উত্তর : ঈদায়নের ছালাতে অতিরিক্ত তাকবীর ১২টি। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহাতে প্রথম রাক‘আতে সাত তাকবীর ও দ্বিতীয় রাক‘আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন রুকূর দুই তাকবীর ব্যতীত’ এবং ‘তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত’ (আবুদাঊদ হা/১১৫০; ইবনু মাজাহ হা/১২৮০, দারাকুৎনী হা/১৭০৪, ১৭১০, সনদ ছহীহ) কাছীর বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদায়নের প্রথম রাক‘আতে ক্বিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর ও দ্বিতীয় রাক‘আতে ক্বিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন’। কাছীর বিন আব্দুল্লাহ বর্ণিত অত্র হাদীছ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীছটির সনদ ‘হাসান’ এবং এটিই ঈদায়নের অতিরিক্ত তাকবীর সম্পর্কে বর্ণিত ‘সর্বাধিক সুন্দর’ রেওয়ায়াত (তিরমিযী হা/৫৩৬ সনদ ছহীহ)। তিনি আরও বলেন যে, আমি এ সম্পর্কে আমার উস্তায ইমাম বুখারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘ঈদায়নের ছালাতের অতিরিক্ত তাকবীর সম্পর্কে এর চাইতে অধিকতর ছহীহ আর কোন রেওয়ায়াত নেই এবং আমিও সে কথা বলি’ (বায়হাক্বী ৩/২৮৬; মির‘আত ২/৩৩৯)

চার খলীফা ও মদীনার শ্রেষ্ঠ সাত জন তাবেঈ ফক্বীহ ও খলীফা ওমর বিন আব্দুল আযীয সহ প্রায় সকল ছাহাবী, তাবেঈ, তিন ইমাম ও অন্যান্য শ্রেষ্ঠ ইমামগণ এবং ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর দুই প্রধান শিষ্য আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রহঃ) বারো তাকবীরের উপরে আমল করতেন। ভারতের দু’জন খ্যাতনামা হানাফী বিদ্বান আব্দুল হাই লাক্ষ্ণৌবী ও আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী বারো তাকবীরকে সমর্থন করেছেন (মির‘আত ২/৩৩৮, ৩৪১; ঐ, ৫/৪৬, ৫২)

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ‘ছয় তাকবীরে’ ঈদের ছালাত আদায় করেছেন- মর্মে ছহীহ বা যঈফ কোন স্পষ্ট মরফূ হাদীছ নেই। ‘জানাযার তাকবীরের ন্যায় চার তাকবীর’ বলে মিশকাতে এবং ‘নয় তাকবীর’ বলে মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাতে যে হাদীছ এসেছে, সেটিও মূলতঃ ইবনু মাসঊদের উক্তি। তিনি এটিকে রাসূল (ছাঃ)-এর দিকে সম্বন্ধিত করেননি। উপরন্তু উক্ত রেওয়ায়াতের সনদ সকলেই ‘যঈফ’ বলেছেন (বায়হাক্বী ৩/২৯০; নায়ল ৪/২৫৪, ২৫৬; মির‘আত ৫/৫৭; আলবানী, মিশকাত হা/১৪৪৩)

ঊল্লেখ্য যে, ইমাম ত্বাহাবী ‘কোন কোন ছাহাবী’ (بعض أصحاب رسول الله صـ) থেকে ‘জানাযার তাকবীরের ন্যায়’ মর্মে একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। যা তিনি ও শায়খ আলবানী ‘হাসান’ বলেছেন (ছহীহাহ হা/২৯৯৭)। যদিও নববী, আসক্বালানী, যায়লাঈ প্রমুখ প্রায় সকল বিদ্বান হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। তবে আলবানী তাঁর দীর্ঘ আলোচনা শেষে বলেছেন, সবটাই জায়েয। যদিও সাত ও পাঁচ তাকবীর আমার নিকটে অধিকতর প্রিয়। কেননা এর বর্ণনাকারী সর্বাধিক’। আমরাও বলি, সাত ও পাঁচ মোট ১২ তাকবীরের হাদীছসমূহ অধিকতর ছহীহ এবং সংখ্যায় অধিক। অতএব বিতর্কিত বর্ণনাসমূহ বাদ দিয়ে স্পষ্ট ছহীহ হাদীছের উপর আমল করাই উত্তম।

ইবনু হাযম আন্দালুসী (রহঃ) বলেন, ‘জানাযার চার তাকবীরে ন্যায়’ মর্মের বর্ণনাটি যদি ‘ছহীহ’ বলে ধরে নেওয়া হয়, তথাপি এর মধ্যে ছয় তাকবীরের পক্ষে কোন দলীল নেই। কারণ তাকবীরে তাহরীমা সহ ১ম রাক‘আতে চার ও রুকূর তাকবীর সহ ২য় রাক‘আতে চার তাকবীর এবং ১ম রাক‘আতে ক্বিরাআতের পূর্বে ও ২য় রাক‘আতে ক্বিরাআতের পরে তাকবীর দিতে হবে বলে কোন কথা সেখানে নেই (ইবনু হাযম, মুহাল্লা ৫/৮৪ পৃঃ)। অতএব ১২ তাকবীরের স্পষ্ট ছহীহ হাদীছের উপরে আমল করাই একান্তভাবে কর্তব্য।






প্রশ্ন (৩৫/৩৫) : বৃদ্ধা মহিলাদের জন্য গায়ের মাহরাম পুরুষের সামনে নেকাব বিহীন চলা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (২৪/১৮৪) : ছেলে মারা যাওয়ায় নমীনী হিসাবে কোম্পানী প্রদত্ত পুরো অর্থ তার পিতা পেয়েছেন। আরো কিছু অর্থ আছে যা তাদেরকে প্রদান করা হবে। ছেলে পিতা-মাতা সহ ১ ছেলে, স্ত্রী এবং ছোট ভাই রেখে গেছে। এক্ষণে উক্ত সম্পদ বাকি সদস্যদের মধ্যে কিভাবে বণ্টন করতে হবে?
প্রশ্ন (৮/২৪৮) : রুকুর পূর্বে বেশ কিছুক্ষণ ‘সাকতা’ করে সূরা ফাতিহা পাঠ করা যাবে কি? যদি না যায় তবে তা কখন পড়তে হবে?
প্রশ্ন (২৯/২৯) : পুরুষের ইমামতিতে মহিলা জামা‘আত চলাকালীন অবস্থায় ইমামের ক্বিরাআতে ভুল হ’লে মহিলারা ভুল সংশোধন করে দিতে পারবে কি? - -আব্দুর রহীম, কাসেমপুর, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (২৫/২৬৫) : পিতা সন্তানকে দেখাশুনা করেনি বা ভরণ-পোষণ দেয়নি। এক্ষণে পিতার প্রতি উক্ত সন্তানের কোন দায়-দায়িত্ব আছে কি?
প্রশ্ন (৩৭/১৫৭) : মুসলিম নারীদের জন্য গঙ্গা নদীতে গোসল করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (২২/২২) : ইয়াতীম শিশুর পিতার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সম্পদ কার যিম্মায় থাকবে? মায়ের যিম্মায় থাকবে না দাদা, চাচা বা নানার কাছে?
প্রশ্ন (১১/৪৫১) : শীষ (আঃ)-এর সম্পর্ক জানতে চাই। তিনি কি ভারতে মারা যান? - .
প্রশ্ন (১৩/২৯৩) : জনৈক আলেম বলেন, কসম ভঙ্গের কাফফারা হচ্ছে একটানা ৩টি ছিয়াম পালন করা। মাঝে একটি ছুটে গেলে তিনটির সাথে আরো একটি যোগ করতে হবে। এ বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (২৮/৪৬৮): স্বামীর কি কি অধিকার পালন করলে স্ত্রী জান্নাতে যেতে পারবে?
প্রশ্ন (৩১/৭১) : তামাত্তু হজ্জ করলে বদলী হজ্জ আদায় হবে কি? জনৈক মুফতী বলেন, উক্ত হজ্জ হবে না। এ বিষয়ে জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৭/৪৪৭) : কোন মুসলমানের ঘর হিন্দু ব্যক্তিকে ভাড়া দেওয়া এবং প্রাপ্ত ভাড়ার টাকা মুসলিম ব্যক্তি সংসারের ব্যয় নির্বাহের জন্য খরচ করতে পারবে কি-না?
আরও
আরও
.