উত্তর : দো‘আ কবুলের জন্য আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি দরূদ পাঠ করা মুস্তাহাব এবং দো‘আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব। ফাযালা ইবনে ওবায়দ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একজন লোককে ছালাতে প্রার্থনা করতে শুনলেন। কিন্তু সে তাতে আল্লাহর প্রশংসা করেনি এবং নবী করীম (ছাঃ)-এর উপর দরূদও পড়েনি। এ দেখে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, লোকটি তাড়াহুড়ো করল। অতঃপর তিনি তাকে ডাকলেন ও তাকে অথবা অন্য কাউকে বললেন, ‘যখন তোমাদের কেউ দো‘আ করবে, তখন সে যেন তার প্রতিপালকের প্রশংসা বর্ণনা করে ও আমার প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করে দো‘আ আরম্ভ করে, তারপর যা ইচ্ছা (যথারীতি) প্রার্থনা করে’ (আবূদাউদ হা/১৪৮১; আহমাদ হা/২৩৯৮২, সনদ ছহীহ)। এছাড়াও ওমর (রাঃ) ও আলী (রাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক দো‘আ ততক্ষণ পর্যন্ত আসমান ও যমীনের মাঝে লটকে থাকে (আকাশে ওঠে না বা আল্লাহর কাছে কবুল হয় না), যতক্ষণ না নবীর উপর দরূদ পাঠ করা হয় (তিরমিযী হা/৪৮৬, ছহীহুত তারগীব হা/১৬৭৫, ১৬৭৬)। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, এ ব্যাপারে বিদ্বানগণ একমত যে, দো‘আর পূর্বে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠ করা মুস্তাহাব (আল-আযকার ১৭৬ পৃ.)। আর দরূদে ইব্রাহীমী পাঠ করা উত্তম। তবে সংক্ষেপে দরূদ পাঠ করলেও যথেষ্ট হবে (ছহীহুল জামে‘ হা/৪৭১৬)। অর্থাৎ বলবে, নাহমাদুহু ওয়া নুছাল্লী ‘আলা রাসূলিহিল কারীম, আম্মা বা‘দ। উল্লেখ্য যে, দো‘আর পূর্বে দরূদ পাঠ করা ওয়াজিব নয় (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২৪/২)

প্রশ্নকারী : জাহিদ, সুনামগঞ্জ।








প্রশ্ন (১৯/১৯) : কিছু মানুষকে দেখা যায়, দো‘আ করার সময় ভুল করে। যেমন বলে, আল্লাহ তুমি অমুককে জাহান্নামের ভালো স্থান দান কর। এমন দো‘আ কবুল হবে কি?
প্রশ্ন (১০/১০) : বাঁশের বাঁশি বাজানো বা শোনা শরী‘আত সম্মত কি?
প্রশ্ন (৩২/৩২) : মৃত ব্যক্তিকে অতি আবেগের বশে চুমু খাওয়া বা স্পর্শ করার বিধান সম্পর্কে ইসলামে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কি?
প্রশ্ন (২২/২২) : জুম‘আর ছালাতের পূর্বে তাহিইয়াতুল মাসজিদ সহ কত রাক‘আত ছালাত আদায় করা শরী‘আতসম্মত? - -ফরহাদ আলম, বাগদাদ, ইরাক।
প্রশ্ন (১৪/১৪) : ব্যাপক বন্যার সময় লাশ দাফন করার জন্য মাটি পাওয়া না গেলে লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১/২৮১) : জনৈক লেখক বলেন যে, বাঁশির শব্দে ইবনু ওমর (রাঃ) কানে আঙ্গুল দেয়াতে গান হারাম হয়েছে তা বলা যায় না (সৌভাগ্যের পরশমণি)। আবার রাসূল (ছাঃ) নিজে কানে আঙ্গুল দিয়েছিলেন কিন্তু ইবনু ওমর (রাঃ)-কে তা করতে বলেননি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খলীফাদের যুগে বাদ্যযন্ত্র ও গান নিষেধ ছিল না; বরং তা উপভোগ করা হত (তাবারী)। তিনি আরো বলেন, কুরআনে এমন কোন আয়াত নেই যা গানকে হারাম করে। তাই ইবনে হাজার, ইবনু খাল্লিকান, জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী, গাযালী প্রমুখ বিদ্বানদের মতে বাদ্যযন্ত্রসহ গান শোনা বৈধ। যদি তা সৎ উদ্দেশ্যে এবং কল্যাণকর কথা হয়। উক্ত দাবীগুলো কি সত্য? সৌভাগ্যের পরশমণি’ এবং ‘এহইয়াউ উলূমিদ্দীন’ বইগুলো কি গ্রহণযোগ্য?
প্রশ্ন (২৬/৩৮৬) : জনৈক ব্যক্তি তিন বছর আগে যৌতুক নিয়ে বিয়ে করেছে। স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ করেনি। বর্তমানে সে যৌতুক এবং মোহরানা যেকোন একটি পরিশোধ করতে সক্ষম। এখন কোন্টি আগে পরিশোধ করবে?
প্রশ্ন (২০/২৬০) : ‘দেশকে ভালবাসা ঈমানের অঙ্গ’ কথাটি কি হাদীছ? জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৩/১৮৩) : হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, মানুষ মারা গেলে সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অন্য হাদীছে রয়েছে, মৃত্যুর পর তার পক্ষ থেকে হজ্জ ও ছাদাক্বা করলে তাও পৌঁছে। এই দুই হাদীছের সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৪/১৬৪) : ছেলের স্ত্রীকে যাকাতের সম্পদ দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২৫/৩৪৫) : জুম‘আর খুৎবা চলাকালীন কোন কিছু খাওয়া বা পান করা যাবে কী? - -মুবারক হোসাইন, ইশ্বরদী, পাবনা।
প্রশ্ন (১৫/৪৫৫) : আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে? যারা এই অন্যায় করেছে তাদেরকে কি মুসলিম বলা যাবে?
আরও
আরও
.