উত্তর : নবী-রাসূলগণের জীবনীতে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ নিহিত রয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসকে কামনা করে ও অধিকহারে আল্লাহকে স্মরণ করে (আহযাব ৩৩/২১)। আর তাদের চিরন্তন জীবনাদর্শ থেকেই জানা যায় যে, আগে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা এবং পরে রাষ্ট্র বা শাসন ক্ষমতা, যদি আল্লাহ তাকে দেন। আর ইক্বামতের দ্বীন অর্থ ইক্বামতে তাওহীদ। ইক্বামতে হুকূমত নয়। যেমনটি অনেকে ধারণা করে থাকে। নবী রাসূলগণ সর্বপ্রথম তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাওয়াত নয়। মূলতঃ ইসলামী আক্বীদা ও আমল নিজের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে বাস্তবায়ন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয। আল্লাহ যাকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দান করবেন, তার উপর ইসলামের বিধিবিধান পালন করা যেমন ফরয, তেমনি রাষ্ট্রে ইসলাম কায়েম করাও তেমনি ফরয। কিন্তু রাষ্ট্র কায়েম করাই ইসলাম এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অর্জন করাই হ’ল ইক্বামতে দ্বীন, এটি হ’ল চরমপন্থী খারেজীদের আক্বীদা। ইসলামের মৌলিক আক্বীদা-বিশ্বাসের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। একদল লোক জিহাদ বলতে কেবল ক্বিতাল বা ‘সশস্ত্র সংগ্রাম’কেই বুঝিয়ে থাকেন। মূলত জিহাদের সর্বোচ্চ স্তর হ’ল ক্বিতাল বা সশস্ত্র যুদ্ধ, যা করার জন্য বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন (১) একজন প্রতিষ্ঠিত ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত আমীর থাকা, (২) উপযুক্ত প্রতিপক্ষ থাকা, (৩) জিহাদের প্রকাশ্য ঘোষণা থাকা। এগুলি শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্বিতাল ফরয হয় না, যেমন নিছাব পরিমাণ সম্পদ না থাকলে যাকাত ফরয হয় না।

স্মর্তব্য যে, একজন মুসলিম হিসাবে সর্বদা বাতিলের বিরুদ্ধে জিহাদের চেতনা থাকা এবং শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকা অবশ্যই যরূরী। কিন্তু একক ও বিচ্ছিন্নভাবে জিহাদের নামে অস্ত্রবাজি করা অবৈধভাবে মানুষ হত্যা করার পর্যায়ভুক্ত হবে। বস্ত্তত তাওহীদের মর্মবাণীকে জনগণের নিকটে পৌঁছে দেওয়া ও তাদের মর্মমূলে প্রোথিত করাই হ’ল প্রকৃত দাওয়াত এবং জাহেলিয়াতের বিরুদ্ধে আপোষহীন জিহাদই হ’ল দ্বীন কায়েমের সঠিক পদ্ধতি। আর আক্বীদা ও আমলের সংশোধনের মাধ্যমেই সমাজের সার্বিক সংস্কার সাধন সম্ভব। এটাই হ’ল নবীগণের চিরন্তন তরীকা (দ্র. হাফাবা প্রকাশিত ‘জিহাদ ও ক্বিতাল’ এবং ‘ইক্বামতে দ্বীন’ বই)

প্রশ্নকারী : রাক্বীবুল ইসলাম, মেহেরপুর।







বিষয়সমূহ: সংগঠন
প্রশ্ন (১৭/২৫৭) : রোগ আরোগ্য এবং পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উদ্দেশ্যে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি? - -মিনহাজ পারভেয, রাজশাহী
প্রশ্ন (৫/২০৫) : শিশুরা বিভিন্ন বিপদাপদে পতিত হ’লে যেমন উঁচু স্থান থেকে পড়ে গেলে ফেরেশতারা তাদের রক্ষা করে- এ কথার কোন সত্যতা আছে কি? - -আমীনুল ইসলাম, কামরাঙ্গীর চর, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৪/১৪) : চিকিৎসার মাধ্যমে উঁচু দাঁত সমান করায় শারঈ কোন বাধা আছে কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকনারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (১০/৩৭০) : আমাদের গ্রামে আযানের সময় মহিলারা মাথায় কাপড় দেয়। শরী‘আতে এরূপ কোন বিধান আছে কি?
প্রশ্ন (৪০/২০০) : ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক আমল শুরু করার আগে আমি পীরের মাযারে কয়েক পশু দেওয়ার মানত করেছিলাম। এক্ষণে তা পুরণ করতে হবে কি? - - হাফেয আব্দুল আলীম, জেদ্দা, সঊদী আরব।
প্রশ্ন (২২/২২২) : আমার বয়স ১২ হ’লেও বালেগ হওয়ায় মসজিদে পাঁচওয়াক্ত ছালাত আদায় করতে চাই। কিন্তু পিতা-মাতা মসজিদে বিশেষত মাগরিবের ছালাতে যেতে দিতে চায় না। প্রহার করে। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৪০/৩২০) : রামাযানে সফরের সময় তারাবীহর ছালাত আদায় করার বিধান কি? - -রাক্বীবুল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
প্রশ্ন (২৮/২৮) : মহিলারা জানাযা ও কাফন-দাফন কার্যে অংশগ্রহণ করতে পারে কি?
প্রশ্ন (২৪/১৮৪) : ছেলে মারা যাওয়ায় নমীনী হিসাবে কোম্পানী প্রদত্ত পুরো অর্থ তার পিতা পেয়েছেন। আরো কিছু অর্থ আছে যা তাদেরকে প্রদান করা হবে। ছেলে পিতা-মাতা সহ ১ ছেলে, স্ত্রী এবং ছোট ভাই রেখে গেছে। এক্ষণে উক্ত সম্পদ বাকি সদস্যদের মধ্যে কিভাবে বণ্টন করতে হবে?
প্রশ্ন (১৩/২১৩) : কিয়ামতের পূর্বে কুরআন উঠিয়ে নেওয়া হবে মর্মে কোন বর্ণনা আছে কি? যদি তাই হয় তবে হাফেযে কুরআনের সংখ্যা দিন দিন কিভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে? - -খাদীজা, পুঠিয়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৫/১৪৫) : বারবার তওবা করে বারবার গোনাহে লিপ্ত হলে তওবা কবুল হবে কি?
প্রশ্ন (২৫/৩৪৫) : চাঁদ দেখার দো‘আটি কি কেবল ঈদের চাঁদের সাথে নির্দিষ্ট না ১২ মাস নতুন চাঁদ দেখলে উক্ত দো‘আটি পাঠ করা যাবে? - -জুবায়দা ইয়াসমীন, মীরপুর, ঢাকা।
আরও
আরও
.