উত্তর
: যাবে। এভাবে তাকবীর ধ্বনি বলা ও বলতে বলা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত।
প্রখ্যাত তাবেঈ মুজাহিদ বলেন, আবু হুরায়রা ও ইবনু ওমর যিলহাজ্জ মাসের প্রথম
দশকে বাযারে বের হতেন এবং সশব্দে তাকবীরধ্বনি দিতেন। তাদের তাকবীর শুনে
লোকেরাও তাকবীর দিতেন। তারা কেবল এই কাজের জন্যই বাযারে আসতেন (ফাকেহী, আখবারু মাক্কা হা/১৬৪৪; বুখারী হা/৩৭৫, ৪/১২২ পৃ.; ইরওয়া হা/৬৫১, সনদ ছহীহ)।
ওমর (রাঃ) মিনায় নিজের তাঁবুতে তাকবীর বলতেন। মসজিদের লোকেরা তা শুনে
তারাও তাকবীর বলতেন এবং তাদের তাকবীর শুনে বাযারের লোকেরাও তাকবীর বলতেন।
ফলে সমস্ত মিনা তাকবীরের আওয়াযে গুঞ্জরিত হয়ে উঠত (বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/৬০৬১; আখবারু মাক্কা হা/২৫৮০; বুখারী হা/৩৭৬, ৪/১২৪ পৃ.)।
মায়মূনা (রাঃ) কুরবানীর দিন তাকবীর বলতেন এবং মহিলারা আবান বিন ওছমান ও
ওমর বিন আবদুল আযীয (রহঃ)-এর পিছনে আইয়ামে তাশরীক্বের রাত্রিগুলিতে মসজিদে
পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গে তাকবীর বলতেন (বুখারী হা/৩৭৬, ৪/১২৪ পৃ.)। তবে এর মাধ্যমে যেন কেউ জামা‘আতবদ্ধ যিকিরের দলীল না নেন, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ জামা‘আতবদ্ধ যিকির বিদ‘আত (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২৪/২৬৯)।