উত্তর : গোপন শিরক হ’ল যা বাহ্যিকভাবে দেখা যায় না। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, যা অন্ধকার রাতে কালো পাথরের উপর কালো পিঁপড়ার বিচরণের চেয়েও গোপন’ (ইবনু কাছীর)। উক্ত শিরক সাধারণতঃ নিয়ত বা সংকল্পের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর তা হ’ল, রিয়া বা লোক দেখানো আমল করা। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূল (ছাঃ) বের হয়ে আমাদের নিকটে আসলেন। এমতাবস্থায় আমরা দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তখন রাসূল (ছাঃ) আমাদেরকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে দাজ্জালের চেয়েও অধিক ভয়ংকর কিছুর সংবাদ দিব? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তা হ’ল, الشِّرْكُ الْخَفِىُّ ‘গোপন শিরক’। কোন ব্যক্তি ছালাতে দাঁড়ালে যখন অন্য ব্যক্তি তার ছালাতের দিকে লক্ষ্য করে, তখন সে আরও সুন্দরভাবে ছালাত আদায় করে’ (মুসনাদে আহমাদ হা/১১২৭০; ইবনু মাজাহ হা/৪২০৪; মিশকাত হা/৫৩৩৩)। অতএব লোক দেখানো প্রত্যেকটি আমলই গোপন শিরক, যা থেকে বেঁচে থাকা আমাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।

এছাড়া কথার মাধ্যমে উক্ত শিরক হয়ে থাকে। যা ব্যক্তির অগোচরে তার নিয়তের মধ্যে ঢুকে পড়ে। যেমন ইবনু আববাস (রাঃ) উদাহরণ দিয়ে বলেন, যেমন কেউ বলল, আল্লাহর কসম এবং হে অমুক! তোমার ও আমার জীবনের কসম। অথবা বলল, যদি এই কুকুরটা না থাক, তাহ’লে আমাদের কাছে চোর আসত। অথবা কেউ কাউকে বলল, যা আল্লাহ চান ও আপনি চান। অথবা যদি আল্লাহ না থাকতেন ও অমুক না থাকত। তিনি বলেন, তুমি তোমার কথায় ‘অমুক’-কে যোগ করো না। কেননা এগুলি সবই শিরক। হাদীছে এসেছে, একদিন জনৈক ব্যক্তি এসে রাসূল (ছাঃ)-কে বলল, যদি আল্লাহ চান ও আপনি চান। উত্তরে রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘তুমি কি আমাকে আল্লাহর সাথে শরীক করছ? (আহমাদ, আদাবুল মুফরাদ হা/৭৮৩; ইবনু কাছীর, তাফসীর বাক্বারাহ ২২)। উছায়মীন বলেন, ব্যক্তির বিশ্বাস অনুযায়ী এগুলি বড় অথবা ছোট শিরকে পরিণত হয় (আল-ক্বাওলুল মুফীদ ২/৩২৩)। অতএব এগুলি থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।

নিম্নোক্ত দো‘আটি পাঠ করলে ছোট-বড় সকল প্রকার শিরক থেকে বাঁচা যায়।-اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ (‘হে আল্লাহ! জেনেশুনে তোমার সাথে শিরক করা থেকে আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং অজ্ঞতাবশে শিরক করা থেকে আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৭১৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৭৩১,)






প্রশ্ন (৩৩/২৭৩) : সফর অবস্থায় তাহাজ্জুদের ছালাত আদায়ের পদ্ধতি কি?
প্রশ্ন (২২/৪৬২) : ওয়াসীলা কাকে বলে? মানুষকে অসীলা ধরা যায় কি? মানুষে বলে অমুকের অসীলায় অমুক পেয়েছি। এভাবে বলা যায় কি?
প্রশ্ন (২৪/৩৪৪) : স্বামীর দুধপিতা কি মাহরামদের অন্তর্ভুক্ত?
প্রশ্ন (৪/২০৪) : মৃত ব্যক্তির পাশে আগরবাতি জ্বালানো যাবে কি?
প্রশ্ন (২১/৪২১) : শুনেছি, হিজরতের সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও আবুবকর (রাঃ) যে গুহায় লুকিয়েছিলেন তার মুখে মাকড়সার জাল বুনানো ও কবতুরের ডিম পাড়া সংক্রান্ত হাদীছটি নাকি জাল। কিন্তু আমাদের এলাকার জনৈক হাজী হজ্জ করতে গিয়ে একটি সিডি নিয়ে এসেছেন। যাতে ঐসব বিষয়গুলে রয়েছে। যা তিনি মানুষকে দেখাচ্ছেন। ফলে আমরা বিভ্রান্তিতে পড়ে গেছি। সঠিক বিষয়টি জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১১/৯১) : বৃষ্টি ও সেচ উভয়ের সমন্বয়ে ফসল উৎপাদিত হ’লে কি হিসাবে ওশর প্রদান করতে হবে?
প্রশ্ন (৯/৪৯) : হাদীছের বর্ণনা মোতাবেক পুরাতন কুরআন পুড়িয়ে ফেললে সমাজে বিভ্রান্তি তৈরী হয়। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে হানাহানি পর্যন্ত হয়ে যায়। এ ব্যাপারে করণীয় কি? - -আব্দুল লতীফ, সোনাবাড়িয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩৫/৭৫) : আমাদের এখানে আলেমরা বলেন, কম জানো এবং বেশী আমল কর। কথাটা কি শরী‘আতসম্মত? - -আবু সাঈদগোপালপুর, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (২৭/৪২৭) : ভবিষ্যতে মাদ্রাসা করার লক্ষ্যে এখন থেকে নিয়মিতভাবে নিজের ও অন্যদের যাকাত, দান-ছাদাক্বা, ওশর ইত্যাদি নির্দিষ্ট একাউন্টে জমা রাখতে পারব কি?
প্রশ্ন (৯/৪৪৯) : আমাদের দেশের ঔষধ কোম্পানীগুলো তাদের রিপ্রেজেন্টিটিভদের মাধ্যমে ডাক্তার ও ফার্মেসী দোকানদারদের নিজ নিজ কোম্পানীর ঔষধ প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করার জন্য দামী দামী গিফট দেয়, ডাক্তারদের সাথে মোটা অংকের আর্থিক চুক্তি করে। ফলে ঐ ডাক্তার নির্দিষ্ট কোম্পানীর বাইরে কোন ঔষধ লেখেন না। এর ফলে অনেক রোগী নিম্নমানের ঔষধ খেয়ে ক্ষতির মধ্যে পড়ে যায়। এরূপ চাকুরী করা জায়েয হবে কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মোহনপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৫/৪২৫) : জনৈক আলেম বলেন, আমি যদি এটা করতাম, তাহ’লে এটা হ’ত’- এরূপ বলা নাজায়েয। এক্ষণে ‘আমি যদি পড়ে যেতাম, তাহ’লে হাত ভেঙ্গে যেত’ এরূপ বলা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/৩৯৮) : শিরক করার পর তওবা করলে পূর্বে কৃত আমলের নেকী ফিরে পাওয়া যাবে কি? - -আব্দুল গফুর, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ।
আরও
আরও
.