উত্তর :
এর সাথে প্রচলিত ‘চিল্লা’ প্রথার কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর
তোমরা দেশে চার মাসকাল পরিভ্রমণ কর ও জেনে রেখ যে, তোমরা আল্লাহকে হীনবল
করতে পারবে না এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফিরদের লাঞ্ছিত করে থাকেন’ (তওবা ৯/২)।
৯ম হিজরীতে যখন রাসূল (ছাঃ) তাবূক যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেন তখন এ সূরা নাযিল
হয়। এসময় তিনি আবুবকর (রাঃ)-এর নেতৃত্বে একদল ছাহাবীকে হজ্জ আদায় করার জন্য
প্রেরণ করেন এবং মুশরিকদেরকে জানিয়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন যে, পরের
বছর থেকে তারা আর হজ্জ করতে পারবে না। পরক্ষণেই রাসূল (ছাঃ) ঘোষণাকারী
হিসেবে আলী (রাঃ)-কে আবুবকর (রাঃ)-এর অনুসরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
মুশরিকদের যাদের সাথে চার মাসের কমে নিরাপত্তা চুক্তি ছিল এবং যাদের সাথে
কোন চুক্তি ছিল না এবং যাদের সাথে সময় নির্ধারণ না করে চুক্তি ছিল তাদের
সকলকে চার মাস মক্কায় নিরাপদে চলাফেরার অনুমতি প্রদান করা হয়। যা দ্বিতীয়
আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু যাদের সাথে চার মাসের অধিক সময়ের জন্য
নিরাপত্তা চুক্তি ছিল, চতুর্থ আয়াতে তাদের সাথে কৃত চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ
করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এর পরের বছর ১০ম হিজরীতে
রাসূল (ছাঃ) মুশরিকমুক্ত মক্কায় বিদায় হজ্জ করেন।
অতএব মুশরিকদেরকে চার মাসের বা চার মাসের অধিক সময়ের চুক্তির মেয়াদকাল পর্যন্ত মক্কায় নিরাপদে চলাফেরার অনুমতি প্রদানের সাথে বর্তমান যুগের ইলিয়াসী তাবলীগের তিন চিল্লার সম্পর্ক তৈরী করা কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা ছাড়া কিছুই নয়।