উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট উম্মতের দরূদ ও সালাম পৌঁছানো হয় (নাসাঈ; মিশকাত হা/৯২৪)।
এখানে সালাম অর্থ দো‘আ। চাই তা কবরের পাশে দাঁড়িয়ে হৌক বা দূর থেকে হৌক।
দ্বিতীয়তঃ বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে বারযাখী জীবনের অন্তর্ভুক্ত। যেখানে মানুষের
হায়াত বা মঊত বলে কিছু নেই। তাই রূহ ফেরত দেওয়ার অর্থ তাঁকে অবহিত করানো
এবং তিনি তা বুঝতে পারেন। আর সেটাই হ’ল তাঁর উত্তর (মির‘আত হা/৯৩১-এর ব্যাখ্যা, ৪/২৬২-৭৪)।
বারযাখী জীবনের বিষয় দুনিয়াবী জীবনের সাথে তুলনীয় নয়। অতএব এ হাদীছগুলির
মাধ্যমে ‘হায়াতুন্নবী’ প্রমাণের কোন অবকাশ নেই। যা পরিষ্কারভাবে শিরকী
আক্বীদা। রাসূল (ছাঃ) মৃত্যুবরণ করেছেন (যুমার ৩৯/৩০, আম্বিয়া ২১/৩৪-৩৫, আলে-ইমরান ৩/১৪৪, বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৯৬৪)।
দুনিয়াবী জীবনের সাথে তাঁর এখন কোনই সম্পর্ক নেই। উল্লেখ্য যে,
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কবরের নিকটে গিয়ে দরূদ পাঠ করলে তিনি শুনতে পান মর্মে
বায়হাক্বী বর্ণিত হাদীছটি ‘জাল’ (সিলসিলা যঈফাহ হা/২০৩)। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই তুমি শুনাতে পারো না কোন মৃত ব্যক্তিকে (নমল ২৭/৮০)। আর ‘তুমি শুনাতে পারো না কোন কবরবাসীকে’ (ফাত্বির ৩৫/২২)। তিনি বলেন, মৃতদের সামনে পর্দা (বরযখ) রয়েছে, পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত (মুমিনূন ২৩/১০০)।