উত্তর : ঘটনাটি বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে (আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৬/৩৫১ পৃঃ, ১২ হিজরীর বর্ণনা, খালিদ (রাঃ)- কে ইরাক প্রেরণ শীর্ষক আলোচনা দ্রঃ; তারীখে ত্বাবারী ২/৩১৭; তারীখে দেমাশক ৩৭/৩৬৫ প্রভৃতি)। ঘটনাটি খুবই ঈমান বর্ধক এবং তা নিম্নরূপ : ইরাকের সমৃদ্ধ নগরী ‘হীরা’ অবরোধকালে সেখানকার আরব খৃষ্টান নেতা ইবনু বাক্বীলাহ সেনাপতি খালেদের নিকট নীত হন। খালেদ তার থলির মধ্যে একটা বিশেষ কৌটা পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কেন? সে বলল, পরাজয়ের আশংকা দেখা দিলে ধূত হবার চাইতে আত্মহত্যা করাকেই আমি অধিক পসন্দ করি’। তখন খালেদ সেটি হাতে নিয়ে বললেন, নির্ধারিত  সময়ের পূর্বে কোন প্রাণীই মরতে পারে না। অতঃপর তিনি বলেন, বিসমিল্লাহি খায়রিল আসমা, রবিবল আরযে ওয়াসসামা, আল্লাযী না ইযাযু’রু মা‘আ ইসমিহী দা-উন, আর রহমা-নুর রহীম’। একথা শুনে অন্য সেনাপতিরা তাঁকে বিরত রাখতে দ্রুত এগিয়ে আসেন। কিন্তু তার আগেই তিনি তা গিলে ফেলেন।

এ দৃশ্য দেখে খৃষ্টান নেতা ইবনু বাক্বীলাহ বলে উঠলেন, হে আরবগণ! তোমাদের মধ্যে একজন বেঁচে থাকলেও তোমরাই বিজয়ী হবে। অতঃপর তিনি হীরাবাসীদের উদ্দেশ্যে বললেন, আজকের চাইতে স্পষ্ট সৌভাগ্যের দিন আমি দেখিনি। অতঃপর তিনি তাদেরকে আহবান করলেন এবং তারা এসে খালেদের নিকট সন্ধি প্রার্থনা করল। এভাবে বিনা যুদ্ধে জয় হ’ল (আল- বিদায়াহ... ৬/৩৫১)। এ ঘটনা সত্য হ’লে এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, বস্ত্তর নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই, আল্লাহর হুকুম ব্যতীত। যে ভাবে ইবরাহীম (আঃ)-এর জন্য আগুন ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। যদিও সেটা সকলের ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য নয়। কেননা আল্লাহ বলেন, তুমি আল্লাহর নিয়মের কোন ব্যতিক্রম পাবে না (ফাত্বির ৪৩)। ‘তিনি যেটা ইচ্ছা করেন, কেবল সেটাই হয়ে থাকে’ (বুরূজ ১৬)। তাঁর ইচ্ছার বাইরে কিছুই করার ক্ষমতা মানুষের নেই (দাহর ৩০)






প্রশ্ন (১০/১৭০) : কেউ কারো মাধ্যমে উপকৃত হ’লে তার প্রশংসায় বলে, ‘আকাশে আল্লাহ আছেন আর তুমি যমীনে’- এমন ভাষায় কারো উপকারের প্রশংসায় বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩১/১১১) : শিরক-বিদ‘আত সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও যেসব সমাজ প্রধানগণ উক্ত কাজে বাধা না দিয়ে বরং প্ররোচিত করে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি কি হবে? - -নাজমুল হোসাইন, চারঘাট, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৩/৩৮৩) : অনেক আলেমকে দেখা যায় তারা অন্য আলেমের ভুল-ত্রুটি জনগণের সামনে তুলে ধরেন, যাতে মানুষ তাদের বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত থাকতে পারে। তাতে অন্যেরা বলে থাকেন যে, উনি মানুষের গীবত করেন। সুতরাং ইনি নিজেই তো পাপী। এক্ষণে শরী‘আতে এরূপ গীবতের বিধান কি তা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৩/৩৪৩) : আমি যে মসজিদে ই‘তিকাফ করি, সেখানে ২০ রাক‘আত তারাবীহর ছালাত আদায় করা হয়। এক্ষণে এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? - -মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহরূপসা কলেজ, খুলনা।
প্রশ্ন (৪০/৪৪০) : ছালাতের মধ্যে ক্রন্দন করার বিধান কি? রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এভাবে ক্রন্দন করার দলীল পাওয়া যায় কি?
প্রশ্ন (৭/২০৭) : অনেককেই দেখা যাচ্ছে পিস টিভি দেখা ও ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য শোনার জন্য টেলিভিশন-ইন্টারনেট নিচ্ছেন। কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যরা এগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন শরী‘আত বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। এক্ষণে পিতা হিসাবে আমাদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (২১/৬১) : ছালাতরত অবস্থায় মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর নাম শুনলে (ছাঃ) বলতে হবে কি?
প্রশ্ন (১৩/১৩৩) : হিসাববিজ্ঞান পড়ানোর ক্ষেত্রে সূদী লেনদেন সংশ্লিষ্ট অনেক হিসাব বিধি শিক্ষা দিতে হয়। এটা পড়া বা পড়ানো জায়েয হবে কি? - -মাহিদুল হাসান তাহসীনদক্ষিণখান, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৫/২৫৫) : গর্ভবতী স্ত্রীর সাথে মিলনে বাধা আছে কি? - -আল-আমীন, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৩/৬৩) : ঋতু অবস্থায় ছালাত ও ছিয়াম থেকে বিরত থাকতে হয়। কুরআন তেলাওয়াত থেকেও কি বিরত থাকতে হবে?
প্রশ্ন (৩১/৩৫১) : ওযূসহ ফরয গোসল করার পর লজ্জাস্থানে একাধিকবার হাত লেগে গেছে। এমতাবস্থায় পুনরায় ওযূ করতে হবে কি?
প্রশ্ন (২৯/২২৯) : ইসলামের দৃষ্টিতে কোন দিবস পালন করা কোন পর্যায়ের শিরক? কিভাবে এটা শিরকের পর্যায়ভুক্ত গোনাহে পরিণত হয় জানিয়ে বাধিত করবেন।
আরও
আরও
.