)-কে আব্দুল কাদের জীলানীর কবরে শিরকী কর্মকান্ড সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে শায়খ আব্দুল কাদের এ সব কর্মকান্ড করতে বলেননি এবং তিনি এ ব্যাপারে নির্দেশও দেননি। তার ব্যাপারে যারা এ সব কথা বলবে তারা মিথ্যাবাদী। বরং শিরকী ও চরমপন্থী একদল লোক এসব বিদ‘আত আবিষ্কার করেছে’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ইবনু তায়মিয়াহ ২৭/১২৭)। তিনি ৫৬১ হিজরী মোতাবেক ১১৬৬ খৃষ্টাব্দে ইরাকের বাগদাদে মৃত্যুবরণ করেন।

উল্লেখ্য যে, তিনি মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময় ১৮ পারা কুরআন মুখস্থ করেছিলেন মর্মে যে বক্তব্য প্রচলিত আছে, তা ভিত্তিহীন (দ্রঃ প্রশ্নোত্তর ৩/১২৩, জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী’১৪)।






প্রশ্ন (১৬/৪১৬) : পেশায় নাবিক হওয়ায় আমাকে এক বছরের জন্য জাহাযে যেতে হয় এবং বিভিন্ন দেশে মালামাল পরিবহন করতে হয়। প্রত্যেক বন্দরে সর্বোচ্চ পাঁচদিন অবস্থান করা যায়। জাহাযে ছিয়াম পালন আমার জন্য খুবই কষ্টকর হয়। এক্ষণে ফরয ছিয়াম পালন থেকে বিরত থাকা যাবে কি? এছাড়া নিয়মিতভাবে ছালাত ক্বছর করা যাবে কি? - -হোসাইন মুহাম্মাদ মোরশেদ, মালয়েশিয়া।
প্রশ্ন (৩২/২৭২) : স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী নাকফুল, কানের দুল, রঙিন শাড়ী ইত্যাদি খুলে ফেলে। এগুলি করা শরী‘আত সম্মত কি?
প্রশ্ন (৩০/৭০) : আঘাতের মাধ্যমে কেটে যাওয়া রক্ত বের হয়ে কাপড়ে লেগে গেলে উক্ত কাপড়ে ছালাত হবে কি? - -তৈয়বুর রহমান, পাবনা।
প্রশ্ন (১৩/২১৩) : পুস্তক সমিতির নিয়ম মেনেই কি বই কেনা-বেচা করতে হবে? নাকি স্বাধীনভাবে বিক্রি করা যাবে? - -আমাতুল্লাহ, মীরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৩/৪১৩) : ই‘তিকাফকারী তারাবীহর ছালাত জামা‘আতের সাথে পড়বে, না একাকী পড়বে?
প্রশ্ন (১০/১৩০) : জনৈক ব্যক্তি বলেন ছহীহ বুখারীতে হাদীছ আছে যে, মাথায় উকুন হ’লে ৩ দিন ছিয়াম বা ৬ জন মিসকীনকে অর্ধ ছা‘ করে খাওয়ালে মাথার উকুন থাকবে না। একথা কি সত্য? - -তা‘লীমুল হক, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩৩/৪৩৩) : সূরা ইখলাছ প্রতিদিন ২০০ বার ওযূ অবস্থায় পড়ার ১০টি উপকার- ১. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাগের ৩০০ দরজা বন্ধ করে দিবেন। ২. রহমতের ৩০০ দরজা খুলে দিবেন। ৩. রিযিকের ৩০০ দরজা খুলে দিবেন। ৪. পরিশ্রম ছাড়া গায়েব থেকে রিযিক পৌঁছে দিবেন। ৫. আল্লাহ তা‘আলা নিজের জ্ঞান থেকে জ্ঞান দিবেন। আপন ধৈর্য থেকে ধৈর্য দিবেন। আপন বুঝ থেকে বুঝ দিবেন। ৬. ৬৬ বার কুরআন খতম করার ছওয়াব দিবেন। ৭. ৫০ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। ৮. জান্নাতের মধ্যে ২০টি মহল দিবেন, যেগুলো ইয়াকূত ও মারজানের তৈরী। প্রত্যেক মহলে ৭০ হাযার দরজা থাকবে। ৯. ২০০০ রাক‘আত নফল ছালাত পড়ার ছওয়াব দিবেন। ১০. যখন তিনি মারা যাবেন তখন ১,১০,০০০ ফেরেশতা তার জানাযায় শরীক হবেন। উক্ত বর্ণনার বিশুদ্ধতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (১১/৩৫১) : মানুষকে পানি পান করানোর ফযীলত সম্পর্কে ছহীহ হাদীছে কিছু বর্ণিত হয়েছে কি? - -আছিফ আলী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (৩৮/৪৩৮) : মসজিদ বা ঈদগাহ নির্মাণের জন্য শর্ত সাপেক্ষে জমি ওয়াক্ফ করা যাবে কি? ওয়াক্ফকারী ব্যক্তি কি তাতে নিজস্ব ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার জন্য কোন শর্তারোপ করতে পারেন? তিনি কি সেই মসজিদ বা ঈদগাহে কাউকে আসতে নিষেধ করতে পারেন? - -মুহাম্মাদ এস. আলমবেলঘরিয়াহাট, বাগমারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২০/৩৮০) : শরী‘আতে জামা‘আতবদ্ধ জীবন-যাপনের গুরুত্ব কতটুকু? ইসলামী নেতৃত্ব কিভাবে গঠিত হবে।
প্রশ্ন (২/২৪২) : আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র এক সাথে থাকি। অনেকে ছালাত আদায় করে না; বরং অশ্লীল কাজের সাথে জড়িত। তাদের সাথে থাকা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩/৮৩) : ইমাম ছাহেব জুম‘আ ব্যতীত অন্য ওয়াক্তে মসজিদে কোন সুৎরা ছাড়াই সামনে এক কাতার স্থান খালি রেখে ইমামতি করেন। এটা জায়েয হবে কি? - -হারূনুর রশীদ, চট্টগ্রাম।
আরও
আরও
.