উত্তরঃ
উক্ত মর্মে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে অস্থায়ীভাবে মসজিদ নির্মাণ করে সেখানে
জুম‘আ-জামা‘আত কায়েম করা যাবে। আনাস (রাঃ) বলেন, মদীনায় হিজরত করার পর
মসজিদ নির্মাণের স্বার্থে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বনু নাজ্জারকে বললেন, তোমরা
তোমাদের বাগানটি আমার নিকটে বিক্রয় করে দাও। জবাবে তারা বলল, আমরা আপনার
নিকট থেকে এর বিনিময়ে কোন মূল্য নেব না। কেবল আল্লাহর নিকট থেকে বিনিময়
চাই। অতঃপর আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) তাদের সম্মতিক্রমে সেটি গ্রহণ করলেন ও
সেখানে মসজিদ নির্মাণ করলেন’ (বুখারী হা/১৮৬৮ ‘মদীনার মর্যাদা’ অধ্যায় ১ অনুচ্ছেদ; মুসলিম হা/১২০১ ‘মাসাজিদ’ অধ্যায় ২ অনুচ্ছেদ; আবুদাঊদ হা/৪৫৩ ‘ছালাত’ অধ্যায় ১২ অনুচ্ছেদ; নাসাঈ হা/৭১০, ইবনু মাজাহ হা/৭৯১)।
মৌখিক অনুমতিই যথেষ্ট। তবে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও কল্যাণ বিবেচনায় লিখিত
অনুমতি বাঞ্ছনীয়। কেননা এটি একটি সাময়িক চুক্তির মত বিষয়। আল্লাহ বলেন, ‘হে
মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঋণের আদান-প্রদান কর, তখন তা
লিপিবদ্ধ করে নাও’.. (বাক্বারাহ ২৮২)। ৬ষ্ঠ হিজরীতে হোদায়বিয়ার সন্ধিকালে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কুরায়েশদের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করেছিলেন (বুখারী হা/৪০০৫ ‘যুদ্ধ-বিগ্রহ’ অধ্যায় ৪১ অনুচ্ছেদ; ঐ, মিশকাত হা/৪০৪২, ৪৪ ‘জিহাদ’ অধ্যায় ‘সন্ধি’ অনুচ্ছেদ)।
পরবর্তীতে স্থায়ী মসজিদে গমনের পর অস্থায়ী মসজিদটি উঠিয়ে দিয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ায় কোন দোষ নেই। ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) কূফার পুরানো মসজিদ অন্যত্র স্থানান্তর করেন এবং পরিত্যক্ত স্থানটি খেজুর ব্যবসায়ীদের বাজারে রূপান্তরিত করেন (মুগনী ইবনু কুদামাহ (বৈরুতঃ দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ৬/২২৬, ২৪৩; মাজমূ‘আ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ ‘ওয়াক্বফ’ অধ্যায় ৩১/২১৫-১৭; মাজমূ‘আ ফাতাওয়া ছালেহ আল-উছায়মীন ‘ছালাত’ অধ্যায়, ফৎওয়া সংখ্যা ৩১৫)। অতএব সর্বোত্তম কল্যাণ বিবেচনায় সরকারী বা বেসরকারী কোন জমিতে সাময়িকভাবে মসজিদ নির্মাণের অনুমতি দেওয়ায় ও অনুমতিক্রমে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করায় এবং পরবর্তীতে তা স্থানান্তর করায় ও পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই (আলোচনা দ্রষ্টব্য: ফিক্বহুস সুন্নাহ (কায়রো : ১৪১২/১৯৯২) ‘ওয়াক্বফ’ অধ্যায়, ৩/৩০৮, ৩১৩ পৃঃ)।