উত্তর
: অভাব-অনটন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে একদিকে যেমন পরীক্ষা অন্যদিকে
অভাবীদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমি জান্নাতে উঁকি মেরে
দেখলাম যে, এর অধিকাংশ অধিবাসী হ’ল গরীব-মিসকীন’ (বুখারী হা/৩২৪১; মিশকাত হা/৫২৩৪)। তিনি বলেন, ‘দরিদ্ররা ধনীদের চাইতে পাঁচশ’ বছর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (তিরমিযী হা/২৩৫৩; মিশকাত হা/৫২৪৩)।
অতএব অভাবকে কেন্দ্র করে কোন দুশ্চিন্তা করা যাবে না। বরং অভাব দূর করার
জন্য বৈধ উপায়ে উপার্জন করতে হবে এবং অভাব মুক্তির জন্য আল্লাহর নিকট
নিম্নোক্ত দো‘আসমূহ পাঠ করতে হবে। (১) আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা আন হারামিক, অআগনিনী বিফাযলিকা আম্মান সিওয়াক। অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমার হালাল রুযী দিয়ে হারাম রুযী থেকে আমার জন্য যথেষ্ট কর এবং তুমি ছাড়া অন্য সকল থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী কর (তিরমিযী হা/৩৫৬৩; মিশকাত হা/২৪৪৯; ছহীহাহ হা/২৬৬)।
(২) আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি ওয়ায যিল্লাতি
ওয়া মিন আন আযলিমা আও উযলামা। অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে
অস্বচ্ছলতা, স্বল্পতা, অপমান-অপদস্ত হওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি এবং আমি
অত্যাচারী অথবা অত্যাচারিত হওয়া থেকেও তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি (আবুদাউদ হা/১৫৪৪; মিশকাত হা/২৪৬৭, সনদ ছহীহ)। এছাড়া অধিকহারে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে (নূহ ৭১/১০-১২)।
প্রশ্নকারী : যুলফিকার রহমান, কুষ্টিয়া।