উত্তর : বাসের
হেলপার হলেও ছালাত ত্যাগ করা যাবে না। ছালাত আদায়ের সময় বের করে নিতে হবে।
উক্ত অবস্থায় যোহর ও আছর একত্রে দুই দুই রাক‘আত করে পৃথক এক্বামতে জমা ও
ক্বছর করবেন। অনুরূপভাবে মাগরিব তিন রাক‘আত ও এশা দুই রাক‘আত পৃথক এক্বামতে
জমা ও ক্বছর করবেন। এটি দুই নিয়মে পড়া যায়। শেষের ওয়াক্তের ছালাত আগের
ওয়াক্তের সাথে এগিয়ে অথবা আগের ওয়াক্তের ছালাত শেষের ওয়াক্তের সাথে পিছিয়ে
একত্রে পড়বেন (বুখারী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৩৩৯, ৪৪; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২১৫)।
বিশেষ কারণে বাড়ীতে থাকা অবস্থায়ও যোহর-আছর চার-চার অথবা মাগরিব-এশা
তিন-চার রাক‘আত একত্রে জমা করে ছালাত আদায় করতে পারেন এবং তারপর সফরে বের
হতে পারেন (বুখারী হা/১১৭৪)। এই সময় বা সফরকালে কেবল বিতর ও ফজরের সুন্নাত ব্যতীত আর কোন সুন্নাত পড়ার প্রয়োজন নেই (দ্রঃ ছালাতুর রাসূল পৃঃ ১৮৮-৮৯)। অনেক সময় ক্বিবলা বুঝা যায় না। তখন যেকোন দিকে মুখ করে ছালাত আদায় করা যাবে (বাক্বারাহ ১১৫; তিরমিযী হা/৩৪৫)। এছাড়াও অনেক সময় পানি ও মাটি কিছুই পাওয়া যায় না, তখন বিনা ওযূ ও তায়াম্মুমেই ছালাত আদায় করা যাবে (বুখারী হা/৩৩৬)।
অতএব ছালাতের বিকল্প নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘মুমিন ও কাফির-মুশরিকের মধ্যে পার্থক্য হ’ল ছালাত’ (মুসলিম হা/১৩৪)। যে ব্যক্তি ছালাত পরিত্যাগ করল সে কুফরী করল (আহমাদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৫৭৪ ‘ছালাত’ অধ্যায়)।
পরিশেষে বলব, যদি ছালাত আদায়ের কোনরূপ সুযোগ না থাকে, তাহ’লে উক্ত চাকরী ছাড়তে হবে।