উত্তর : মসজিদের মেহরাবের উপরে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ লেখা যাবে না। কেননা মসজিদে এরূপ লেখার নিয়ম রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে ছিল না। আর মেহরাবের এক পার্শ্বে ‘আল্লাহ’ অপর পাশে^র্ ‘মুহাম্মাদ’ লিখা শিরক। এতে আল্লাহ ও রাসূলকে তথা স্রষ্টা ও সৃষ্টিকে সমান গণ্য করা হয়। এইসব লেখার পিছনে সাধারণতঃ এই আক্বীদা কাজ করে যে, যিনিই আল্লাহ তিনিই মুহাম্মাদ। অর্থাৎ আল্লাহই মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর রূপধারণ করে দুনিয়াতে এসেছেন (নাঊযুবিল্লাহ)। যার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় ছূফীদের আবিষ্কৃত মীলাদ মাহফিলে পঠিত উর্দূ কবিতার মাধ্যমে। যেমন বলা হয়, ‘ওহ্ জো মুস্তাবী আরশ থা খোদা হো কার, উতার পাড়া হ্যায় মদীনা মেঁ মোছতফা হো কার্। অর্থ: আরশের অধিপতি আল্লাহ ছিলেন যিনি, মুছতফা রূপে মদীনায় অবতীর্ণ হ’লেন তিনি’। এগুলো পরিষ্কারভাবে শিরক। অতএব আল্লাহ ও মুহাম্মাদ পাশাপাশি লেখা থেকে মসজিদকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

আজকাল অনেকে এগুলি বাসের মাথায় দু’পাশে লেখেন। অনেকে মুহাম্মাদ-এর বদলে ‘গরীব নেওয়ায’ লেখেন। কোন কোন গাড়ীর মাথায় বড় করে আরবীতে ‘আল্লাহু’ লেখা হয়। এগুলি লেখা অনর্থক। কেননা মসজিদে, ঘর-বাড়ীতে, দেওয়ালে, পাত্রে বা পরিবহনে এসব লেখার কোন প্রমাণ কুরআন-হাদীছে নেই। এতে কোন লাভও নেই। বরং বিসমিল্লাহ বলে কাজ শুরু করা ও আলহামদুলিল্লাহ বলে কাজ শেষ করার মধ্যেই কেবল আল্লাহর রহমত ও বরকত নিহিত রয়েছে। অতএব এসব অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।






প্রশ্ন (২৭/৪৬৭) : ‘যে জ্ঞানীকে সম্মান করে না সে আমাকে সম্মান করে না’ কথাটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত কি?
প্রশ্ন (৩৮/১৫৮) : দাফনের প্রাক্কালে নারী বা পুরুষ মাইয়েতের বুকের উপর নিজের হাত রেখে ইমাম ছাহেব ‘বিসমিল্লাহি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ’ বলবেন। এ বিধানের কোন সত্যতা আছে কি? - -আলী হোসাইন, সাহেব বাজার মাছপট্টি, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৭/৪৪৭) : আমাদের মসজিদের ইমাম ছাহেব প্রতিদিন ফজরের ছালাতে রুকূর পর হাত তুলে কুনূত পাঠ করে। এভাবে নিয়মিতভাবে করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৩৫) : দোকানে নারী ক্রেতা আসলে চোখের হেফাযত করার ক্ষেত্রে করণীয় কি? বিশেষত কথা বলতে গিয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও একাধিকবার চোখাচোখি হয়ে যায়। এতে গুনাহ হবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৩১৫) : সূরা ইনশিরাহ সাতবার পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে তা পান করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। কথাটির সত্যতা আছে কি? - -মহিউদ্দীন শেখ, রামপাল, বাগেরহাট।
প্রশ্ন (১/৪১): কোন ব্যক্তি ঋণ রেখে মারা গেলে তার ওয়ারিছগণ যদি তা পরিশোধ না করে, তাহ’লে মৃত ব্যক্তি কি দায়ী হবে? না ওয়ারিছগণ অপরাধী সাব্যস্ত হবে?
প্রশ্ন (২৩/২২৩) : কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর আমরা বিভিন্নভাবে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করি, তার পাশে বসে কুরআন পাঠ করি, গরম পানি দিয়ে তাকে গোসল দেই। এই সমস্ত কাজ কি মৃত ব্যক্তি বুঝতে পারে? কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে উত্তর দানে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৬/২১৬) : আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, ‘আমাকে নবী করীম (ছাঃ) দু’টি বস্ত্ত দিয়েছেন। একটি প্রকাশ করেছি। অপরটি প্রকাশ করলে আমার গর্দান কাটা যাবে। তিনি কি ইলমে তাছাউফের জ্ঞান গোপন করেছিলেন, যেমনটি অনেকে বলে থাকেন? - -মুজাহিদুল ইসলাম, সি এ্যান্ড বি ঘাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (২০/২৬০) : জনৈক ব্যক্তি সমাজে অনেক শিরক ও বিদ‘আতের প্রচলন ঘটিয়েছে এবং মানুষ তা আমল করে চলেছে। পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তি বিশুদ্ধ দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে। এক্ষণে ঐ ব্যক্তি কি সমাজের লোকদের পাপের অংশ পেতে থাকবে? এক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির পরিত্রাণের উপায় কি?
প্রশ্ন (৩৯/৭৯) : আমার অফিস প্রধান অন্য একজন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে একটি পণ্য ১০ টাকায় কিনে থাকে। এরপর তিনি আমাকে পণ্যটি কেনার দায়িত্ব দেন। আমার সাথে ঐ ব্যবসায়ীর ভালো সম্পর্ক থাকায় তিনি আমার জন্য ২ টাকা করে কম রাখেন। এতে আমি প্রচুর লাভবান হই। এটা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/৩১৪) : রামাযানের দিনের বেলায় এন্ডোস্কপি পরীক্ষা করালে কি ছিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে? - -আব্দুল্লাহ, বড়পেটা, আসাম, ভারত।
প্রশ্ন (৪০/১২০) : জনৈক আলেম বলেন, প্রত্যেক মানুষ ও জিনের সাথে শয়তান থাকে। এমনকি রাসূল (ছাঃ)-এর সাথেও ছিল। এ বক্তব্যের কোন সত্যতা আছে কি?
আরও
আরও
.