উত্তর :
রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে দেওয়াই সুন্নাতসম্মত। কেননা
রুকুর পরে পুনরায় বুকে হাত বাঁধার স্পষ্ট কোন দলীল পাওয়া যায় না। বিখ্যাত
ছাহাবী আবু হুমায়েদ সা‘এদী (রাঃ) যিনি ১০ জন ছাহাবীর সম্মুখে রাসূল
(ছাঃ)-এর ছালাতের নমুনা প্রদর্শন করে সত্যায়ন প্রাপ্ত হয়েছিলেন, সেখানে বলা
হয়েছে-فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ اسْتَوَى حَتَّى يَعُوْدَ كُلُّ فَقَارٍ
مَكَانَهُ- ‘তিনি রুকূ থেকে মাথা উঠিয়ে সোজা দাঁড়িয়ে গেলেন এমনভাবে যে,
মেরুদন্ডের জোড় সমূহ স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসে’ (বুখারী, মিশকাত হা/৭৯২)।
ওয়ায়েল বিন হুজ্র ও সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) বর্ণিত ‘ছালাতে বাম হাতের উপরে ডান হাত রাখার ‘আম’ হাদীছের (মুসলিম, বুখারী, মিশকাত হা/৭৯৭,৭৯৮) উপরে ভিত্তি করে রুকূর আগে ও পরে ক্বওমা-র সময় বুকে হাত বাঁধার কথা বলা হয়। কিন্তু উপরোক্ত হাদীছগুলি রুকূ পরবর্তী ‘ক্বওমা’র অবস্থা সম্পর্কে ‘খাছ’ ভাবে বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া বুকে হাত বাঁধার বিষয়টি হাতের স্বাভাবিক অবস্থার পরিপন্থী। এক্ষণে মেরুদন্ড সহ দেহের অন্যান্য অস্থি সমূহকে স্ব স্ব জোড়ে ফিরে আসতে গেলে ক্বওমার সময় হাতকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় ছেড়ে দেওয়াটাই ছহীহ হাদীছ সমূহের যথাযথ অনুসরণ বলে অনুমিত হয় (বিস্তারিত দ্রঃ আলবানী, ছিফাতু ছালা-তিন্নবী, পৃঃ ১২০; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃঃ ১০৭)। তবে স্মর্তব্য যে, উক্ত বিষয়টি ছালাতের মধ্যেকার সুন্নাতের পর্যায়ভুক্ত। অতএব এ বিষয়ে সকল প্রকার বাড়াবাড়ি হ’তে বিরত থাকা কর্তব্য।