উত্তর :
হস্তমৈথুন বা যেকোন উপায়ে বীর্য স্খলন করা নিষিদ্ধ। এটি কবীরা গোনাহের
অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজ স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত অন্যকে কামনা
করে, তারা সীমালংঘনকারী’ (মুমিনূন ২৩/৬-৭; মা‘আরিজ ৭০/৩০-৩১)। এটি এমন এক আত্মঘাতি পাপ, যা মানুষের জীবন-যৌবন ধ্বংস করে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়ো না এবং ক্ষতি করো না’ (ইবনু মাজাহ হা/২৩৪০; ছহীহাহ হা/২৫০)। ক্বিয়ামতের দিন মানুষের মুখ বন্ধ হবে এবং হাত-পা সাক্ষ্য দিবে’ (ইয়াসীন ৩৬/৬৫)।
অতএব এই পাপীদের এখুনি তওবা করতে হবে। আর এত্থেকে বাঁচার জন্য যখনই বাজে চিন্তা মাথায় আসবে, তখনই বাম দিকে তিনবার থুক মেরে ‘আঊযুবিল্লাহ’ পড়বে (মুসলিম হা/২২০৩; মিশকাত হা/৭৭)। অতঃপর অন্য কাজে মন দিবে অথবা স্থান পরিবর্তন করবে। এছাড়া ‘আল্লা-হুম্মাগফির যানবী ওয়া তাহহির ক্বালবী ওয়া হাছছিন ফারজী (হে আল্লাহ! তুমি আমার গুনাহ ক্ষমা কর, আমার হৃদয়কে পবিত্র কর এবং আমার লজ্জাস্থানকে হেফাযত কর) দো‘আটি পাঠ করা যায়। রাসূল (ছাঃ))-এর নিকটে এক যুবক যেনা করার অনুমতি চাইলে তিনি তাঁর জন্য এই দো‘আ করেন (আহমাদ, ছহীহাহ হা/৩৭০)।
এছাড়া এত্থেকে স্থায়ীভাবে বাঁচার পথ হ’ল, বিবাহ করা অথবা নিয়মিত নফল ছিয়াম রাখা (বুখারী হা/১৯০৫; মুসলিম; মিশকাত হা/৩০৮০)। এছাড়া নিয়মিত জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা, দ্বীনী পরিবেশে থাকা, মোবাইল-কম্পিউটার-ইন্টারনেট-টিভির যাবতীয় অশ্লীলতা হ’তে দূরে থাকা, ধর্মীয় বই-পুস্তক পড়াশুনায় অভ্যস্ত হওয়া, নির্জনতা বর্জন করে পারিবারিক ও সামাজিক কার্যক্রমে অধিকহারে অংশগ্রহণ করা ইত্যাদি কার্যাবলীর মাধ্যমে এত্থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।