উত্তর : বন্ধ্যা নারীকে বিবাহ করা জায়েয। তবে রাসূল (ছাঃ) অধিক সন্তানদায়িনী নারীকে বিবাহ করার প্রতিই উৎসাহিত করেছেন। মা‘ক্বিল বিন ইয়াসার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকটে উপস্থিত হয়ে বললে, আমি একজন সুন্দরী এবং সদ্বংশীয়া রমণীর সন্ধান পেয়েছি। কিন্তু সে কোন সন্তান প্রসব করে না (বন্ধ্যা)। আমি কি তাকে বিবাহ করব? তিনি বলেন, না। অতঃপর সে ব্যক্তি দ্বিতীয়বার এসে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে নিষেধ করেন। পরে তৃতীয়বার সে ব্যক্তি এলে তিনি বলেন, তোমরা এমন মেয়েদের বিবাহ করবে, যারা স্বামীদের অধিক মহববত করে এবং অধিক সন্তান প্রসব করে। কেননা আমি (ক্বিয়ামতের দিন) তোমাদের সংখ্যাধিক্যের কারণে (পূর্ববর্তী উম্মতের উপর) গৌরব প্রকাশ করব’ (নাসাঈ হা/৩২২৭; আবুদাউদ হা/২০৫০; মিশকাত হা/৩০৯১; ছহীহাহ হা/২৩৮৩)। উক্ত নিষেধাজ্ঞা দ্বারা বন্ধ্যা বিবাহ হারাম করা হয়নি। বরং একে অপসন্দনীয় বলা হয়েছে (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৭/১০৮; ফাৎহুল বারী ৯/১১১)

সুতরাং বন্ধ্যা মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয। আল্লাহর ইচ্ছা হ’লে তারাও সন্তান সম্ভবা হ’তে পারে। ইব্রাহীম (আঃ)-এর স্ত্রী সারা বন্ধ্যা ছিলেন, কিন্তু আল্লাহ তাকে ইসহাক জন্মের সুসংবাদ দেন (হূদ ১১/৭১)। একইভাবে যাকারিয়া (আঃ) নিঃসন্তান ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে বৃদ্ধ বয়সে সন্তান দান করেন এবং নবী ইয়াহইয়ার জন্ম হয় (আলে ইমরান ৩/৩৮-৪০)। এক্ষণে অধিক সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারী চেনার উপায় হ’ল তার পূর্ববর্তী নারী তথা মা, খালা বা ফুফুদের সন্তানের ইতিহাস পর্যালোচনা করা। তাদের অধিক সন্তান থাকলে সেও অধিক সন্তানদানে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা যায় (আযীমাবাদী, ‘আওনুল মা‘বূদ ৬/৩৪; সুবুলুস সালাম ২/১৬২)

প্রশ্নকারী : আল-মামূন, ঝিনাইদহ।







প্রশ্ন (৭/২৪৭) : ওযায়ের কি নবী ছিলেন? নবী না হলে তিনি কোন নবীর আমলে দুনিয়ায় ছিলেন? এছাড়া কওমে তুববা‘ কোন নবীর কওম? বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩২/১১২) : বেড়ানো বা পড়াশুনার উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (৫/২৪৫) : জনৈক মহিলার বিবাহের পর স্বামীর সাথে শারীরিক কোন সম্পর্ক হয়নি এবং দীর্ঘদিন (৫ বছর) স্বামী থেকে পৃথক আছে। এক্ষণে সে ইচ্ছা করলে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে একই বৈঠকে অন্যত্র বিবাহ করতে পারে কি?
প্রশ্ন (১২/১২) : মুসলিম, অমুসলিম বা ফাসেক শাসকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করা জায়েয কি? বিশেষত গণতান্ত্রিক দেশে যেখানে রাষ্ট্রপ্রধানের সমালোচনা করা বিধিসম্মত। সেখানে করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৯/১১৯) : ফরয ছালাতের পরে ইমাম মুছল্লীদের দিকে ফিরে বসতে পারেন কি? মাত্র দুই বা তিন ওয়াক্ত ছালাতে বসতে হবে মর্মে কোন বিধান আছে কি?
প্রশ্ন (১৩/১৩৩) : আমাদের এখানে একজন আলেম বলেছেন, জান্নাতীদেরকে সত্তর বছর যাবৎ জান্নাতী গান শুনানো হবে। তারপর যথাক্রমে দাঊদ ও মুহাম্মাদ (ছাঃ) গান গাওয়ার পর আল্লাহ তা‘আলা নিজেই গান গেয়ে শুনাবেন। এ বক্তব্যের কোন সত্যতা আছে কি? - -সাঈদ আহমাদ, বশীরহাট, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (২৬/১৮৬) : নানাবিধ জৈবিক পাপের ফলে বিবাহ করে স্ত্রীর হক আদায় করতে নিজেকে অক্ষম বলে মনে করি। এমতাবস্থায় বিবাহ থেকে বিরত আবশ্যক কি? বিবাহ করলে গুনাহগার হব কি?
প্রশ্ন (১/২০১) : ছালাত আদায়ের পর বুঝতে পারি যে ক্বিবলা ভুল হয়ে গেছে। উক্ত ছালাত কি পুনরায় আদায় করতে হবে? - -বেলাল হোসাইন, মণিহার, যশোর।
প্রশ্ন (২৬/৪৬৬) : কুরবানীদাতা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে চুল-নখ কর্তন করে তবে তাকে কাফফারা কি দিতে হবে? - -আবুল কালাম, শ্যামপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩০/১৫০) : যোহরের চার রাক‘আত ছালাতের স্থানে আমি পাঁচ রাক‘আত পড়িয়েছি। সহো সিজদা না দিয়ে আমি সালাম ফিরিয়ে ছালাত সমাপ্ত করেছি। মুছল্লীরা পরে আমাকে অবগত করলে আমি তাদের নিয়ে কেবল দু’টো সহো সিজদা দিয়েছি, সালাম ফিরাইনি। এক্ষণে আমাদের ছালাত হয়েছে কী?
প্রশ্ন (৫/৪০৫) : ছালাতরত অবস্থায় মোবাইলে রিং বেজে উঠলে তা সাথে সাথে বন্ধ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩/৩) : ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) কি তার পরিবারকে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে নিষেধ করেছিলেন?
আরও
আরও
.