উত্তর : শরী‘আত নির্ধারিত সময়ের পূর্বে আযান দিলে তা ছালাতের আযান বলে গৃহীত হবে না; বরং ছালাতের সময় হ’লে পুনরায় আযান দিতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই ছালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফরয করা হয়েছে’ (নিসা ১০৩)। তবে পুনরায় আযান না দিয়ে ছালাত আদায় করলেও তা শুদ্ধ হবে। কিন্তু আযান যেহেতু ফরযে কেফায়াহ, সেহেতু তা অনাদায় থেকে যাওয়ার গোনাহ উক্ত মসজিদের মুছল্লীদের সকলের উপরে বর্তাবে (আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জাবরীন, আহকামুল আযান, পৃঃ ১৭-১৮)। উল্লেখ্য যে, ওয়াক্তের পূর্বে আযান দেওয়া যাবে না, এ মর্মে সকল বিদ্বান একমত। তবে ফজরের আযান ওয়াক্তের পূর্বে দেওয়া যাবে বলে ইমাম মালেক, শাফেঈ, আহমাদ, আবু ইউসুফ প্রমুখ বিদ্বানগণ মত প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ ফজরের পূর্বে আযান দিলে ওয়াক্ত হওয়ার পরে তা পুনরায় দিতে হবে না। বরং ওয়াক্তের পূর্বে দেওয়া আযানই যথেষ্ট হবে। তাঁদের দলীল হ’ল বেলাল (রাঃ)-এর সাহারী ও তাহাজ্জুদের আযান এবং আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতূম (রাঃ)-এর ফজরের আযান দেওয়া প্রসঙ্গে বুখারী, নাসাঈ প্রভৃতিতে বর্ণিত হাদীছ। যেখানে বলা হয়েছে, উভয় আযানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল খুবই কম। একজন নামতেন, অন্যজন উঠতেন (মুসলিম হা/১০৯২; মির‘আত ২/৩৮০)। ইমাম নববী বলেন, ‘বিদ্বানগণ এর অর্থ করেছেন এই মর্মে যে, বেলাল ছুবহে ছাদিক-এর পূর্বেই আযান দিতেন। অতঃপর ফজর উদিত হওয়ার পর মিনার থেকে অবতরণ করে আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতূমকে জাগাতেন। অতঃপর ইবনে উম্মে মাকতূম পেশাব-পায়খানা, ওযূ-গোসল সেরে এসে ফজরের ওয়াক্তের শুরুতেই আযান দিতেন’ (তানক্বীহ শরহ মিশকাত ১/১৩০ পৃঃ, ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৬ হা/৬৮০-এর ব্যাখ্যা)। ছাহেবে মির‘আত বলেন ফজরের আযান ওয়াক্তের সামান্য পূর্বে (بِزَمَانٍ يَسِيْرٍ) দেওয়া যেতে পারে এবং তা পুনরায় দেওয়া ওয়াজিব নয়’ (মির‘আত ২/৩৮২)। তবে এ বিষয়ে আবুদাঊদে বর্ণিত হাদীছই যথেষ্ট বলে অনুমিত হয়। যেখানে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বেলালকে নির্দেশ দেন যে, لاَ تُؤَذِّنْ حَتَّى يَسْتَبِينَ لَكَ الْفَجْرُ هَكَذَا، وَمَدَّ يَدَيْهِ عَرْضًا ‘তুমি আযান দিয়ো না যতক্ষণ না তোমার নিকটে ফজর স্পষ্ট হয়ে যায়। এ বলে তিনি স্বীয় দুই হাত বিস্তৃত করে দেখালেন’ (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৫০০; নায়লুল আওত্বার ২/১১৮ পৃঃ)। অতএব ফজরসহ সকল ছালাতের ওয়াক্তের পরেই আযান দেওয়া কর্তব্য, পূর্বে নয়।






প্রশ্ন (১২/১৩২) : পাঞ্জাবী ও পায়জামা পরা কি সুন্নাত? এগুলো পরা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/৩১৮) : আমার স্ত্রীর ৭ ভরি এবং ১ বছরের মেয়ের ৬ ভরি সোনা আছে। এক্ষণে উভয়ের সোনা একত্রে হিসাব করে যাকাত দিতে হবে কি? - -আবিদ আনজুম, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
প্রশ্ন (৩৩/৩১৩) : পরনিন্দা বা গীবত করলে ওযূ ও ছিয়াম নষ্ট হবে কি? - -মোহাইমিন, সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
প্রশ্ন (৩৩/৩১৩) : ওযূ করে মসজিদে প্রবেশ করে ২ রাক‘আত ‘তাহিইয়াতুল ওযূ’ ছালাত আদায় করার পর ২ রাক‘আত ‘তাহিইয়াতুল মসজিদ’ আদায় করা যাবে কি? প্রতি ওয়াক্তে এভাবে পড়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২/১৬২) : জনৈক ব্যক্তি বলেছেন যে, ওযূ করার সময় ডান হাত দিয়ে পা ধোয়া যাবে না। একথার কোন সত্যতা আছে কি? - -মকবূল রহমান, বংশাল, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : কুরআন তেলাওয়াতের আদব কী? তেলাওয়াত শেষে কুরআন মাজীদকে চুমু খাওয়া ও ‘ছাদাক্বাল্লাহুল আযীম’ বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩০/২৩০) : মক্কা বিজয়ের পর আর কোন হিজরত আছে কি? থাকলে তার স্বরূপ কি?
প্রশ্ন (২৯/২৯) : ‘লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ পাঠ করার উপকারিতা কি কি? এটা পাঠ করলে যাবতীয় বিপদাপদ দূর হয় এবং এর সর্বনিম্ন হ’ল দরিদ্রতা মোচন মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ কি?
প্রশ্ন (৩৮/৪৩৮) : মসজিদ বা ঈদগাহ নির্মাণের জন্য শর্ত সাপেক্ষে জমি ওয়াক্ফ করা যাবে কি? ওয়াক্ফকারী ব্যক্তি কি তাতে নিজস্ব ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার জন্য কোন শর্তারোপ করতে পারেন? তিনি কি সেই মসজিদ বা ঈদগাহে কাউকে আসতে নিষেধ করতে পারেন? - -মুহাম্মাদ এস. আলমবেলঘরিয়াহাট, বাগমারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৩/৪৩৩) : কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সাময়িকভাবে টাখনুর নীচে কাপড় নামানো যাবে কি?
প্রশ্ন (২৩/২২৩) : অজান্তে কবরযুক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করে পরবর্তীতে জানতে পারলে উক্ত ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩/৪৪৩) : আমি একটি কোম্পানীতে চাকুরী করি। ছালাতের জন্য যথাসময়ে ছুটি না পাওয়ায় প্রত্যহ আছরের ছালাত নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই আদায় করি। বাধ্যগত অবস্থায় এভাবে ছালাত আদায় করা সঠিক হচ্ছে কি? অন্যথায় আমার করণীয় কি?
আরও
আরও
.