উত্তর : ফেরেশতা নূরের তৈরী অত্যন্ত শক্তিশালী আল্লাহর এক মহা সৃষ্টির নাম। যা মানুষ স্থূল দৃষ্টিতে দেখতে পায় না। তবে মানুষ তার অস্তিত্বের সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি অনুভব করে। আল্লাহর হুকুমে তারা সর্বক্ষণ সৃষ্টজীবের সেবায় নিয়োজিত। কা‘ব আল-আহবার (রাঃ) বলেন, যদি আল্লাহ ফেরেশতার মাধ্যমে মানুষকে হেফাযত না করতেন, তাহ’লে এ পৃথিবীতে মানুষ বসবাস করতে পারত না। ইতিপূর্বে এখানে বসবাসকারী জিনেরা তাদের ছোঁ মেরে উঠিয়ে নিয়ে যেত (ইবনু কাছীর)

ফেরেশতাদের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদেরকে মায়ের গর্ভে তিনটি গাঢ় অন্ধকার পর্দার মধ্যে আকৃতি গঠন করেন (যুমার ৬)। অতঃপর তাতে রূহ প্রদান করেন ও তার ললাটে চারটি বস্ত্ত লিখে দেন। যা থেকে সে কখনোই বিচ্যুত হ’তে পারে না (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৮২)। অতঃপর মৃত্যু অবধি ফেরেশতাগণ প্রতি মুহূর্তে বান্দার সহযোগিতায় থাকেন (রা‘দ ১১; ইনফিত্বার ১০-১১; ক্বাফ ১৭-১৮)। ফেরেশতাদের সরদার জিব্রীল (আঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে অহি নিয়ে নবীদের অন্তরে নিক্ষেপ করেন (নাহল ২)। অতঃপর তিনিই শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর অহি নাযিল করেছেন (বাক্বারাহ ৯৭; নাহল ১০২)। তাই জিব্রীলকে অস্বীকার করলে শেষনবী (ছাঃ) ও কুরআন-হাদীছকে অস্বীকার করতে হবে। যা মানুষের আত্মিক জাগরণ ও বৈষয়িক উন্নয়নের মূল উৎস। ফেরেশতা মীকাঈলকে অস্বীকার করলে আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণকে অস্বীকার করতে হবে। যা পৃথিবীতে মৃত ভূমির পুনর্জাগরণ ও খাদ্য উৎপাদনের মূল উৎস। ফেরেশতা মালাকুল মাউতকে অস্বীকার করলে মৃত্যুকে অস্বীকার করতে হবে। অথচ মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী (হা-মীম সাজদাহ ১১; আন‘আম ৬১-৬২)। ফেরেশতা ইস্রাফীলকে অস্বীকার করলে পুনরুত্থানকে অস্বীকার করতে হবে। যা অবশ্যই ঘটবে (মা‘আরেজ ৪৩; ক্বামার ৭)। যা প্রতিদিন আমাদের নিদ্রা ও জাগরণে সংঘটিত হচ্ছে আল্লাহর ইচ্ছায়। তাঁর ইচ্ছাতেই আমরা ঘুমিয়ে যাই এবং তাঁর ইচ্ছাতেই ঘুম থেকে জেগে উঠি। আর এটাই হ’ল পুনরুত্থান। মৃত্যুর পর যেটা ক্বিয়ামতের দিন সংঘটিত হবে চিরস্থায়ীভাবে। এজন্য রাসূল (ছাঃ) তাহাজ্জুদের সময় ঘুম থেকে উঠে দো‘আ পড়তেন, ‘হে আল্লাহ! জিব্রাঈল, মীকাঈল ও ইস্রাফীলের রব, তুমি আসমান ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা... (মুসলিম হা/৭৭০; মিশকাত হা/১২১২)। এছাড়া নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে কোটি কোটি ফেরেশতা আল্লাহর হুকুমে সর্বদা সৃষ্টি জগতের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন ও বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন। যারা কখনোই আল্লাহর অবাধ্যতা করে না (তাহরীম ৬)। সর্বোপরি প্রত্যেক মানুষের প্রতি মুহূর্তের নিরাপত্তার জন্য একজন ফেরেশতাকে সার্বক্ষণিক প্রহরী হিসাবে নিয়োজিত রাখা হয়েছে (ত্বারেক ৪)। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর, তাঁর ফেরেশতাগণের, তাঁর রাসূলগণের এবং জিব্রীল ও মীকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চয় আল্লাহ সেসব কাফেরদের শত্রু’ (বাক্বারাহ ৯৮)। অতএব যারা ফেরেশতাদের শত্রু, আল্লাহ তাদের শত্রু। ইহূদীরা জিব্রীলকে শত্রু ভাবত এবং মীকাঈলকে বন্ধু ভাবত। কেননা মীকাঈল বৃষ্টি বর্ষণ করে ও তার মাধ্যমে দেশে প্রাচুর্য আসে। তারা মুসলমানদের বলেছিল, যদি জিব্রীলের পরিবর্তে মীকাঈল ‘অহি’ নিয়ে আসে, তাহ’লে আমরা তোমাদের অনুসারী হব। এর প্রতিবাদে অত্র আয়াত নাযিল হয়। যেখানে বলা হয়েছে যে, জিব্রীল হৌক মীকাঈল হৌক যেকোন একজন ফেরেশতার বিরুদ্ধে শত্রুতা পোষণ করার অর্থ সকল ফেরেশতার বিরুদ্ধে শত্রুতা পোষণ করা। কেননা ফেরেশতা হিসাবে সবাই সমান। এখানে ‘ফেরেশতাগণ’ বলার পরে জিব্রীল ও মীকাঈলকে খাছ করা হয়েছে তাঁদের বিশেষ মর্যাদার কারণে।  

ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান আনা ঈমানের ছয়টি স্তম্ভের অন্যতম (নিসা ১৩৬; মুসলিম হা/৮; মিশকাত হা/২)। এটি বাদ দিলে মুমিন ঈমানের গন্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে। বস্ত্ততঃ ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস আমাদের আত্মিক জগতকে নিয়ন্ত্রিত রাখে এবং এর মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সৃষ্টির বিশালতা ও তাঁর মহান কুদরত সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। যা তার মধ্যে পরকালীন জবাবদিহিতা সৃষ্টি করে। 






প্রশ্ন (১০/৯০) : আমাদের এলাকার হিন্দু এমপি মসজিদে ১ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন। এক্ষণে মসজিদের দেয়ালে তার নামে নেমপ্লেট বসানো যাবে কি?
প্রশ্ন (১৩/৩৭৩) : আমার তিন বছর বয়সে পিতা দ্বিতীয় বিবাহ করে আমার মাকে তালাক দেন। তারপর মা আমাকে এ পর্যন্ত নানা বাড়ি রেখে বড় করে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। এক্ষেত্রে পিতা কখনো কোন ভূমিকা পালন করেননি। এমনকি আমি যেন তার সম্পদের অংশ না পাই সেজন্য দ্বিতীয় স্ত্রীর কোন ছেলে না থাকায় সকল সম্পদ মেয়েদের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। এখন আমার বৃদ্ধ পিতা চান আমি তার দেখাশোনা এবং সার্বিক সহযোগিতা করি। কিন্তু মা চান আমি যেন তা না করি। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৬/২৫৬) :‘পিতা-মাতাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে দুনিয়া জান্নাত এবং তাদের সন্তুষ্টি অর্জনে ব্যর্থ হ’লে দুনিয়া তাদের জন্য জাহান্নাম’ এ হাদীছের সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১০/৯০) : ব্যবসা-বাণিজ্যে কত শতাংশ পর্যন্ত লাভ করা যায় সে ব্যাপারে শারঈ কোন নির্দেশনা আছে কি?
প্রশ্ন (৩৪/১৫৪) : ছালাতে ক্বিয়ামরত অবস্থায় পায়ের সাথে পা বা টাখনুর সাথে টাখনু লাগানোর সঠিক নিয়ম জানতে চাই।
প্রশ্ন (৬/২৪৬) : পিতা সন্তানের কোন অপরাধ প্রকাশ্যে ক্ষমা করে দেওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে ‘আল্লাহ তুমি তাকে জাহান্নামে দাও এবং দুনিয়াতে ধ্বংস করে দাও’ বলে বদ দো‘আ করেন। এরূপ বদদো‘আ কবুল হবে কি? - সাইফুল ইসলাম, লাকসাম, কুমিল্লা।
প্রশ্ন (২৭/৪২৭) : আল্লাহ বলেন, ...‘তোমরা মুশরিকদের যেখানে পাও হত্যা কর, পাকড়াও কর, অবরোধ কর এবং ওদের সন্ধানে প্রত্যেক ঘাঁটিতে ওঁৎ পেতে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, ছালাত আদায় করে ও যাকাত দেয়, তাহ’লে ওদের রাস্তা ছেড়ে দাও...’ (তওবা ৯/৫)। উক্ত আয়াতে আল্লাহ - আব্দুল করীম, জকিগঞ্জ, সিলেট।
প্রশ্ন (৮/৪৮) : হাজীগণ কখন হালাল হয়ে যান? - -রফীকুল ইসলাম, বর্ষাপাড়া, গোপালগঞ্জ।
প্রশ্ন (৭/৪০৭) : টয়লেটের মধ্যে বসে মোবাইলে কথা বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (৪০/১৬০) : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জুম‘আর খুৎবা সংক্ষিপ্ত হবে আর ছালাত দীর্ঘ হবে। অথচ আমাদের দেশে সব মসজিদেই এ হাদীছের বিপরীত আমল দেখা যায়। বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৬/১৩৬) : জাপানে অনেক প্রবাসী ভাইকে দেখা যায় জাল কাবিননামা, শিক্ষা সনদ, সন্তান জন্মসনদ ইত্যাদি বানিয়ে সেদেশের নানা রকম সরকারী সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে। এটা কতটুকু হালাল হচ্ছে? এভাবে জালিয়াতির আশ্রয় কুফল সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৭/১৭৭) : আমাদের মসজিদে কয়েকজন মুরববী চেয়ারে বসে ছালাত আদায় করেন। তারা ইচ্ছামত বিভিন্ন কাতারে বিভিন্ন স্থানে বসার কারণে কয়েকটি কাতারে মুছল্লীদের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট হয়। পিছনের মুছল্লীরও সিজদা দিতে সমস্যা হয়। এভাবে কাতার বিনষ্ট করে ছালাত আদায় করা জায়েয হবে কি?
আরও
আরও
.