উত্তর : তওবাকারীর তওবা যদি খাঁটি হয় এবং তা আল্লাহর কাছে কবুলযোগ্য হয়ে যায়, তবে তার আমলনামা থেকে গুনাহসমূহ মুছে ফেলা হবে (তাহরীম ৬৬/৮)। ফলে ব্যক্তির গুনাহের পাল্লা হালকা হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই সৎকর্মসমূহ মন্দ কর্মসমূহকে বিদূরিত করে (হূদ ১১/১১৪)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পাপ থেকে তওবাকারী ব্যক্তি পাপমুক্ত ব্যক্তির ন্যায়’ (ইবনু মাজাহ হা/৪২৫০; মিশকাত হা/২৩৬৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৩০০৮)। রাসূল (ছাঃ) আরো বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত ফরয ছালাত যার মাধ্যমে আল্লাহ সমস্ত পাপ ও ত্রুটি বিদূরিত করে দেন’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৬৫)। তিনি আরো বলেন, ‘তুমি যেখানেই থাক না কেন, আল্লাহ্কে ভয় কর এবং পাপের পরে পুণ্য কর, যা পাপকে মুছে ফেলবে’ (তিরমিযী হা/১৯৮৭; মিশকাত হা/৫০৮৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৯৭)। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, তওবা মানুষের গুনাহসমূহকে বিদূরিত করে (মিনহাজুস সুন্নাহ ৬/২১১)।
প্রশ্নকারী : বারাকাতুল্লাহ, ঠাকুরগাঁও।