উত্তর : মানব রচিত বিধান শরী‘আহ বিরোধী না হ’লে তা শিরকের মধ্যে গণ্য হবে না। এক্ষণে সরকারী কর্মজীবীরা রাষ্ট্রের অধীনে কাজ করে। রাষ্ট্র তার অধীনস্থ কোন কর্মকর্তাকে কোন শিরকী কাজ করার আদেশ দিলে সাধ্যানুযায়ী তা পরিহার করবে। এরপরেও তা করতে বাধ্য করা হ’লে সরকার গোনাহগার হবে, ব্যক্তি নয়। এছাড়া সরকারী কর্মকর্তারা নিজ দায়িত্বে থেকে সরকারকে শিরক ও কুফরী কাজ বর্জনের নছীহত করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দ্বীন হ’ল কল্যাণ কামনা করার নাম। আমরা বললাম, কার জন্য? তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য, মুসলিমদের শাসকদের জন্য এবং মুসলিম জনসাধারণের জন্য (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৬৬)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, শাসকের নিকট থেকে কেউ অপসন্দনীয় কিছু দেখলে সে যেন ধৈর্যধারণ করে (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩৬৬৭)। তিনি বলেন, এমতাবস্থায় তাদের হক তাদের দাও এবং তোমাদের হক আল্লাহর নিকটে চাও’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩৬৭২)। ‘কেননা তাদের পাপ তাদের উপর এবং তোমাদের পাপ তোমাদের উপর বর্তাবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৭৩)। তিনি বলেন, তোমরা তাদের হক দিয়ে দাও। কেননা আল্লাহ শাসকদেরকেই জিজ্ঞেস করবেন তাদের শাসন সম্পর্কে, (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩৬৭৫)।
প্রশ্নকারী : মীযানুর রহমান, আসাম, ভারত।