উত্তর : কুরআন তেলাওয়াতের কতিপয় আদব হ’ল পবিত্রতা অর্জন করা (আবুদাঊদ হা/১৭; নাসাঈ হা/৩৮; মিশকাত হা/৪৬৭; ছহীহাহ হা/৮৩৪)। মিসওয়াক করা (ইবনু মাজাহ হা/২৯১; ছহীহাহ হা/১২১৩)। ক্বিবলামুখী হওয়া (আলে ইমরান ৩/১৯১)। তেলাওয়াতের শুরুতে আঊযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পাঠ করা (নাহল ১৬/৯৮; শারহুল মুমতে‘ ৩/৩৩০)। বিনম্রভাবে তেলাওয়াত করা (বনু ইসরাঈল ১৭/১০৯)। রহমতের আয়াত আসলে তা চাওয়া এবং আযাবের আয়াত আসলে তা হ’তে পানাহ চাওয়া (মুসলিম হা/৭৭২; আবূদাঊদ হা/৮১৫; নাসাঈ হা/১৬৬৪)। তেলাওয়াতে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী বস্ত্ত দূরে রাখা, হাই তোলার সময় তেলাওয়াত বন্ধ রাখা (উলূমুল কুরআন মিন খিলালে মুক্বাদ্দামাতিত তাফাসীর, ২/১৯৭)। সুন্দর কণ্ঠে তারতীল ও তাজবীদসহ তেলাওয়াত করা (মুযযাম্মিল ৭৩/৪; বুখারী হা/৫০২৪,৫০৪৫-৪৬;)। বড় অপবিত্রতায় কুরআন স্পর্শ না করা (ওয়াকি‘আহ ৫৬/৭৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৭৮০; মিশকাত হা/৪৬৫)। তন্দ্রা অবস্থায় তেলাওয়াত না করা (মুসলিম হা/৭৮৭; আবূদাঊদ হা/১৩১১; ইবনু মাজাহ হা/১৩৭২) ইত্যাদি। আর কুরআন তেলাওয়াতের সময় কিছুটা দুলুনী আসতে পারে। আদব বিনষ্ট না হ’লে সামান্য দুলুনীতে বাধা নেই।
প্রশ্নকারী : যহূরুল ইসলাম, বিরামপুর, দিনাজপুর।