উত্তর : আল্লাহ্ তা‘আলা শেষ যামানায় ঈসা (আঃ)-কে নবী হিসাবে নন, বরং ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসাবে প্রেরণ করবেন (বুখারী হা/২২২২, মুসলিম হা/১৫৫)। মুহাম্মাদ (ছাঃ) আগমনের মধ্যদিয়ে পূর্ববর্তী সকল নবী-রাসূলের আনীত শরী‘আত রহিত হয়ে গেছে (তওবা ৯/৩৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যদি আজকে মূসাও জীবিত থাকতেন, তাহলে আমার ইত্তেবা করা ব্যতীত তাঁর কোন উপায় থাকতো না (আহমাদ, মিশকাত হা/১৭৭)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ঈসা ইবনে মারিয়াম অবতরণ করবেন একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক
হিসাবে। তখন নেতা থাকবেন তোমাদের মধ্য হ’তে’। উম্মতে মুহাম্মাদীকে উদ্দেশ্য
করে তিনি বলবেন, তোমরা একে অপরের উপর আমীর হবে। এটি এই উম্মতের জন্য
আল্লাহর দেওয়া সম্মান’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৫০৬-০৭)। অতএব
ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে ঈসা (আঃ) দুনিয়াতে আগমন করে নতুন কোন শরী‘আত আনবেন
না। বরং শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) আনীত শরী‘আতেরই অনুসরণ করবেন।