উত্তর : কাউকে কোন কিছু দান করার পর দো‘আ চাওয়া অনুচিৎ। কেননা এটি দানের বিনিময়ে প্রতিদান চাওয়ার মত হয়ে যায়। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন যে সাত শ্রেণীর লোক আল্লাহর ছায়ার নিচে আশ্রয় পাবে, তাদের অন্যতম হ’ল, যে ব্যক্তি ডান হাতে দান করে, অথচ বাম হাত টের পায় না’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৭০১)। অন্যদিকে জান্নাতী বান্দাদের দুনিয়াবী বৈশিষ্ট্য বলতে গিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তারা কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মিসকীন, ইয়াতীম ও কয়েদীদের খাদ্য দান করে থাকে’। ‘তারা বলে, আমরা কেবল আল্লাহর চেহারা অন্বেষণের জন্য তোমাদের খাদ্য দান করে থাকি। আমরা তোমাদের নিকট থেকে কোন প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না’ (দাহর ৭৬/৮-৯) 

তবে যাকে বা যে প্রতিষ্ঠানে ছাদাক্বা করা হ’ল, তাদের উচিৎ দানকারীর জন্য দো‘আ করা (তওবাহ ৯/১০৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তোমাদের কোন উপকার করল, তোমরা তাকে উত্তম বিনিময় প্রদান কর। সক্ষম না হ’লে অন্ততঃপক্ষে তার জন্য দো‘আ কর। যাতে সে বুঝতে পারে যে, তোমরা তাকে উপযুক্ত উপঢৌকন প্রদান করেছ’ (আবুদাঊদ হা/৫১০৯; মিশকাত হা/১৯৪৩)। যেমন রাসূল (ছাঃ) দো‘আ করে বলতেন, বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফী আহলিকা ওয়া মা-লিকা’ অথবা বহুবচনে ‘কুম’ (আল্লাহ আপনার জন্য আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন)’ (বুখারী হা/৩৭৮০; ইবনু মাজাহ হা/১৯০৬-০৭)

আর মুমিনগণ পরস্পরের নিকট দো‘আ চাওয়া জায়েয। যেমন ছাফওয়ান (রাঃ) বলেন, আমি শামে গেলাম আবুদ্দারদা (রাঃ)-এর সাক্ষাতের জন্য। কিন্তু তিনি ঐসময় বাড়িতে ছিলেন না। তখন উম্মুদ্দারদা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি হজ্জে যাবে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, আমাদের জন্য কল্যাণের দো‘আ করো। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতেন, ‘কোন মুসলমান কারু জন্য তার পিছনে খালেছ মনে দো‘আ করলে, সে দো‘আ কবুল হয়। সেখানে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে। যখনই ঐ ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য দো‘আ করে, তখনই উক্ত ফেরেশতা বলে ‘আমীন’। তোমার জন্যও অনুরূপ হৌক’ (মুসলিম হা/২৭৩৩)। এ ব্যাপারে ইমাম নববী মুসলিম উম্মাহর ইজমা‘ উদ্ধৃত করেছেন (নববী, আল-আযকার ‘উত্তম ব্যক্তির নিকট দো‘আ চাওয়া’ অনুচ্ছেদ)। তবে যদি এই দো‘আ কোন মৃত ব্যক্তির নিকট চাওয়া হয়, তবে সেটি হারাম হবে। আর যদি কোন জীবিত ব্যক্তির নিকট দো‘আ চাওয়ার মধ্যে তার উপরেই ভরসা করা হয়, তবে সেটাও নিষিদ্ধ। যদি এই বিশ্বাস করা হয় যে, তার দো‘আ কবুল হবেই, সেটাও নিষিদ্ধ। সর্বাবস্থায় ভরসা ও প্রার্থনা কেবলমাত্র আল্লাহর নিকটেই করতে হবে।







প্রশ্ন (৮/২৪৮) : বিভিন্ন সভা-সম্মেলনের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করা কি বিদ‘আত? রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে এরূপভাবে যেকোন অনুষ্ঠান শুরু হ’ত বলে প্রমাণ পাওয়া যায় কি?
প্রশ্ন (৩৮/৩৮) : অমুসলিম-কাফের-মুশরিকদের বাড়িতে এবং যে সকল মুসলিম ছালাত আদায় করে না, ছিয়াম রাখে না, তাদের বাড়িতে খাওয়া যাবে কি? তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩২/১৫২) : নবজাতকের নাভী পড়ে যাওয়ার পর তা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে পুঁতে রাখতে হয় কি? এ রেওয়াজের কোন উপকারিতা আছে কি?
প্রশ্ন (২/৮২): নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করার পর আমি এক মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে আবেদন করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমার নিকটে ৭ লক্ষ টাকা দাবী করছে। এছাড়া যে প্রতিষ্ঠানেই আবেদন করি না কেন সেখানেই এরূপ অর্থ দাবী করছে। এক্ষণে এ অর্থ প্রদান করে চাকুরী নিলে কি আমার সারা জীবনের উপার্জন হারাম হয়ে যাবে? জনৈক আলেম বললেন, সঊদী ওলামায়ে কেরাম এক্ষেত্রে গোনাহের দায়ভার প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের উপর বর্তাবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত দলীলভিত্তিক জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২২/২২২) : বর্ণিত আছে যে, খলীফা থাকাকালীন সময়ে ওমর (রাঃ) সন্তানদের জন্য ঈদের কাপড় ক্রয় করতে না পেরে বায়তুল মাল-এর প্রধান আবু ওবায়দা (রাঃ)-কে তার এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য চিঠি পাঠান। পত্র পেয়ে তিনি অশ্রুসিক্ত হ’লেও উত্তর লিখলেন যে, অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দু’টি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। প্রথমতঃ আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি-না? দ্বিতীয়তঃ বেঁচে থাকলেও মুসলমানেরা আপনাকে খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কি-না? উত্তর পাঠ করে ওমর (রাঃ) এত বেশী ক্রন্দন করেন যে তাঁর দাড়ি ভিজে গেল। তিনি আবু ওবায়দার জন্য আল্লাহর নিকটে রহমত ও হায়াত বৃদ্ধির জন্য দো‘আ করলেন। ফলে আর ঈদের কাপড়ও কেনা হ’ল না। এ ঘটনার সত্যতা আছে কি? - নাছিরুদ্দীন, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩৪/১৯৪) : হিজামাহ করিয়ে পারিশ্রমিক নেওয়া যাবে কি? - -নাজমুছ ছাকিব, ঢাকা উদ্যান, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৩/১০৩) : গায়ের মাহরাম নারীর সাথে কথপোকথন ও চলাফেরার ক্ষেত্রে কি কি বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক?
প্রশ্ন (৬/৩৬৬) : বিবাহে সাহায্যের জন্য অনেক হিন্দু মহিলা আসে। তাদেরকে একাজে সহযোগিতা করা যাবে কি? কেননা তাদের বিবাহ অনুষ্ঠানে অনেক শিরকী কার্যকলাপ হয়ে থাকে। - -ডা. আযীয আলী, বিরল, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (৩/৪০৩) : বার্ধক্যের কষ্ট থেকে মুক্তির কোন উপায় শরী‘আতে আছে কি?
প্রশ্ন (১০/৯০) : দো‘আ-দরূদ মুখে উচ্চারণ না করে মনে মনে পাঠ করলে ছওয়াব বা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৭৫) : আল্লাহ বলেন, ব্যভিচারী পুরুষ ব্যভিচারিণী নারী ব্যতীত বিবাহ করে না এবং ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ ব্যতীত বিবাহ করে না’ (নূর ৩)। আয়াতটির সঠিক মর্মার্থ কি? - -মুস্তাফীযুর রহমানপলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৫/১৩৫): টেস্টটিউবের মাধ্যমে সন্তান প্রজননের হুকুম কি?
আরও
আরও
.