উত্তর : মুসলিম হৌক অমুসলিম হৌক প্রতিষ্ঠিত কোন সরকারের বিরুদ্ধে একক বা বিচ্ছিন্নভাবে সশস্ত্র জিহাদের প্রস্ত্ততি গ্রহণ করা ইসলামের নীতি নয়। বরং সশস্ত্র জিহাদের দায়-দায়িত্ব এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্ত্ততি গ্রহণের দায়িত্ব কেবল মুসলিম শাসক বা রাষ্ট্র প্রধানের উপর বর্তায়, সাধারণ নাগরিকদের উপর নয়। আল্লাহ বলেন, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসূলের ও তোমাদের মধ্যকার শাসকের’ (নিসা ৪/৫৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আমি লোকদের সাথে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি যতক্ষণ না... (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/১২)

তবে অবশ্যই কোন সরকারের ইসলাম বিরোধী হুকুম মানতে কোন মুসলিম নাগরিক বাধ্য নয় (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৬৪)। বরং সর্বাবস্থায় তাওহীদের কালেমাকে সমুন্নত রাখা ও ইসলামী স্বার্থকে অক্ষুণ্ণ রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করা মুসলমানের উপর ফরয দায়িত্ব। অতএব এমতক্ষেত্রে সরকারের নিকটে কুরআন ও হাদীছের বক্তব্য তুলে ধরাই হ’ল বড় জিহাদ (আবুদাঊদ হা/৪৩৪৪, তিরমিযী; মিশকাত হা/৩৭০৫)। তাই মুসলিম বা অমুসলিম রাষ্ট্রে মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণের সকল প্রকার বৈধ প্রচেষ্টাই হ’ল ‘জিহাদ’। যদি তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং তাওহীদের ঝান্ডাকে সমুন্নত রাখার উদ্দেশ্যে হয়।

এজন্য অবশ্যই কথা, কলম ও সংগঠনের মাধ্যমে এবং প্রয়োজনে আইনী পন্থায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু যদি বিনা দ্বিধায় ও বিনা প্রচেষ্টায় অনৈসলামী আইন মেনে নেওয়া হয় এবং তার উপর কোন মুসলমান সন্তুষ্ট থাকে, তাহ’লে সে অবশ্যই কবীরা গোনাহগার হবে (মুসলিম হা/১৮৫৪, মিশকাত হা/৩৬৭১)। সাধ্যমত চেষ্টা সত্ত্বেও বাধ্য হ’লে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং শাসকের হেদায়াতের জন্য দো‘আ করতে হবে (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৫৯৯৬)

প্রতিষ্ঠিত কোন সরকারকে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে উৎখাতের জন্য গোপন প্রস্ত্ততি গ্রহণ মূলতঃ জিহাদের নামে স্রেফ আত্মপ্রতারণা মাত্র। এর মাধ্যমে দ্বীনের বিজয় তো দূরে থাক, উল্টা নিরপরাধ সাধারণ মুসলিমরা অহেতুক নির্যাতন ও হত্যার শিকার হচ্ছে। শুধু তাই নয় এর ফলে সার্বিকভাবে ইসলামের দাওয়াতকে সংকুচিত করে দেয়া হচ্ছে। আগে যেমন সর্বত্র স্বাধীনভাবে দ্বীনের দাওয়াত দেয়া যেত, বর্তমানে আলেমগণ সেভাবে আর দাওয়াতী কার্যক্রম চালাতে পারছেন না। অত্যাচারী শাসকদের অনৈসলামী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আলেমগণের স্বাধীন ভূমিকা বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। অতএব প্রতিষ্ঠিত ও সর্বজনস্বীকৃত শাসক বা আমীরের নির্দেশ ছাড়া গোপনে জিহাদের প্রস্ত্ততি গ্রহণ করা সম্পূর্ণরূপে শরী‘আত বিরোধী কাজ।






প্রশ্ন (২৫/২২৫) : আমাদের এলাকায় দাফন শেষে পাত্রে পানি নিয়ে কবরের উপর মাথা থেকে পায়ের দিকে ছিটিয়ে দেয়া হয়। এটা সঠিক কি? - -তাওহীদুল ইসলামরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১১/৪১১) : ওযনে কুরবানী কেনা যাবে কি? - -তাওয়াবুল হক, ভদ্রা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১১/৩৭১) : ছেলে-মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তাদের নামে ব্যাংকে জমাকৃত টাকার যাকাত কি পিতা বা অভিভাবককে আদায় করতে হবে? - -মুশফিকুর রহমান, অলকার মোড়, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৪/৮৪) : আমি আমার পিতার অনুমতি ছাড়াই কাযী অফিসের মাধ্যমে এক ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। পরবর্তীতে উক্ত বিবাহ পরিবার মেনে নিয়েছে। অতঃপর ২০১২ সালে পারিবারিক ঝগড়া হ’লে রাগের মাথায় আমার স্বামী এক তালাক, দুই তালাক উল্লেখ করে। কিন্তু আমরা এক সাথেই সংসার করতে থাকি। ২০২০ সালে আমার স্বামী মেয়ের সামনে আবারো আমাকে তালাক প্রদান করে। এখন আমরা দু’জন দুই স্থানে থাকি। তবে পরস্পরকে খুব ভালোবাসি। আমরা মেয়েসহ আবার এক সাথে থাকতে চাই। এক্ষণে আমাদের করণীয় কী?
প্রশ্ন (৪০/১২০) : তা‘যিয়া মিছিলে যোগ দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১১/২১১) : জনৈক অধ্যাপক বলেন, ছাহাবীগণের মধ্যে আলী (রাঃ) সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি জ্ঞানের শহর আর আলী তার দরজা’। বক্তব্যটি কি সঠিক?
প্রশ্ন (২১/৪২১) : ঢাকা শহরে প্রচুর যানজটের কারণে মীরপুর থেকে ইসলামপুরে যেতে ২-৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। যদিও সেটাকে সফর কিংবা ক্বছরের দূরত্ব বিবেচনা করা যায় না। কিন্তু যেতে আসতে অনেক সময় ব্যয় হয় ও কষ্ট হয়। এক্ষেত্রে ছালাত কি ক্বছর করা যাবে? এছাড়া কোন কারণবশতঃ আছর ও মাগরিবের ছালাত জমা করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/২৩৭) : আমাদের মসজিদের মুতাওয়াল্লী ছাহেব নিজেকে ‘আমেলীন দাবী করে যাকাতের ৮ ভাগের ১ ভাগ গ্রহণ করেন। অথচ তাকে কেউ নিয়োগ দেয়নি। এক্ষণে আমেলীন কাকে বলে, তাকে নিয়োগ দিবে কে এবং তার কাজ কি?
প্রশ্ন (১৪/৪১৪) : চিকিৎসাকর্মে বিশেষত অপারেশনে নিয়োজিত থাকা কালে নির্ধারিত সময়ে ছালাত আদায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এরূপ অবস্থায় প্রায় নিয়মিতভাবে ছালাত ক্বাযা হয়ে যায়। এতে গোনাহগার হ’তে হবে কি? - ডা. আব্দুল জাববার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (৮/৮৮) : মৃত গবাদিপশুকে কোথাও পুঁতে দিতে হবে, না কবর খুঁড়ে উত্তমভাবে দাফন করতে হবে? - -ইমতিয়াযুদ্দীন, সাগরদিঘী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (৩১/৭১) : রাতের বেলা সূরা আলে-ইমরানের শেষ দশ আয়াত পাঠ করার কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (২২/২২২) : ফজর ও মাগরিবের সুন্নাত ছালাতে সূরা কাফেরূন ও ইখলাছ পড়ার বিধান ও হিকমত কি? - -মারূফা, কাঞ্চন, নারায়ণগঞ্জ।
আরও
আরও
.